৫১.
প্যারালালবারে প্রজাপতিপারাপারাবর্তনপ্রজ্ঞায় কাঁটাকম্পাস যতিশ্বাসাবনত ঘুঁপচিতে ঘড়া ঘড়া উপচে পড়া পপকর্ণ টুকে শুঁকে শুঁকে আবরণ আপতিত ডেগচি হেঁচকিনিরোধঅবকাশে সকরুণ বেনু যথেচ্ছ প্যাঁ পোঁ সহকারে হালেবেহালে ক্ষ্যাপা মজমায় হেঁচকি তোলে ঘোলে কয়েক কিস্তি ফিরতি কোরাসের নিয়মিত হাহাকার অনুরোধে
৫২.
প্রাথমিক খাবলার ঠিকুজি ইজি হয়ে খানিক সুজির হালুয়ার স্মৃতি উস্কে দিতে থাকে ব...৫১.
শিরশিরে মৃত্যু সে ইস্পাত
শিরায় শিরায় তার সায়ানাইড স্রোত
চিরকষ্টের ম্যানিকিন সে এক
ভাঙ্গে না তার শীতল অবরোধ
চিনির মত? নয়..
নোভোকেইন সে
যন্ত্রণা ঘষে দাঁতে
দেখো
সেই মেয়ে..
কালো ঠোঁট
মৃত রাত
সায়ানাইড দাঁত মধু আত্মঘাত
সে এক খুনে..
সে আমার
সায়ানাইড মধু দেঁতো আত্মঘাত..
স্ট্রিকনাইন সেরেবেলাম মাথায় তার
হিংস্র রাগে জাগে তুফান সমন
সুন্দরী সে ঠিক অ্যানা নিকোল,
কি.. নয়?
‘ওহ রুপো নয়.. ছোট...
ঘুড়ির লেজে করে উড়ে গেছে দুরন্ত আটপৌরে রোদ। শরীরে ঘুমপ্রিয় ক্লাশরুমেরা একা একা অযথাই ফাঁকা হয়ে বসে থাকে। ক্লাশের মেয়েরা বেণীর পেছনে মেঘের দরজা খুলে নেমে আসে, ওড়নাপ্রান্তে বেঁধে নিয়ে নিজ নিজ হোমওয়ার্ক। হাত বাড়িয়ে মেঘপ্রান্তের ঢেউ ছুঁয়ে দেখেছি, সেখানে শুভ্র রাতের ওপারে কুসুম কমলা ভোর আঁকা। পানিতে ঢেউ কেটে কেটে একবালিকার অবসন্ন রাত থরথরিয়ে ওঠে, দ্রুত নেমে যায় নিঠুর কাঁপন! যেমন ভ...
এতো মধুর করে কথা বলো কী করে
তোমার কথায় বসন্ত নামে
কোকিলের স্বর ভেসে আসে কানে
অজস্র প্রজাপতি উড়ে যায় রোদ্দুরে
ফুল ফোটে অফুরন্ত আবেগে
এতো বিধুর করে কথা বলো কী করে
এতো মায়ার স্বরে কাছে ডাকো কী করে
তোমার ডাকে জল হয়ে গড়িয়ে যায়
প্লাবন হয় আমার হৃদয়
জ্যোৎস্নাভেজা পায়ে তুমি হাটছো যে সৈকতে
তবুও বুঝিনা এমন মিষ্টি করে কথা বলো
বেদনা দাও কী করে?
প্রেমতো স্বয়ং বলে -
আমি কী আর কথা বলি তোম...
আগের দিন সুমেরু দা’র ফোন পেলাম। যদিও তারও আগেরদিন পান্থ’র মোবাইল ওয়েভেই জেনে গেছি যে ১৪ মার্চ ‘বন্দুকের নলই ক্ষমতার প্রকৃত উৎস’, সুমেরু মুখোপাধ্যায়ের বইটার প্রকাশনা উৎসবের কথা। অনুষ্ঠানের আরেকটা চমৎকার আকর্ষণের বিষয় ছিলো প্রিয় শিল্পী কফিল আহমেদের ‘একটা ঘাড়ভাঙা ঘোড়ার ওঠে দাঁড়ানো’র আয়োজন। তবে অনিবার্য সমস্যা না থাকলে যে কারণে অনুষ্ঠানটা মিস করার কোন উপায় ছিলো না, বাদাইম্যা ...
