তুমি নাকী আগুন পোষো
কাছে গেলেই পুড়িয়ে দেবে!
মিষ্টি ফুঁয়ে কে তবে আজ
চায়ের গরম জুড়িয়ে দেবে?
পোড়ার ঠোঁটে নরোম রেখে
যন্ত্রণা কে উড়িয়ে দেবে-
মনের ভুলে ফেলে আসা
চাবিটা কে কুড়িয়ে দেবে?
কপাল বেয়ে অগোছালো
চুলগুলো কে ঘুরিয়ে দেবে-
শার্টের বোতাম না লাগানোর
ভুলগুলি কে ধরিয়ে দেবে?
বুকের কাছে একটু আসার
শাসনে কে চড়িয়ে দেবে-
কষ্ট পাওয়ার নষ্ট পাথর
আয় বলে কে সরিয়ে দেবে?
সকাল এবং বিকালগুলো
পহেলা বৈশাখের (১৪২২) দুইদিন আগের ঘটনা। আমরা বান্ধবীরা মিলে ফোনে কথা বলে ঠিক করলাম অনেকদিন যেহেতু দেখা হয়না, তাই এবার পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে দেখা করব। এও ঠিক করলাম সবাই শাড়ি পড়ব- অনেক উজ্জ্বল রঙের শাড়ি- লাল, কমলা, নীল। এই প্রথম বন্ধু-বান্ধবীর সাথে টিএসসি ও চারুকলায় ঘুরতে যাওয়া পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে। এজন্য জল্পনা-কল্পনারও কমতি ছিলনা। এর আগে অবশ্য যাওয়া হয়েছে, কিন্তু পরিবারের সাথে।
প্রকারান্তরে হয়েছি বৈদেশিক
এখন আর হাত বাড়ালেই হাতে এসে
টুপটাপ বসে না পুষ্পপাপ
আমার কোনো অতীত নেই, কোনো
রথযাত্রায় নেই ফেলে আসা কোনো
শোলার টুপি, লাল শরবতী ফুল।
তোমাকে দেখেছি কতোকাল আগে
অন্ধকারের ছায়া দুই হাতে মেখে
হেঁটে আসছ ঘুম থেকে নির্ঘুম
বৃত্তের থেকে বেরিয়ে আসছ
মুমূর্ষু অন্ধকারের পাশে
জীবনের মতো, আলোর মতো
নিঃশ্বাসের মতো
আকাশের দিকে হেঁটে যাওয়া রূপকথার আশ্চর্য রোপওয়ে
কবেকার পুরনো সে বোধ
ক্ষণে ক্ষণে,
নিরবে নিভৃতে,
নিঃশব্দ চিৎকারে-
আজো জেগে থাকে মনের গহীনে।
অনেক কাল কেটে গেছে তার নাম শুধায়ে।
উত্তর আসে নি কোন।
এখন আর উত্তরের কোন প্রত্যাশা নেই।
আসলে,
কোন কিছুরই কোন প্রত্যাশা নেই।
যে জীবন চলে বাতাসের মত মৃদু-মন্দ অথবা দমকা ঝড়ো হাওয়ায়,
তার কাছে, তাকে থামিয়ে, কিছু
জানতে চাওয়ারও কোন মানে নেই।
যে বোধ কখনও ছড়ালো না ডানা,
বিদেশ বিভুঁইয়ে এখনও বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা ধরে রাখা বাবা মাদের নিত্য যুদ্ধ লেগে থাকে বাচ্চাকে বাংলা ভাষা শিক্ষা দেবার, চর্চা করার। অনেকেই কিছুদিন লেগে থাকার পর হাল ছেড়ে দেন। কারণ ভাষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির উপাদান তো চাই। বিদেশে বাংলা বই এর অভাব, শিশু সাহিত্য তো আরও দুর্লভ। আর বাংলায় বাচ্চাদের টিভি অনুষ্ঠানের তো অস্তিত্বই নেই। নিজে ছানা পোনা ঘরে আনার আগে তাই কোমর বেঁধে প্রস্তুতি নিলাম। বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা জাগাতে তাই সব রকম বাংলা শিশু সাহিত্যের বই জোগাড় করলাম। উপেন্দ্রকিশোর, সুকুমার থেকে শুরু করে হালের হুমায়ুন আহমেদ, জাফর ইকবাল সবাই হাজির হলেন । ছানার আগমনের পর সেগুলো গুড়া বয়সেই তাকে পড়ে শোনাতে গিয়েই হলো বিপত্তি।
কারো কারো ক্ষেত্রে মারফি’স ল যে কতটা কার্যকর উদাহরণ হতে পারে, তা আরো একবার প্রমাণিত হলো অক্সফোর্ড রোডের সেলুনগুলো রোববার বন্ধ থাকার মধ্যে দিয়ে। দু’তিন সপ্তাহের গড়িমসি শেষে যখন সময় এবং সম্মতি দুটোই জুটলো ওদের বাবা ছেলের কাকের বাসা, বাজারের ঝাঁপিসম চুলগুলো ভদ্রস্থ সমাজোপযোগী করার, ঠিক সেদিন মাইলকয়েক পথ হেঁটে এসে জানা গেলো গুণেগুণে কেবল সেলুনগুলোই আজ বন্ধ থাকবে, যদিও আশেপাশের অন্য সব দোকান বহাল তবিয়ত