Archive - অক্টো 10, 2015

শ্রোতার আসর- কে শুভেচ্ছা

কনফুসিয়াস এর ছবি
লিখেছেন কনফুসিয়াস (তারিখ: শনি, ১০/১০/২০১৫ - ৮:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শ্রোতার আসরের দশ বছর পূর্তির পরিবেশনা দেখে একটা চমৎকার সুখানুভূতি নিয়ে শনিবারের রাতে বাসায় ফিরতে ফিরতে ভাবছিলাম আমার মেলবোর্ন জীবনেরও দশ বছর হয়ে গেলো। দশ বছর, একটা লম্বা সময় আসলে।
এই দূর পরবাসে একটা বাংলা গানের দলের দশ বছর পূরণ করে ফেলাটা কিন্তু মুখের কথা নয়।


রিমঝিম রিমঝিম শিলং শহরে একদিন

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ আখতারুজ্জামান (তারিখ: শনি, ১০/১০/২০১৫ - ২:৩২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নিশুতি রাত। পাহাড়ি পথে গোধূলি টের পাওয়া যায় না, ঝুপ করে অন্ধকার নেমে আসে। গাড়ি চলছে সাপের মতো। একেঁ বেঁকে। হেড লাইটের আলোয় দেখতে পাচ্ছি পাহাড়ধ্বসের খাড়া কার্ণিশ। ঝাকুনি খাচ্ছি মাঝে মাঝে। দক্ষ ড্রাইভার নির্বিকার। সিডিতে বাজছে, পারদেশি... পারদেশি... জানা নেহি...মুঝে ছোড়কে...। কে জানে কোথায় বিপদ লুকানো!


ভয়ের নাম 'গণিত'

অরফিয়াস এর ছবি
লিখেছেন অরফিয়াস (তারিখ: শনি, ১০/১০/২০১৫ - ৭:১২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: ইহা একটি ফুল, পাখি, লতা, পাতা জাতীয় ব্লগ। মিশ্র ভাষার দোষ এর জন্য আগেই ক্ষমাপ্রার্থী।

অনেকদিন ব্লগ লিখিনা, এই ভেবেই মনে হল একটু কিবোর্ড গুঁতাই। আজকে ফেসবুকে মুর্শেদ ভাইয়ের একটা পোস্টে গণিত সম্পর্কিত আলোচনায় নিজের কিছু স্মৃতি মনে পড়ল। ভাবলাম তাই লিখি টুকটাক।


সাম্রাজ্যবাদ পচা, আমৃকা ভালু

সুজন চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন সুজন চৌধুরী (তারিখ: শনি, ১০/১০/২০১৫ - ৬:০৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্ট্যাচু অফ লিবার্টাইন

সারাটি জীবন গালি দিয়া গেনু, শেষ বয়সেতে আসিয়া
গ্রেট নেশনের বরমালা দিনু তারই গলে ভালোবাসিয়া
মে দিবস সে তো তারই অবদান
টেকা ও গতরে সে-ই প্রধান
আমৃকারেই বুকে টেনে নিনু, পাত্তা দেই না রাশিয়া


ভর্তি পরীক্ষাঃ ইন্ডিয়া বনাম বাংলাদেশ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১০/১০/২০১৫ - ৩:৪৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইন্ডিয়ায় গত জুন মাসে তাদের সুপ্রিম কোর্টের আদেশে প্রি-মেডিক্যাল এক্সাম (AIPMT = All India Pre Medical Test ) বাতিল হয়েছিল কারণ তাদের ওখানেও প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল। ৩মে ২০১৫ পরীক্ষাটা অনুষ্ঠিত হয়েছিল, ইন্ডিয়ার সবগুলো প্রদেশ জুড়ে এই পরীক্ষাটা হয়, অংশ নিয়েছিল প্রায় ৬ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থী। প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল মূলত হরিয়ানায়, বিক্রি হয়েছিল ১৫-২০ লাখ রুপী করে। সেখানকার পুলিশ প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় সেদিনই গ্রে


হাতি শিকার

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১০/১০/২০১৫ - ৩:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বার্মার মুলমিনে থাকার সময় টের পেলাম, জীবনে আর কখনও নিজেকে এতটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়নি আমার। কারণ ওখানে আমাকে একেবারেই দেখতে পারে না এমন লোক ছিলো বিস্তর। আমি ছিলাম ওখানকার সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার। ইউরোপীয়দের প্রতি সেখানকার মানুষের এক রকম বিতৃষ্ণা ছিলো। বড় রকমের দাঙ্গা-হাঙ্গামা করার মতো সাহস কারও হতো না বটে, কিন্তু বাজারের ভিতর দিয়ে কোনও ইউরোপীয় নারী হেঁটে গেলে তার কাপড়ে পানের পিকের দাগটা খুঁজে পাওয়া যেতো ঠিকই। আর আমি তো ছিলাম পুলিশ, নিজের গা বাঁচিয়ে আমাকে অপদস্থ করার একটা সুযোগও ছাড়েনি কেউ। একদিন ফুটবল মাঠে এক বার্মিজ আমাকে দিব্যি ল্যাং মেরে ফেলে দিলো। দেখি রেফারি ব্যাটা, সেও আরেক বার্মিজ, উদাস হয়ে তাকিয়ে আছে অন্য দিকে, দেখেইনি কিছু। ওদিকে মাঠের সব দর্শক হেসেই খুন হয়ে যাচ্ছে। এমন ঘটনা একবার নয়, বার বার হতো। যেখানেই যেতাম, দেখতাম এই হলুদমুখো লোকগুলোর ব্যাঙ্গবিদ্রূপ। সবচেয়ে শয়তান ছিলো কম বয়সের বৌদ্ধ ভিক্ষুগুলো। সারাদিন রাস্তায় দাঁড়িয়ে গুলতানি মারা আর ইউরোপীয় লোক দেখলেই টিপ্পনী কাটা ছাড়া যেন এদের আর কোনও কাজ নেই।