Archive - জুল 2011

July 17th

ক্যান্সার প্রতিরোধের নতুন উপায়!

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১৬/০৭/২০১১ - ১০:২৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এমন পরিবার কমই আছে যেখানে কারো না কারো ক্যান্সার হয়নি। সাম্প্রতিক কালে এই রোগের ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও মনে হয়। আগে তেমন শোনা যেত না এর নাম। আজকাল সাধারণ বা বিখ্যাত প্রায় মানুষের এই রোগ হচ্ছে এমন শোনা যায়। মাত্র দেড় মাস আগে পপ সম্রাট আজম খান মারা গেলেন এই ক্যান্সারে ভুগেই। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট শ্যাভেজ যে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন তার কথাও কিন্তু তাবৎ দুনিয়ার লোক জেনে গেছেন। প্রশ্ন হলো কেন


July 16th

কাদীর‌্যা পাগলা, এক ক্ষ্যাপাটে বিজ্ঞানদানবের উত্থান ও পতনের গল্প

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি
লিখেছেন রাতঃস্মরণীয় [অতিথি] (তারিখ: শনি, ১৬/০৭/২০১১ - ৪:০২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মূল কাহিনীর শুরু ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর থেকে-


নীল নাকফুল ৭

শাহীন হাসান এর ছবি
লিখেছেন শাহীন হাসান (তারিখ: শনি, ১৬/০৭/২০১১ - ৩:৫৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বনফুলের নকশি-কাঁথা

এ যাবৎ কাল যত বনফুল
বনভূমি বাগিচায় নিসর্গে দেখেছি
তাদের তিনটি ঢেউয়ে ভাগ করে
আমি থামিয়ে রেখেছি, সবার দৃষ্টির অন্তরালে ...

দুধের মতো ধবল ফুলের হৃদয় এসে
লাল-নীল-কমলা ফুলের ঢেউগুলোকে
পুরোপুরি ঢেকে দিতে চাইলেও -

এক-একটি পৃথক ধারায়
তারা প্রকাশিতই থেকে গেল শেষপর্যন্ত :
যেন বা কোন আবরণ
সূচ সুতোয় সেলাই করে যাওয়া, জড়াবে ?

পৃথিবীর শীতের হাত, দুঃখ ছোঁবে না ;


আমি কি অবরোধবাসিনী ?

শামীমা রিমা এর ছবি
লিখেছেন শামীমা রিমা (তারিখ: শনি, ১৬/০৭/২০১১ - ২:২৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি নারী বলেই আমার বাবা আমাকে আদর করে মা-মণি বলে ডাকে আর আমার সন্তানও মা বলে জড়িয়ে ধরে পরম মমতায় আর নির্ভরতায়।নারী বলেই আমি হতে পারি কারো ভালোবাসার প্রিয় মানুষ, কারো জীবন সঙ্গিনী ।নারী বলেই আমার রক্তে মাংসে ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে আমারই অংশ,আমার সন্তান আর আমি হই রতœগর্ভা ।আবার আমি নারী বলেই যৌতুকের দাবী মিটাতে না পেরে ভালোবাসার মানুষের হাতে আমাকে হতে হয় নির্যাতিত ।নারী বলেই আমার নিষ্পাপ মুখখানা ভালোবাসার ক্রোধের আগুনে ঝলসে যায় বারেবার আর আমি হই এসিডদগ্ধা ।নারী বলেই পথে ঘাটে লাঞ্ছনার স্বীকার হয়েও মাথা নীচু করে ঘরে ফিরতে হয় কোন প্রতিবাদ ছাড়াই ।নারী বলেই আমার নামের সাথে যোগ হয় বীরাঙ্গনা,নির্যাতিতা,ধর্ষিতা ।আর নারী বলেই আমাকে ব্রোথেলে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয় ।সভ্য সমাজের দেয়াল আমাকে আটকে রাখে ঐ নিষিদ্ধ চার দেয়ালে সমাজকে কলুষমুক্ত রাখতে ।আর একটা সুস্থ স্বাভাবিক জীবনের স্বপ্ন আবদ্ধ চার দেয়ালে প্রতিধ্বনিত হয়ে বাজে আমার কানে প্রতিনিয়ত ।


‘দ্বিতীয় বিপ্লব’!!

তানিম এহসান এর ছবি
লিখেছেন তানিম এহসান [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ১৫/০৭/২০১১ - ৮:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

‘দ্বিতীয় বিপ্লব’!!
- তানিম এহসান

ঘোর কলিকাল - নষ্টামীর এই দারুন সময়ে আজ তুমি কি লিখো,
কি লিখে ক্রোধের জল - নিজেকে সামলাও কবি?
এখানে ধানের ছড়ার মতন উন্মুখ উনুনেও বিলাপ,
এখানে ভিন্ন রাগে প্রতিদিন কাঁদে মানবতা,
প্রতিরাতে কোন এক নতুন নারী সুবাস বিকিকিনির
হাটে নতমুখে হেটে যায়; ধর্ষিতাকে আবার ধর্ষন করে সমাজ আর রাষ্ট্রযন্ত্র;
কচুর লতিতে লতিতে নুন মাখা নুন যায় শেষ হয়ে,


এবার বসন্ত আনো

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ১৫/০৭/২০১১ - ৮:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সময়ের নোনা বাঁকে অনেক ভ্রমণ
হলো; এবার তো তোল মুখ― স্পষ্ট হোক
আপন উচ্চারণ!


