Archive - আগ 24, 2011 - ব্লগ

শিশুপালন-১১

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: বুধ, ২৪/০৮/২০১১ - ১১:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

ভাষাঃ

আমি একটা ভাষাই মোটামুটি জানি। সেটা যে কোন ভাষা - আর বিশদে না বললেও চলে। বহু বছর ধরে চেষ্টা করেও ইংরেজি ভালো মতো আর শিখে ওঠা হয় নি। এর অন্যতম প্রধান একটা কারণ মনে হয় আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরা। স্কুলে খন্দকার স্যার পিলে চমকানো সব বাগধারা ইংরেজিতে অনুবাদ করতে দিতেন। যেমন - চোরের মন পুলিশ পুলিশ। ভেবেচিন্তে বন্ধু জুনায়েদ লিখলো - থিফ'স মাইন্ড পোলিস পোলিস। অবধারিতভাবে গাঁট্টা নেমে এলো মাথার উপর। মাত্র চার ফুট দশ ইঞ্চি হাইটের খন্দকার স্যার মাথার ছয় ইঞ্চি উপর থেকে এমন দুর্দমনীয় গাঁট্টা কীভাবে মারতেন সেটা আজও ভেবে বার করতে পারিনি। অনেক মারপিটের পরে শিখলাম – দ্য পেশেন্ট হ্যাড ডাইড বিফোর দ্য ডক্টর কেইম। এই বিদ্যা প্রয়োগ করার মতো পরিস্থিতি আজও তৈরি হয় নি। আমার চেনা-জানা সব্বাই হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়েই ফিরে এসেছেন, আশা রাখি ভবিষ্যতেও আসবেন।


আমি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৪/০৮/২০১১ - ১০:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চিত্ত যেথা ভয়শূন্য। খুব লোভ হল কথাটা পরে। ভেবে ঠিক বের করতে পারলাম না জ্ঞান বুদ্ধি হওয়ার পর থেকে কোন দিনটা নির্ভয়ে কাটিয়েছি। নাহ, আসলেই পারলাম না। মাতৃগর্ভের টান ছেড়ে ভূগর্ভের টানে যখন ঘুম ভাঙল তখন হয়ত খুব অচেনা লেগেছিল পূবের আলোটা, নিজের অস্তিত্ব নিয়ে নিজেই হয়ত দ্বিধায় পরে গিয়েছিলাম। নিশ্চয়ই ভয় হচ্ছিল এই ভেবে যে এখানে আমার কাজ কি, এত বড় ধরণীতে আমার সৃষ্টির রহস্যটাই বা কি। কিন্তু আমি ঠিকই বুঝে নিল


অনিন্দ্য সঙ্গমের গল্প

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৪/০৮/২০১১ - ১০:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

০২. ফিঙে ও শঙ্খচিল

সূর্য উঠার আগেই ঘর্মাক্ত শরীরে বিছানা ছাড়ি প্রতিদিন। বসন্তকাল, নরোম বাতাস, মাঠে বিশাল সবুজের সমারোহ। কৃষকরা আগাছা নিড়ানীতে ব্যস্ত। খেতের আলে ছড়িয়ে থাকা খুঁটিগুলোতে পুচ্ছ দুলাচ্ছে ফিঙেরা। সজাগ দৃষ্টি; ঠোঁটে ঘাস ফড়িঙের লালসা।


শাস্তি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৪/০৮/২০১১ - ১০:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

‘ও আমার সবচেয়ে ভাল বন্ধু ছিল,’বলতে বলতে জানালার বাইরে চোখ রাখল রায়হান।অন্ধকারে মৃদুমন্দ বাতাসে দুলতে থাকা নারকেলের পাতাগুলোর দিকে শূণ্যদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ছোট্ট একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,’ওর নাম ছিল শহীদ সোবহান।ওর বাবা ছিলেন সোবহান চৌধুরী,আরামবাগের এমপি।আমরা সবাই এ তাকে মস্ত সাহসী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেই জানতাম।’


জন্মপাপ

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি
লিখেছেন আশরাফ মাহমুদ (তারিখ: বুধ, ২৪/০৮/২০১১ - ৯:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]আমার মৃত্যুটা কীভাবে হবে আপনাকে বলি।


মানুষকে বাঘ হাতির মর্যাদা দিন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৪/০৮/২০১১ - ৯:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মানুষের ভীড়ে বাংলাদেশের জীব বৈচিত্র্য অনেক আগেই হুমকীর সম্মুখীন। সুন্দরবন তার সৌন্দর্য হারিয়েছে মানুষেরই কল্যাণে!!


