(এই লেখাটা বেশ আগে লেখা। ভয়ে দেই নাই, মনে করছি কেউ পড়বে না। এখন কেন জানি সাহস হচ্ছে। দিয়াই দেখি।)
কয়েকদিন আগে কার লেখায় জানি (তুলিরেখার মনে হয়) সাইফুল আকবর খান ভাইসাহেব ভেগোলজি নামে একখান কনসেপ্টের কথা কইছিলেন। মনের সুখে আবোলতাবোল লেখা, উহাকেই নাকি বলে ভেগোলোজি (যদিও আমি একটু ঢিলা বিধায় ভুল বুঝিতে পারি; কি আছে জীবনে?!)। আমার বড়ই মনে ধরছে কনসেপ্টটা!
লিখার সবসময় টপিক থাকতে হবে ...
আশি বছর বয়সী এই জার্মান বুড়ো এবং তার স্ত্রীর সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক কি? তাদের সাথে দেখা হওয়ার আগে তা ঘুণাক্ষরেও অনুমান করার উপায় ছিল না।
হঠাৎ করেই এক দাওয়াতে পরিচয় তাদের সঙ্গে। উনি প্রথমেই উপস্থিত সবার কাছে ক্ষমা চাইলেন যে তার ইংরেজী জ্ঞান খুবই সীমিত। ওনার স্ত্রী একেবারেই পারেন না, তাই আমাদের কারও কারও কথা অনুবাদ করে দিতে হচ্ছিল। পাশে বসেছিলাম বলেই অনেক কথা বলার সুযোগ হলো এব...
গত পরশু সচলের জন্মদিন গেল, কত অসাধারণ অনেকগুলো লেখাই না আসলো, তাই ভয়ে ভয়ে এই লেখাটা আজকে দিলাম, সূর্যের পাশে মোমবাতি জ্বালানোর ব্যর্থ প্রয়াস না করে একটু পরিবেশ হালকা হয়ে আশার অপেক্ষা করতে লাগলাম, কিন্তু সে সময় যেন আর আসে না। আমি বসে বসে মনে করার চেষ্টা করতে লাগলাম, যখন সচল সচল করে সবার মাথা খারাপ করতাম না, তখন কি করতাম? তখন মনে পড়ল গল্পের বই, ছায়াছবি, পিএসথ্রি তে ভিডিও গেম, এরক...
আম্বিয়া খাতুনের বয়স কত হবে ? ৯০ এর কাছাকাছি তো অবশ্যই। শরীরের শক্তি শেষ প্রায়। বেঁকে গেছে কোমর। পায়ে বাতের ব্যথা। হাঁটতে কষ্ট হয়। তারপরও লাঠি নিয়ে হাঁটতে চায় না সে। কতবার কতভাবে বলেছে সবাই। কিন্তু আম্বিয়া খাতুনের জেদ বড় শক্ত। যেন সময় আর প্রকৃতির সাথে জেদ করেই নুয়ে পড়া কোমর নিয়ে লাঠি ছাড়াই ছোট ফ্ল্যাটের এক ঘর থেকে আরেক ঘরে হেঁটে বেড়ায় আম্বিয়া খাতুন।
ঘোলাটে চোখের দৃষ্টি ক্ষীণ । ...
অনেক কিছুর সমাপ্তি টানতে হয়েছে
এখানেই। পার্কে পড়ে থাকা পঙ্গু ফুল
মনে করিয়ে দেয় এ শহরে একটি সরাইখানা আছে।
বৃদ্ধ বাদাম বিক্রেতা আমাকে চিনিয়ে দেয়
শহরের পথ...
কোনো এক কাল চলে গেছে গ্রামের পথে।
সে গ্রামের রংধনু বালিকা প্রতি ঘুমের ভেতর
বালিশকে রঙিন করে যায়।
আমি অনেকবার ভেবেছি গ্রামটিকে চেনাবো
সরাইখানা। শহরে যাবার পথ।
দেখাবো গাড়ির ধোঁয়াতে ওড়ে যতো পাখি
তারা ছায়া হয়ে যায় দামি গাড়ি...
