১।
আমার মতে, কর্পোরেটের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, বা অন্তত হওয়া উচিৎ: সীমিত দায়িত্ববোধ। বিশেষায়ণও (মানে, specialization) একটা বড় ব্যাপার।
সমস্যা হল, একপর্যায়ে গিয়ে এ দুটাই মানুষকে ব্যাপক বিরক্ত করে ফেলতে পারে। এটা সিস্টেমের দোষ না, মানুষের দোষ। কিছু মানুষ মানায় নিতে পারে, কিছু মানুষ পারে না।
যেহেতু করপোরেট আরামদায়ক, ওই দ্বিতীয় টাইপের মানুষদের হয়তো আবার কর্পোরেট ছাড়তেও ব্যাপক অসুবিধা হয়। এক...
পৃথিবীর সমস্ত রাত্রি ভোরে পরিণত হয়
যে সব গ্রামীণ কুকুরেরা ভয়ে কেদেঁছিল
দিয়েছিলো আভাষ বিপদের_
তারা দিনের আলোয় খাদ্যের খোঁজে ছুটছে বেদম
সূর্য গ্রহণ শেষে উল্লাসে মাতে জনগণ
তারা এখন জানে সূর্যগ্রহণের সব কেরামতি
ছায়া সরে গেলে আবার আলোকিত
হয়ে যাবে পৃথিবী_
শুধু তোমার আত্মায় লেগেছে এমন গ্রহণ জাহেদ
যা মোছা যায় এমন কোনো সাবান বানায় না
পৃথিবীর সাবান কোম্পানীগুলো।
খুব অসময়ে তোমার সাথে দেখা হলো,
হতে পারতো আরো বছর দশেক আগে।
তুমিও ছিলে, আমিও ছিলাম- এখানে
তবু দেখা পেলাম না কেউ কারো।
আরো দশ বছর আগে আসতে পারতে তুমি - পারলে না,
কারন তোমার আসার উপর তোমার হাত ছিল না।
কিংবা
আরো দশ বছর পরে আসতে পারতাম আমি - পারলাম না,
কারন আমার আসার উপর আমার হাত ছিল না।
আমাদের দেখাটা হলো বড় অসময়ে
এই ব্যবধান অতিক্রম করা এখন আমাদের অসাধ্য।
ভাগফল বলছে-
আমি তোমাকে পেয়েও প...
সুমিন শাওন-এর কবিতা
পুনপুনি পূর্ণিমার পালিন পুষ্পলোকে জোড়াসাঁকো পথ হাঁটে পাইথন রাজ
কান্তজীর মন্দির খুলে বালিকা ঘুমায়,মিথুন-চৈতন্যে পুড়ে মাধবীর দাগ-
এ আমার ছত্রিশ-ছুঁয়া চিন্ময় চঞ্চু,এখানে
হাজার বছর ধরে লাঙ্গলের ফলা বেয়ে উৎকীর্ণ মৌসুমের মগ্ন কারুকাজ
দেখো
মাদুলীর মায়া লেগে এই ঠোঁট,
দো-আঁশ দুপুরে কোন হয়ে গেছে কার্ত্তিকের নবান্নের-নদী
বৃষ্টি ও বালিকার নুনে-ঘামে ভিজে...
বহুকাল উপকথা বলা বন্ধ আছে দেখে মনে হলো, না: এবারে একটা বলেই ফেলা যাক। এপাশ ওপাশ খুঁজে দেখি আহুরমাজদা আর আহরিমান। প্রাচীন পারস্যের উপকথা। এ উপকথায় আছে আলো ও অন্ধকারের চিরন্তন দ্বন্দ্বের কথা।
আহুর মাজদা আর আহরিমান-আলোর ঈশ্বর ও আঁধারের প্রভু, এঁরা যমজ ভাই, একই সঙ্গে এদের জন্ম। প্রথমে আহুর মাজদা চেয়েছিলেন সুখেশান্তিতে মিলে মিশে থাকতে আহরিমানের সঙ্গে, কিন্তু কিছুতেই তা সম্ভব হলো ...
