Archive - জুন 25, 2011

ইনসমনিয়া

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ২৫/০৬/২০১১ - ৯:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দহন সমুদ্রের শেষে
এল মেয়েদের চুম্বনের মতো নরম বৃষ্টি
সে রাতে তুমি বললে চোখ বন্ধ কর
দগ্ধ চোখ দুটোকে আর খুজে পাইনি,
হৃদয়ের হলদে পান্ডুলিপিটা কেঁটে
কখন যে নিশিকুটুম স্বপ্ন বুনেছিল
এক মুঠো প্রেমের সৌরভে
অনুভূতির আঙুলও জানেনি।

এখন সূর্য চোখ খুললেও
আচমকা
জীবনকে রাত্রির মতো নিঝুম মনে হয়।

অথচ ঘুম খুজতে গিয়ে দেখি
ঘুম গুলো ডানা মেলে উড়ে গেছে
পাখি নয়
মনের পালকে নখ ডুবানো


মার্জার মুশকিল

আশালতা এর ছবি
লিখেছেন আশালতা (তারিখ: শনি, ২৫/০৬/২০১১ - ৮:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিড়াল জিনিষটা এমনিতে দূর থেকে দেখতে বেশ ভালো। দিব্যি নরম সরম, বেশ একটু বাঘ বাঘ ভাব আছে । কিন্তু মুশকিল হল, এ জাতীয় প্রাণীটি সামনে এলেই ভেতরে কেমন একটা বিজাতীয় বিদ্বেষ অনুভব করতে থাকি । বিড়ালপ্রেমীরা এই স্বীকারোক্তিতে আমার মুণ্ডু ছিঁড়ে ফুটবল খেলতে চাইলেও কিছু করার নেই। কোদালকে কোদাল বলাই উচিত। তার ওপর কোদাল নিজেই যদি তার কারন তৈরি করে তাহলে তো আরও বেশি উচিত।


কষ্টবাসি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ২৫/০৬/২০১১ - ৭:৫০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কখনো হেসে খুন করো আমায়, কখনো খেলাচ্ছলে। এমনি চলে গেছে বছরের পর বছর, তবু কেন যেন তোমায় ছাড়া থাকতে পারি না। তোমায় ছোট করে দেখতাম কোন কালে? কখনোই না। কিন্তু তুমি বলছো দেখতাম? নিশ্চয়ই, তবে দেখতাম হয়তো। আমার বাবা-মা কখনো কষ্ট দিয়েছে তোমায়? কি জানি, বাবা-মা তো, তুমি তো তাদের মেয়ের মতোই। তবু বলছো তোমায় তারা কষ্ট দিতো?


টিনটিনোলজিস্ট

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: শনি, ২৫/০৬/২০১১ - ৬:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাম্প্রতিক আড্ডার ভিত্তিতে এই পোস্টটা সচলভগিনী তিথীডোরের সম্মানে দেওয়া হল হাসি

কলেজে পড়ার সময় আমরা কয়েকজন বন্ধুরা টিনটিন নিয়ে নানারকম ঘাঁটাঘাঁটি, ইন্টারনেটের সাইটে-ফোরামে গুঁতোগুঁতি করতাম। মানে শখের টিনটিনোলজিস্ট – টিনটিন-বিশারদ হয়ে উঠেছিলাম আর কি। নিজের ব্লগে বা সাইটে বইয়ের থেকে ছবি লাগানোর একটা অফিশিয়াল অনুমতিপত্রও পেয়েছিলাম হার্জের ফাউন্ডেশনের থেকে। অনেকদিন পর সেইসব গল্পগাছা আবার কিছু করার ইচ্ছা হল।


শিরোনাম নেই

ফকির লালন এর ছবি
লিখেছেন ফকির লালন (তারিখ: শনি, ২৫/০৬/২০১১ - ৪:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছাপা হলে, ফিসফাস -
এ কবিতার মেয়েটি কে জানো তো?

তুমিও জানতে সে কে,
বোধকরি বেশ খানিকটা গর্বও হয়েছিলো, বেশ
আধফোঁটা একখানা কবি পাওয়া গ্যাছে
আপত্তি নেই যার অনন্ত অপেক্ষায়

আমাদের দেখাও বড়ো অদ্ভুত
চৈত্র দুপুরে রক্তবর্ণ ওড়না উড়িয়ে তুমি এলে,
বললাম, তুমিতো বসন্ত নিয়ে এলে হে,
বলতে, আমি না এলে কোন বসন্তই আসবেনা।
ক্যামন চুয়ে পড়তো অহংকার সব
শিমুল ফুলের মতো রাঙা ঠোঁট বেয়ে ।