...আমি ভাবলাম গাড়ি খালি। ভিতরে কেউ নেই। কিন্তু গাড়ির ভিতরে তিনজন যাত্রী ছিল। আমাকে দেখে তাদের কেউই একটুও নড়ল না। এমন কি আমার দিকে তাকালও না। মনে হলো তারা সবাই ঘুমাচ্ছে। আমি ভিতরে গিয়ে বসলাম। গাড়ির ভিতরটা মনে হলো খুবই ঠাণ্ডা, এমন কি বাইরের চেয়েও বেশি ঠাণ্ডা। গাড়ির ভিতরের বাতাস বেশ ভারী, স্যাঁতস্যাঁতে। এর মধ্য থেকে মৃতবত্ গন্ধ আসছিল। আমি সকল যাত্রী...
এস্রাজটা ধরে রাখতে পারোনি
তাতে ক্ষতি নেই,
জমা করে রাখ ভাঙা টুকরোগুলো
আর তাকিয়ে দ্যাখো
নাস্তিক সমুদ্রের চোখে কত জল,
কত আগুন ব্যগ্র বাঘের তনুতে
চাঁদকে ছুঁবে বলে আমাদের ছাদ ও
এখন বাড়াচ্ছে হাত।
আমার হাত কখনই প্রশস্ত ছিল না
বরং এখানে , এই নদীঘাটে মড়ার
মুখ দেখে আমি সনাক্ত করতে শিখেছি
শ্মশানের পরিচিহ্ন
পরিত্যক্ত প্রেমের হাড়গোড়
চারপাশে যে শ্রমণ জীবন আমাকে
লালন করে, আমি শুধুই থেক...
ফেসবুক নামক যন্তর মন্তর ঘরে একদা এক সচলবাসী আমাকে বলিল- বিডিআর বড়ই ভাল লোক। তার হাসিখানাও মিষ্টি আর লেখার হাতও যথেষ্ট উমদা। কিন্তু তাকে আজকাল সচলে কম দেখা যায় কেন? আমি বলিলাম ভাই আপনার শেষ কথা খানি আমার মনেও সন্দেহর উদ্রেক করিতেছে। তাৎক্ষনিক ভাবে উনি বলিলেন- কি ব্যাপার? কি ব্যাপার? আমি বলিলাম- সন্দেহ হয় বিডিআর অদৃশ্য এবং সুক্ষ এক জালে ফাঁসিয়া গেছে। উনি বলিলেন- কেমনতর সেই জাল? আমি এ...
রাত্রির নিঃশব্দ চাদর পেরিয়ে,
আহা, তবেই না তারাদের হৈ চৈ ।
আমরা হেঁটেছি যূথবন্দী যাত্রায় –
নক্ষত্র ফোঁটা উজলা রাত বুকে ভরে
আমাদের শ্রান্ত ও ক্লান্ত ভালোবাসায় সিক্ত
হতে হতে নারী শেষ ফসলের ঘ্রানে মাতাল,
হৈ্মন্তী বাতাসে তির তির নদীর শরীর,
আর, মৃত্তিকার সঞ্জিবনী সুধায় চারদিক মৌতাত ।
এইসব শরীর খুঁড়ে ভালোবাসা বপন,
শ্রাবণ ও প্লাবনে উথাল-পাথাল
সর্ষের শীর্ন দোলায় শালিকের কামরাঙ্গা ...
এ লেখাটা মূলত: গৌতমের এ পোস্টের মন্তব্য।
১ ও ২:
এই যে এখানে ‘অ’ বর্ণটি শেখানো হচ্ছে, এতে শিশু আসলে কী শিখছে। শিশু শিখছে একটা ‘অ’- আর কিছু না। শিশু শুধু জানে এটা তাকে শিখতে হবে; কিন্তু কেন শিখতে হবে এবং ‘অ’-এর সাথে কীসের কীসের সংযোগ ঘটবে- তা সে জানে না।
অ যে একটা প্রতীক এটাই তো শেখানোর মূল উদ্দেশ্য। ইংরেজিতে ফোনেম (উচ্চারণের মূল একক) আর বর্ণমালার বর্ণ সমান্তরাল না...