হাবিজাবি স্বপ্নবাজি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি
লিখেছেন যাযাবর ব্যাকপ্যাকার (তারিখ: শুক্র, ১৫/০৭/২০১১ - ৭:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[সেদিন একটা দুঃস্বপ্ন দেখে ফেসবুকে লিখেছিলাম, সেখান থেকে অনেক মজার, ভয়ের, হালকা-ভারী নানান স্বপ্নের কথা উঠলো। আমি যখন চরম ব্যস্ত থাকি, তখন মাঝে মাঝেই আমার মাথার মধ্যে গিজগিজ করা আজাইড়া কথাগুলো লিখতে ইচ্ছা করে... অধিকাংশ সময়েই সেগুলো মাথার ভেতরেই লেখা হয়, মাথার থেকেই হারিয়ে যায়, কী-বোর্ড টিপে টুকে রাখা হয় না... তবে লিখে ফেললে আমার মাথা হালকা হয়, আমি কাজে মন দিতে পারি... এইটা সেই রকম একটা হাবিজাবি লেখা...]

আমি যখন ছোট ছিলাম, স্কুলে পড়ি, তখন একটা স্বপ্ন দেখেছিলাম, চোর ধরার স্বপ্ন। আমরা চিরকাল বেশ বড় বড় বাড়িতে বড় হয়েছি, গাছপালা বাগানআলা বাড়ি ছিল বেশিরভাগ সময়েই। তার মধ্যে যে বাড়িতে সবচেয়ে দীর্ঘদিন থেকেছি সেই বাড়িটা ছিল বিশাল, আর আশেপাশে তখন অন্যান্য বাড়িঘর কম ছিল, রাস্তাটা মেইন রোড হলেও ট্রাফিক অনেক কম ছিল, আর ছিল চোরের উপদ্রব। দেখা গেল পেছনের পাঁচিল টপকে ঢুকে বাগানে টাঙানো ধোয়া কাপড় টেনে নিয়ে সটান মেইন গেইট খুলে বের হয়ে গেল কেউ, মূহুর্তের মাঝে, “এই, এই, কে রে!” বলে তেড়ে যাবো কি, বুঝে উঠবার আগেই! সে এক অবস্থা!


July 15th

পাখিবন্যার রাতে

সুমন তুরহান এর ছবি
লিখেছেন সুমন তুরহান [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ১৫/০৭/২০১১ - ১০:১২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পাখিবন্যার রাতে

মুগ্ধ আকাশ, দুগ্ধ কপোত তোমার ব্যাকুল হাতে
ঋতুবতী মেঘ, পাখির প্রবাহ, শালিকের গ্রহলোক
পালক পুকুরে টলোমল করে তোমার গভীর চোখ
তোমাকে একাকী উড়তে দেখেছি নক্ষত্রের রাতে।


বাঁশিওয়ালার হ্যামিলন

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: শুক্র, ১৫/০৭/২০১১ - ৯:৩৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১২৮৪ সাল। মধ্যযুগের জার্মানির ছায়া ঘেরা, পাখি ডাকা, শান্তিময় ক্ষুদে এক পাহাড়ি শহর হ্যামিলনে দেখা দিল আচমকা মহা উপদ্রব- ইদুর! হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ সুবিশাল ইদুরের পাল, তাদের অত্যাচারে বেড়াল তো বেড়াল, মানুষের অস্তিত্ব টেকানোই দায় হয়ে পড়ল সেই পাহাড় ঘেরা উপত্যকায়। অবশেষে রূপকথার গল্পের মত দেখা দিলেন মহান ত্রাতা, নানা বর্ণের ডোরাকাটা রঙচঙে নকশাদার পোশাক পরা এক বাঁশিওয়ালা। নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে সে আশ্বাস দিল বিনাশ করে ছাড়বে ইদুরের দলকে।

প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ঝোলা থেকে এক অদ্ভুত বাঁশি বের করে অদ্ভুততর সুর সৃষ্টি করে চলল অবিরত, সেই মোহনীয় সুরেই মাতোয়ারা হয়ে দিকবিদিক ভুলে ইদুরের দল শুরু করল তার পিছু চলা। এক পর্যায়ে খরস্রোতা ভাইজার নদীর কিনারে এসে চতুর বাঁশিওয়ালার চালে সমস্ত ইদুরের পাল লাফিয়ে পড়তে লাগল সেই বহমান হিমশীতল জলে, খড়কুটোর মত ভেসে গেল তারা দূর কোন অঞ্চলে অথবা খরস্রোতা অথৈ জলের নিচে ঘটল সলিল সমাধি। হামিলন হল ইদুর মুক্ত।


অভাজনের প্যারিস ভ্রমন

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি
লিখেছেন রকিবুল ইসলাম কমল [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ১৫/০৭/২০১১ - ৯:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পর্ব এক, পর্ব দুই।

ম্যাপ দেখে দিক ঠিক করে বিরতিহীন ক্লান্ত পায়ে এগিয়ে যাচ্ছি আইফেল টাওয়ারের দিকে। পৃথিবীর সবচাইতে বেশি পরিচিত স্থাপনা। কিছুদূর হাটবার পর দূর থেকেই চোখে পড়ল প্যারিসের আকাশে উদ্ধত এই ধাতব স্তম্ভ। এলোমেলো হেটে সঠিক রাস্তা রেখে আমরা পার্কের ভেতর দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। এক সময় পৌঁছলাম যখন সন্ধ্যা হবে হবে করছে। চাইলে লিফটে করে টাওয়ারের চুড়ায় যাওয়া যায়। তার জন্য বড়সড় একটি লাইন ধরতে হয় এবং কিছু ইউরো খরচা করতে হয়। অবশ্য অনলাইনে আগেই টিকেট কেটে আসলে লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।