কুয়াশার ভোরে ঝাপসা তুরাগ নদীর মতো
অসার এ জীবন ঢেকে যায় বরফে
চেরাগ জ্বলা গহীন গ্রামীণ নীরবতা
তোমার জীবন কি শুধু শূন্যতার ইবাদত
আবার কখনো হেসে উঠবে কী রোদ
দেখবে কী নতুন কোনো উষা
তোমার জীবন সরওয়ার
ঢেকে আছে অনন্ত পাপের চাঁদরে।
[ধুগো'র জন্য কয়েক ফোঁটা...]
(০১)
বালিকার নদীটাকে ছুঁবো বলে আমি
ডুব দিতে বারবার ভুল জলে নামি।
(০২)
জলের অতলে ডুবে করি জলচাষ
ওখানেও তুমি ! না কি জলের আকাশ !
(০৩)
যেখান দিয়ে হেঁটে গেছো, দৌঁড়ে খুঁজি পথ
থমকে দাঁড়াই, ভাঙছে নদী জলেরই শপথ !
(০৪)
চুম্বনের ওই গন্ধ খুঁজে নদীর কাছে যাই
নদী বলে-
তোমার মতো বোকা তো ভাই স্বপ্নপুরে নাই !
(০৫)
মৃত্যু ছিলো তোমার বুকে, নদী দিলো ঠাঁই...
দুই।
ফেল করা মার্কশীট অংক বইয়ের মধ্যে ভরে, শীতের দুপুরে স্কুলের মাঠ পার হয়ে লেবার কলোনী আর সুগার মিলের অফিসার্স কোয়াটার্সের সামনে বয়ে যাওয়া ছোট্ট নদীর সঙ্গে জোড়া দেওয়া হাতে কাটা খাল যা কিনা চিনিকলের জলীয় বর্জ্য নিস্কাশনের উদ্দেশ্যে বানানো, ফলে তার পানির রং লালচে, দুর্গন্ধযুক্ত আর সবসময়ই কুসুমের চেয়ে গরম, - রীনা সেখানে স্কুল ড্রেস উঁচু করে হাটু পানিতে দাঁড়িয়ে, আম্মা রেজাল্ট দে...
গাঢ় সন্ধ্যার শেষ ট্রেনের পেছনে ছুটতে ছুটতে একসময় আবার হাঁটছো উল্টো পথে
শেষ বগির আলো দূরে সরে যাবার আগে দীর্ঘ করে দিয়ে যাচ্ছে প্ল্যাটফর্মে তোমার ছায়া
শুনতে পাচ্ছি বালিশে কান পেতে তোমার আষাঢ়সঙ্কেতী গুড়গুড় বিড়বিড়ে খিস্তির খুতবা
দেখতে পাচ্ছি মানসচোখে, ছুটছো পাঁজরের স্কুইরেল কেইজে দিনভর
আবার হাঁটছো প্ল্যাটফর্মের ধূলো, কাগজ আর বাদামের খোসার সাভানায়, ফেলছো ভদ্রলোকী থুতু
দাঁতে ...
[গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পতিসর, আত্রাই, নওগাঁয় আবিস্কৃত হয়েছে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছয় পাতার একটি দীর্ঘ চিঠি। ১৩০৭ সালের ২৮ ভাদ্র তারিখের এই চিঠিটি কবি কাকে লিখেছিলেন, তা জানা যায়নি। কবির এই অপ্রকাশিত চিঠিটি তাঁর পাচক পতিসরের কবিজ উদ্দিনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। এতে তিনি তুলে ধরেছেন তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবন ও কর্মের কথা। নওগাঁর ছোটকাগজ 'অঞ্জলি লহ মোর' এর জানুয়ারি-জুন সংখ্যার সৌজন্যে চ...
সব গাঁয়েই একটা পাগলা থাকতে হয়, পাগলা বা খাদক কিসিমের উদ্ভট কেউ না থাকলে গ্রামের ইজ্জত থাকেনা, নিস্তরঙ্গ জীবনযাত্রা আরো নিরামিশ হয়ে যায়। ধলপুর গ্রামের বিখ্যাত জগু পাগলা হঠাৎ করে একদিন বিনা মেঘে বজ্রপাতে মারা গেল। পার্ট টাইম পাগল বেচারা ছিল ধান ক্ষেতে, গ্রামের আরও কিছু কিষানের সাথে মিলে ধান কাটছিল, হঠাৎ কাচির ভুল পোচে তার ডান হাতের বুড়া আঙ্গুলের অর্ধেক নাই হয়ে গেল, জগু পাগলা ডান হ...
দেখছি তোমাকে আস্তাকুঁড়ের ধারে
দেখছি তোমাকে বোকা সংসদে উড়ো
দেখছি তোমাকে পকেটে পকেটে থাকো
দেখবো তুমি আর কতো সইতে পারো
দেখছি তোমাকে পর্যটকের চোখে
দেখছি তোমাকে ক্ষুধা আর লজ্জায়
দেখছি তোমাকে রাতে রাস্তার ধারে
নোটের ছবিতে তোমাকে পাওয়া যায়
দেখছি তোমাকে মিছিলে শোরগোলে
দেখছি তোমাকে টিভির পর্দায়
দেখছি তোমাকে ভিক্ষার ঝুলি হাতে
যাচ্ছো বিদেশ তীব্র যন্ত্রনায়
কতো বৈঠক- বাণিজ্য তো...
[justify]শেষ পর্যন্ত বুয়েট জীবনের তিন-চতুর্থাংশ পার হয়ে গেল। গতকাল ছিলো লেভেল - ৩ এর শেষ ক্লাস। এমন সময়ে প্রিয় কিছু চেনা মুখকে বিদায় দিতে হচ্ছে, সেজন্য মন যেমন ভারী; তেমনি নিজেদেরকে ক্যাম্পাসে সবার বড় অবস্থানে দেখে কেমন যেন একটা অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে। বুড়িয়ে যাচ্ছি নাতো?
২০০৬ সালের ২৮ জানুয়ারী এ যাত্রা শুরু হয়েছিলো। না না... যাত্রা শুরু আরো আগে, সেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবার পর থেকে ...
সুমিন শাওন
প্রতিটি স্পর্শের একটা নিপূণ বেদনা থাকে
প্রতিটি বেদনার একটা নিপূন সন্ধ্যা- তাই
কতবার প্রতিবার বারবার তোমাকে বলেছি
চলো,
চলো আমরা একটা খেলা খেলি,একটা স্পর্শ স্পর্শ খেলা
আমার কোন অফিস-ফেরৎকফি-সন্ধ্যায়, অথবা
তুমি যখন চোখের কোণে কাজল করো স্পর্শকাতর
তেমন কোন কাজল-কালো মরূ-জোছনায়।
বিলীভ মী, আমি তোমাকে ছোঁব না, একদম না
শুধু স্পর্শ করবো, অবশ্য
তুমি জিততে না চাইল...