টানা প্রায় দশদিন ধরে তারা হেঁটে চলেছে বিদঘুটে এক মরুময় অঞ্চলের মধ্য দিয়ে । কে বলেছে মরুভূমি মানেই বালির সাগর । রোদে পুড়ে পাথরের মত শক্ত হয়ে যাওয়া মাটি, বালির সাগর সাহারা মরুভূমির থেকে কোন দিক থেকে কম না । মাটিতে ফাটল ধরেছে, কিন্তু ফেটে চৌচির হয়নি । মাটির দিকে তাকালে ফাটল ছাড়াও মাঝে মাঝে চোখে পড়ে মরা শুকনো ঘাস আর ছোট ছোট উদ্ভিদের দেহাবশেষ । কোন এক সময় এগুলো হয়তো ঝোপ-ঝাড় ছিল, কিন্তু এ...
গ্রীষ্মকালীন ঘোরাঘুরির কিছু মুহূর্ত সচল বন্ধুদের সাথে ভাগ করছি। আমার কেরামতি আমার ফটোগ্রাফী।
লুক্সেমবার্গ শহর
নামুর (বেলজিয়াম)
নামুর (বেলজিয়াম)
ক্লান্ত আমরা বিশ্রাম নিচ্ছি
নামুর
নামুর দুর্গ
নামুর দুর্গ
লুক্সেমবার্গ পুরনো
সার্কিট ভেনযেল
এই মূর্তিটার দিকে যেদিক থেকেই তাকাবে, সেদিকেই সে তোমার দিকে এভাবেই চাইবে।
লুক্সেমবার্গ রাজার বাড়ির সামন...
[justify]
খসরু চৌধুরীর সাথে আলাপের কোন সুযোগ আমার কখনও ঘটেনি। চোখেও দেখিনি তাঁকে। তাঁকে প্রত্যহ ভক্তিভরে স্মরণ করবো, পরিস্থিতিও সেরকম কখনও হয়ে ওঠেনি। ব্যাখ্যা করি।
খসরু চৌধুরীর নামাঙ্কিত একটি পেপারব্যাক, সেবা প্রকাশনীর "সুন্দরবনের মানুষখেকো"তে পড়েছিলাম শিকারী পচাব্দী গাজীর কথা। আমার বয়স তখন কম, ক্লাস ফাইভ বা সিক্সে পড়ি, সেবা থেকে প্রকাশিত শিকারের সব বইয়ের ঘাড় মটকে চিবিয়ে খাই বা...
নগ্নপায়ে বালিকারা জলে নামে
সমুদ্রের ডাক
অবহেলা করা খুব কঠিন বোধ'য়।
উপত্যকা বেলাতট ঝিনুকের ছাপ
নির্লোম হাড়ের মতো, বালুকার গায়ে
ইতিহাস লেগে থাকে সমুদ্র শৈবাল।
জেলেডিঙি জাল ছুঁড়ে ছুঁড়ে
গোধূলির অন্ধকারে তুলে আনে বড়ো বড়ো মাছ।
সমুদ্র দেখে চাট্টি কবিতার ঢেউ জাগবে না যদি তা'লে কিসের সমুদ্র। প্রেমেন মিত্তির একটা গোটা কবিতার বই-ই লিখে ফেললেন, সেই "সাগর থেকে ফেরা" বলে, আমি একটা কবি...
১। এই খাদ্যদ্রব্য অতীব সুস্বাদু এক বস্তু। এই খাদ্যদ্রব্য টাকার পরিবর্তে ভাঙ্গা কাঁচের শিশি বোতলের দ্বারাই বেশী পাওয়া যাইতো। বিক্রয়কারী মাথায় ঝাঁকা লইয়া পুরান কাগজপত্রের সঙ্গে একখানা টিনের গোল বাক্সে ইহা সংরক্ষণ করিতেন। এই কটকটির আবিষ্কারকের পদযুগলে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম।
২। একখানা বাশের ডগায় চিউং গামের ন্যায় এই ভয়ানক সুস্বাদু বস্তু প্যাচাইয়া রাখা হইতো। নানারকম আবদারে সেই...