ঠেঙ্গামারা থেকে বাংলাদেশ

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: বুধ, ২৪/০৮/২০১১ - ২:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রায় আদিম যুগের কথা। ঠেঙ্গামারা গ্রামের লোকজন তখন মাত্র মোটা ধুতির উপর পিরান পরতে শিখেছে। তার আগে পুরুষকুলের সবাই উদলা গায়ে থাকতো। শীতকালে সেটা কষ্টকর হলেও গরমে আরাম ছিল। শীতকালে বয়স্কদের শিয়রে একটা করে 'আইল্লা' দেয়া হতো। 'আইল্লা' হলো জ্বলন্ত কয়লাপূর্ন পোড়ামাটির ভান্ড, যাকে মোবাইল ফায়ারপ্লেসও বলা যায়। এর সুবিধা হলো যেখানে খুশী সেখানে নিয়ে যাওয়া যায়। এমনকি সাবধানে কাঁথার ভেতরে ঢুকিয়ে নেয়া যায় শীতক


ফিরিয়ে দাও আমাকে আমার পৃথিবী

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি
লিখেছেন প্রৌঢ় ভাবনা [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৪/০৮/২০১১ - ২:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার বালকবেলায় পুঁজোর ছুটিতে আব্বা আমাদেরকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যেতেন। তখন রেলগাড়িতে করে আমাদের গ্রামের বাড়ি যেতে হত। সে সময় বাংলাদেশে (তদানিন্তন পূর্ব-পাকিস্তান) আন্তজেলা সড়ক যোগাযোগ ছিলনা বললেই চলে। তখনকার দিনে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম ছিল রেলপথ ও নৌপথ।


গ্রীজ ডেভিলদের কথা

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি
লিখেছেন রাতঃস্মরণীয় [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৪/০৮/২০১১ - ১:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]এক মুহুর্ত চোখদুটো একটু বন্ধ করুন। তারপর মনের চোখে ভাবুন একটা ছবি। কৃষ্ণবর্ণ একটা পুরুষ, শুধুমাত্র অতিক্ষুদ্র একটা ল্যাঙ্গোটে তার মধ্যপ্রদেশের নিম্নাঞ্চল আবৃত। হ্যাঁ, শুধু ল্যাঙ্গোটই নয়, তার শরীরে আরও কিছু আছে। পায়ে পরা একজোড়া বুট। অত্যন্ত শক্তিশালী স্প্রিং লাগানো। প্রতিটা পদক্ষেপে চলে যাচ্ছে ৮-১০ ফিট; এক লাফে উঠে যাচ্ছে একতলা বাড়ির ছাদে; অথবা গাছে। আর তার এক হাতে পরা একটা দস্তানা, অন্য হ


নগর দর্শনঃ টয়লেট সমাচার

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৪/০৮/২০১১ - ১২:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]মাঝে মাঝে রাস্তায় বেগ চেপে ধরলে মাথার হুস পায়ে এসে ঠেকে। দিগবিদিগ ছুটোছুটি করে যখন অবশেষে কাংখিত জায়গায় পেীঁছোতে পারি, তখন শুরু হয় অপেক্ষার পালা। সেই সময় প্রতিটি সেকেন্ডকে মনে হয় এক একটি দিন। দীর্ঘ অপেক্ষার পর যখন আমার সিরিয়ালটা আসে ততক্ষনে চেপে রাখার আর যাতাযাতির পরিনতিতে তলপেটে তীব্র ব্যাথা সম্পন্ন কোঁতাকুতি শুরু হয়। শরীরের অন্তর্নিহিত কসরতে একসময় ঘর্মাক্ত হই। তারপর নেমে আসে জ