স্মৃতির কলম

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: শনি, ২৫/০৬/২০১১ - ৩:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কলম দিয়ে লিখিনা বহুদিন। না লিখতে লিখতে আঙুলের গিঁটে গিঁটে মরিচা ধরে গেছে। বাংলা ইংরেজী দুই প্রকার হাতের লেখাই জঘন্য হয়ে গেছে। কখনো একটা পৃষ্টা লিখতে হলেও ঘাম ধরে যায়, আমার লাইন হয়া যায় আঁকাবাকা আর লেখার চাপে ব্যাথাতুর থাকে কনিষ্ঠ আঙুল। স্বাক্ষর করা ছাড়া কলমের কোন কাজ নাই আজকাল। আঙুলগুলো কীবোর্ডের প্রতি এত বেশী নির্ভরশীল হয়ে গেছে যে, দুই আঙুল দিয়ে একটা কলম ধরে লেখার ধৈর্য একেবারে নেই।


নীল শুদ্ধি

মণিকা রশিদ এর ছবি
লিখেছেন মণিকা রশিদ (তারিখ: শনি, ২৫/০৬/২০১১ - ৮:৫৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আকাশের কাছে শুধু যেতেই চেয়েছি, হে মুগ্ধতা
তুমি বিন্যাস করেছ নীল ছায়া
একচক্ষু চাঁদের আসরে শাদা মাধুরী ধরেছ
ভেঙেছি নদীর মত, এখনো তো ভাঙি
এখনো যে যেতে চাই
অর্থহীন নীলিমার,
অবোধ্য ঘোরের খুব কাছে।

ঠিকমত হাঁটতে শিখিনি, তবু
যেতেই চেয়েছি আমি
মোহ মুগ্ধতার কাছে-
ঠিকমত গাইতে জানিনা
কন্ঠনালী ছিঁড়ে তবু
জমাট রক্ত ওঠে, শব্দ যন্ত্রণায়!

অথচ, ব্যথা-, এত সহজে কি হয়!


নীল শুদ্ধি

মণিকা রশিদ এর ছবি
লিখেছেন মণিকা রশিদ (তারিখ: শনি, ২৫/০৬/২০১১ - ৮:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আকাশের কাছে শুধু যেতেই চেয়েছি, হে মুগ্ধতা
তুমি বিন্যাস করেছ শুধু ছায়া
একচক্ষু চাঁদের আসরে শাদা মাধুরী ধরেছ
ভেঙেছি নদীর মত, এখনো তো ভাঙি
এখনো যে যেতে চাই
অর্থহীন নীলিমার,
অবোধ্য ঘোরের খুব কাছে।

ঠিকমত হাঁটতে শিখিনি, তবু
যেতেই চেয়েছি আমি
মোহ মুগ্ধতার কাছে-
ঠিকমত গাইতে জানিনা
কন্ঠনালী ছিঁড়ে তবু
জমাট রক্ত দেখি, শব্দ যন্ত্রণায়!

অথচ, ব্যথা-, এত সহজে কি হয়!


তিনটি

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি
লিখেছেন আশরাফ মাহমুদ (তারিখ: শনি, ২৫/০৬/২০১১ - ৪:১২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:
  • নবজন্ম নিচ্ছে জীবনের স্বাতী

মেঘের ডানা সঙ্গী আজ তারার ঘুড়ি
তোমার জানালা কেনো খোলা
চাঁদ নিভে গেলে-ও প্রভার ছড়াছড়ি
গ্রীল ধরে ভাবছো তুমি একলা
মাতাল রাত মহুয়ার প্রতিকৃতি
তোমার চোখে
নবজন্ম নিচ্ছে জীবনের স্বাতী


স্বপ্নজাল

শামীমা রিমা এর ছবি
লিখেছেন শামীমা রিমা (তারিখ: শনি, ২৫/০৬/২০১১ - ২:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রক্তিম সূর্যটা ধীরে ধীরে যেন পদ্মার জলে ডুবে যাচ্ছে । আর সেই অস্তগামী সূর্যটার দিকে অপলক তাকিয়ে রয়েছে সাজু। অথচ প্রতিটি দিনের শেষে ঠিক এভাবেই সূর্য অস্ত যায় ; তখনতো কখনো বুকের ভিতর এমন হাহাকার করে ওঠে না ! তবে আজ কেন সাঁঝ বাতি জ্বেলে দেয়ার পরও তার ঘরে ফিরতে ইচ্ছে করছে না ? নদীর জলে দাঁড়িয়েও সে স্পষ্ট বুঝতে পারছে ,তার বড় বৌদি গলায় আঁচল দিয়ে তুলসীতলায় পূঁজো দিচ্ছে । পাশের বাড়ি থেকে ভেসে আসছে শাঁখের আওয়াজ । এতোবছর পর আজই প্রথম সাজু অনুভব করল শাঁখের আওয়াজটা বড় বেশি বেদনাদায়ক ,বড় বেশি করুণ।