থ্রি-ডি চিত্রকলার সাথে কারো কারো হয়তো ইতোমধ্যেই পরিচয় ঘটেছে। খুব সাম্প্রতিক কালের ভিন্ন মাত্রার চিত্রকলা হিসেবে একে অভিহিত করা যেতেই পারে। এডগার মুলার নামের একজন অতি বিখ্যাত থ্রি-ডি চিত্রশিল্পির আঁকা কিছু ছবি নিয়েই আজকের এই ছবিব্লগ।
এডগার মুলারের আঁকা চিত্রকর্ম বিভিন্ন দেশে রয়েছে। যেমন কানাডা, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ইত্যাদি ইত্যাদি। ক্যানভাস হিসেবে তিনি ব্যবহার করেন শহ...
যখন মানুষের তৃষ্ণায় বাসা বাধে অশুভ ছত্রাক, ধমনীতে বাড়ে অধৈর্যের কালো রক্ত, কিংবা উদরে জন্ম নেয় সেই চতুর চড়ুই, রাজকন্যার সোনালি চুল চুরি করে যে তুলে দেয় ডাইনীর হাতে, তখন মানুষ কি জানে তার পাপ ছুঁয়েছে রাক্ষসের ডানা? কিছু কিছু মানুষও কি চড়ুইয়ের ঠোঁট আর দানবের চোখ নিয়ে বেঁচে থাকে না এক একটা রূপকথার গল্পে! অথচ, আমরা কেবল ভুলে যাই সেই পালকের কথা।
রাক্ষসপুরীতে বন্দী দুঃখী রাজকন্যার চোখ ...
আইইউটিতে আমার নোংরা বিছানার পাশে একটা নোংরা দেয়াল আছে। সেই নোংরা দেয়ালে পার্মানেন্ট মার্কার দিয়ে কয়েকটা লাইন লেখা। "আমি কীরকম ভাবে বেঁচে আছি, তুই এসে দেখে যা নিখিলেশ!"
অথচ নিখিলেশ নামের আমার কোন বন্ধু নেই। এমনকি খানিকটা চেনা জানা যেসব মুখ আমার- তাদের কারো পরিচয় নিখিলেশ নামে না! তবুও যখন বুঝি- অনন্ত পতন। তখন নোংরা বিছানার পাশে নোংরা দেয়ালে মলিন হয়ে আসা লাইনগুলোর দিকে তাকাই। মনে ম...
ক'দিন ভীষণ গ্রীষ্ম চলেছে, রোদ ছিল একেবারে যাকে বলে চাঁদিফাটা, সব যেন শুকিয়ে যাবে, গলে যাবে। দুপুরের পিচরাস্তার দিকে তাকানো যেতো না, এত ঝিকঝিক রোদ ঠিকরে আসতো।
চাতকপ্রত্যাশায় আকাশের দিকে চেয়ে থাকতো সবাই, আসে কি মেঘ? আসে কি, সে আসে কি? কিন্তু কোথায় কি? এক চিলতা দুই চিলতা হালকাফুলকা মেঘেরা আসতো যেতো, বর্ষণসম্ভবাদের দেখা নাই।
তপতপে দিন আসে, তপতপে দিন যায়। সন্ধ্যার পরে লোকে পুকুরের ...
আমি বড় সমস্যায় আছি। সচলায়তনের জন্য একটা দুইটা না, সাতখান লেখা একবারে ড্রাফট কইরা বইসা আছি, কিন্তু দিতারিনা! ক্যান? কারন হয় লেখার ড্রাফট অফিসে ফালায় আসি, নাইলে বাসায় এক এক কম্পিউটারে এক এক লেখা (আমার রুমে তিনখান ফুললি ফাংশনাল কম্পিউটার, ইউএসবিতে আর কতই বা লমু! ল্যান করা ছিল, কিন্তু তার খাঁটের তলে, টানতে ইচ্ছা করতেছে না)। ফলে প্রতিবারই নতুন লেখা লিখা লাগে। কি যে সমস্যা!
ভাবছিলাম দর্...