এককালে এখানে রেস হতো।
লম্বা-লম্বা আরবি ঘোড়াগুলোর উপরে রোগা-পটকা জকিদের হট-হুরর শব্দের সাথে দর্শকদের চিল-চিতকার প্লাস সভ্য মানুষের মৃদু করতালি; খোলামকুচির মতো উড়তে থাকা ব্যাংকনোট আর কাঁচাটাকার ঝনঝনানি- সব মিলে ঘোর লাগা এক অদ্ভুত উতসব।
১।
বহুদিন পর আবার বিজ্ঞানের গল্প- আজকে পরমাণুর হাঁড়ির খবর দেব। নাম দেখে আবার ভেবে বসবেন না যে পরমাণু বুঝি তারেকাণুর খালাত ভাই। এই লোকের হাঁড়ির খবর রাখা সম্ভব না। এই দেখি এভারেস্ট তো ঐ কুমেরুতে। আজ পম্পেইয়ে মৌজ করে তো কাল এক্সট্রা টিকেট নিয়ে সাম্বা দেখতে যায়। কখনও আবার নাৎসি ক্যাম্পে ঘুরে এসে মনটা খারাপ করে দেয়। এত অ-স্থির মানুষের খবর রাখা আমার কাজ না। ঘুরে ফিরে তাই কাঠখোট্টা বিজ্ঞানই ভরসা। বিজ্ঞানের গল্পগুলো অবশ্য কম মজার না। সত্যপীরের বিক্রম যেমন খালি হাতে বাঘের চোখ উপড়ে বেড়ায়, বিজ্ঞানীরা তেমনি প্রকৃতির কাছা খুলে দিতে উদ্বাহু হয়ে বসে থাকেন। কি সুবিশাল ছায়াপথের ওপার, কি ছোট্ট পরমাণুর গভীরে- কোথাও তার লুকোবার জায়গাটি নেই। আর বিজ্ঞান তো আর অকাট-নিশ্চল ঐশীবাণী নয়। সে হল একেবারে আফ্রোদিতির মত চঞ্চলা। আজ ওমুক বিজ্ঞানীর সাথে খাতির তো কাল তমুক, পরশু থমুক- এমন। যখনই বিজ্ঞান দেখে যে আগের বিজ্ঞানীর তত্ত্বের সাথে তার আর বনছে না, ওমনি সে নতুন কোন বিজ্ঞানীর মাথা থেকে নতুন রূপে বের হয়। পরমাণুর হাঁড়ির খবর তাই দিনে দিনে কেবলই বদলেছে।
----------------------------------------------------------------
ঈশপের নীতিগল্পগুলি পড়েছি অনেক ছোটবেলায়। যত বড় হয়েছি, গল্পগুলি তত বেশী করে অনুভব করেছি। সম্প্রতি ইচ্ছে হ’ল সে’গুলি ফিরে পড়ার, ধরে রাখার - নিজের মত করে ।
ইংরেজী পাঠের অনুসারী বঙ্গানুবাদ, আক্ষরিক নয়। সাথে আমার দু-এক কথা।
[গল্পসূত্রঃ R. Worthington (DUKE Classics)-এর বই এবং আন্তর্জাল-এ লভ্য http://www.aesop-fable.com -এ ইংরেজী অনুবাদের ঈশপের গল্পগুলি।
গল্পক্রমঃ R. Worthington-এর বইয়ে যেমন আছে]
----------------------------------------------------------------
বরাবরের মতই তোকে বাসে উঠিয়ে ফিরে যাচ্ছিলাম
বাসের গেটটা বন্ধ হতেই তুই দৌড়ে এলি
দরোজা ধরে অস্পষ্ট চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলি
কন্ডাক্টর বেশ বিরক্ত হল
একটা গালি তার গলা পর্যন্ত উঠে এসেছিল
নেহাৎ তুই বলেই হয়তো মুখ অব্দি এলো না
বাস থেকে নেমেই তুই আর আমি
মানে, আমরা---আবারো হাঁটা ধরলাম
নীলক্ষেত থেকে সংসদ ভবন
সংসদ থেকে নীলক্ষেত
রাউন্ড এ্যাণ্ড রাউন্ড, রাউন্ড এ্যাণ্ড রাউন্ড
[justify]মায়িশা তার সামনে বসা মানুষটার দিকে তাকাল।
লোকটা ফোনে কথা বলছে আর দাঁড়িতে হাত বুলাচ্ছে। লোকটার মুখভর্তি দাঁড়ি। মায়িশা দাঁড়িওয়ালা মানুষদের এমনিতেই পছন্দ করে না। তাদের ম্যাথ টিচার, দবিরউদ্দিন, ওই লোকটারও এরকম দাঁড়ি; অবশ্য খুবই কাটছাঁট করা। তার বন্ধুরা বলে, দবিরউদ্দিন চুলের থেকে দাঁড়ির পিছনে সময় বেশি খরচ করে।
[এই গল্পের যদি কোন ভাল দিক থেকে থাকে, তবে তা ষষ্ট পাণ্ডবের। তিনি একটা প্রবন্ধ লিখেছিলেন মুক্তিযুদ্ধ কী। আমি একে গল্প বানাতে চেষ্টা করেছি মাত্র। হয়নি বা কতটুকু হয়েছে বা হবে নির্ভর করছে আপনাদের মূল্যবান মতামতের উপর। আপনাদের যে কোন পরামর্শ, মতামত কাহিনীর গল্পে উত্তরণ সহায়ক হবে। আমাদের জাতীয় কোন বিষয় নিয়ে কিশোর কিশোরীদের উপযোগী কোন গল্প কবি
আমাদের ল্যাবের টার্কিশ খুকির থেকে একটি সরল কিন্তু উপাদেয় চিকেন স্যুপের রেসিপি জোগাড় করেছি।
রাধাকৃষ্ণের নৌকাবিলাসে
জলের চোখের জলে
ভেসে যায় ঘর-ফেরা পাখিদের মিছিল।
আকাশের নিশ্চুপ মুখমণ্ডল দ্যাখে
সুহাসিনী সন্ধ্যারাত মিটিমিটি হাসে
এবং আমাকে বলে দ্যাখো দ্যাখো
মাটি ও মানুষের প্রেম দ্যাখো।
তোমাকে একবার বলেছিলাম
তুমি আমাকে দ্যাখাও -
পাথর আর আগুনের সঙ্গম
কুয়াশা জন্ম নেয়ার ঝাপসা দৃশ্য
এবং শরীরের অচেনা গতিপথ।
সুহাসিনী সন্ধ্যারাত আমায়
মাটি ও মানুষের প্রেম দ্যাখায়,