আমরা এক আজব পরিস্থিতি পার করে যাচ্ছি বেশ কিছু দিন ধরে। আমাদের দেশের প্রধান বিরোধী দল তত্বাবধায়ক বা নির্বাচন কালিন নিরপেক্ষ সরকারের দাবীতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন বেশ কিছুদিন ধরেই। কিন্তু বর্তমানে তাদের আন্দোলন হচ্ছে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন । এখন প্রশ্ন হলো যদি তাদের আন্দোলনের ফলে সরকার পতন হয়েই যায় তবে দেশ চালাবে কে ?
১.
পুলিশ ষ্টেশনের ঘন্টা যেন কেমন! একঘেয়ে, বিষন্ন আর মাঝে মাঝে ভূতুড়ে! রাত ১২ টার ঘন্টা আরও বেশি কেমন কেমন! একে তো মাঝরাত তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বার ঘন্টা এই সময় টাতেই বাঁজে।
ঢং ঢং ঢং...
গুনে গুনে ১২ বার। রাতের নিরবতা আর গাঢ় অন্ধকার ভেদ করে প্রতিটি ঘন্টার বাড়ি যেন বুকে এসে আঘাতকরে। আর যদি সেই ঘন্টা শুনে ঘুম ভেঙ্গে যায়, তাহলে তো কথাই নেই।
চেম্বার থেকে আমি ফিরছি
তুমি ইমার্জেন্সী কল এ যাচ্ছ অপারেশন থিয়েটারে
আমাদের ক্রসিং হয় সিড়ির মাঝ পথে
তুমি বললে হ্যালো
আমার মূখে হতাশার মূচকি হাসি
গত চব্বিশ ঘন্টায় এই একটা 'হ্যালো'
তোমার কাছ থেকে আমার একমাত্র পাওয়া ।
আমাদের বাবুটার গৃহকর্মীটার সাথে সখ্যতা হয়েছে খুব
যাক বাবা বাচাঁ গেল, আমাদের মাঝেও হাফ ছাড়া ভাব
বাবুটার মূখে বেশ আঞ্চলিক টোন- 'আমি'কে বলে 'মুই'
শীতের মধ্যে হুট করে কুয়াকাটা যাওয়ার পিনিক উঠলো- সাগর দেখিনা বহুদিন। পোলাপাইন অর্থাৎ রিমন,কিরন, আমি মিলে সিলেট থেকে রওনা দিলাম ঢাকা, ঢাকায় তাবু রাখা ছিল- ঢাকায় জুটলো দুইজন- রফি ভাই এবং তুর্য। ঠিক হল তিন দিন এর ট্যুর হবে সুতরাং তিন দিনের রসদ কিনে নিলাম রেডি মিক্স খিচুড়ি, নুডুলস- চকোলেট, চা চিনি ইত্যাদি- বালিশ ছিলনা পাঁচ টা ইনফ্লাটেবল বালিশ কিনে নিলাম বায়তুল মোকাররম থেকে। সিলেটে এবং ঢাকায় তখন
[justify]দেশ ছাড়ার আগে এনটিভিতে একটি সিরিজ নাটক দেখতাম, আমাদের আনন্দবাড়ী। মন খারাপ করা একটা নাটক, তারপরেও দেখতাম। কিভাবে যৌথ পরিবার গুলো ভেঙ্গে যাচ্ছে সেই নিয়ে গল্প। নাটকটির শেষ পর্ব আরো মন খারাপ করা। সবাই একেক দিকে চলে যায়, যৌথ বাড়িটি ভেঙ্গে ফেলা হয় নতুন কোন উঁচু এপার্টমেন্ট গড়ার জন্য। রাস্তা দিয়ে সেই বাড়ির মেয়েটি একা একা হাঁটতে হাঁটতে একরকম দম বন্ধকরা কষ্টকর অনুভূতি নিয়ে নাটকটি শেষ হয়। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমার আনন্দবাড়ী বলতে ছিল আমার হল, আমার ক্যাম্পাস। আমাদের আড্ডামুখর সেই সময়গুলি হারিয়ে গেছে, আমরা চলে গেছি একেক জন একেক দিকে। আমাদের আনন্দবাড়িটি অবশ্য ভেঙে ফেলা হয়নি, তবে সেখানে এসেছে নতুন মুখ।
[justify]দ্বিতীয় পুস্তক
৭.
ভাস্কর্য আর পূজার জন্য তৈরী মূর্তির তফাৎ কাঠমোল্লা হেফাজতীরা বুঝে না, তারা অন্যদেরও বিভ্রান্ত করে। চিলের পেছনে কানের জন্য দৌড়াবেন না। কোরআনের পাতা উল্টান, সব সমস্যার সমাধান আছে আমাদের প্রাণের এই গ্রন্থে।
==========================
অরিন্দম দা বহু আগে একবার বলেছিলেন “Un Chien Andalou ” নিয়ে লিখতে। বহুবার লিখতে বসেছি এবং তা অবধারিতভাবে বাস্কেটে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছি, এই অত্যন্ত উদ্ভট অসাধারন সিনেমা নিয়ে আমার মত একটা ক অক্ষর কোমাংশের লিখতে বসাটা আরো বেশি উদ্ভট, স্যুরিয়ালিজম এ তা দালি কেও হার মানিয়ে যায়- তারপরেও ব্যপারটা আমার মাথার ভেতরে ঢুকে গেছে সুতরাং