Archive - আগ 10, 2011 - ব্লগ

অন্যরা ও অন্যরা

মনামী এর ছবি
লিখেছেন মনামী (তারিখ: বুধ, ১০/০৮/২০১১ - ১১:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মূল ঘটনায় যাওয়ার আগে, আমরা যে বাসায় থাকতাম তার একটা বিবরণ দেয়ার প্রয়োজন বোধ করছি। আমরা থাকতাম একটা বেসরকারি কোম্পানির চাকুরেদের জন্য তৈরি একটি কোয়ার্টারে যেখানে মাত্র দুইটা বিল্ডিং ছিল। বিরাট এলাকা দেয়াল দিয়ে ঘেরা, এক কোনায় দেয়াল ঘেষে সামনাসামনি দুইটা ৫ তলা বিল্ডিং। আমরা থাকতাম সামনেরটার নিচতলার ডানপাশে। বিরাট বারান্দার তিনদিকে ৩টা ঘর। প্রতিটা ঘরের বারান্দার দিকে একটা দরজা, আবার একটা করে দরজা দিয়ে


সারমেয় সার

আশালতা এর ছবি
লিখেছেন আশালতা (তারিখ: বুধ, ১০/০৮/২০১১ - ৯:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দশ বারো দিন আগে পরে আমাদের গ্রামের বাড়িটায় কোত্থেকে দুটো কুকুর এসে হাজির হল। রোগাভোগা শুকনো মলিন মুখ। একজনের আগুনেরঙা বড় বড় ঝোলানো লোম আরেকজন খয়েরি কালোয় মেশানো নেহাত দিশি চেহারা। আমাদের বাড়িটায় লোকজন নেই, সারাবছর খালিই পড়ে থাকে। তাই ওরা হাজির হল পাশের বাসায়। সেটা বড়মামার বাসা। সেখানে লম্বা টানা মাটির বারান্দায় তিন বেলা তিরিশ চল্লিশজনের পাত পড়ে। এরকম সম্পন্ন গেরস্থের বাসায় দুটো কুকু


শ্রাবণমেঘের দিন

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি
লিখেছেন অতন্দ্র প্রহরী (তারিখ: বুধ, ১০/০৮/২০১১ - ৭:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সকালে এটা লেখার সময়ও বৃষ্টি ছিল। আকাশ চুঁইয়ে গড়িয়ে পড়া পানির ধারা দেখে মনে হচ্ছিল না সহসা থামার কোনো ইচ্ছে আছে তার। তবে বিকেল না পেরোতেই অবশেষে থেমে গেছে বৃষ্টি। কে জানে কখন সে ফিরবে আবার! ফেরা না-ফেরার সেই প্রতীক্ষার পেন্ডুলামে দুলতে থাকা বৃষ্টিদিনের কিছু কথা...


নিরপেক্ষ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১০/০৮/২০১১ - ১০:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বোকার মতো পক্ষ ধরে,
মরবো কেন খাদে পড়ে?
ভেদাভেদের নীতি ভুলি,
আমার পথেই আমি চলি।
পক্ষ যেন লক্ষ লক্ষ,
আমি সদাই নিরপেক্ষ!


ভালোবাসা ভালোবাসা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১০/০৮/২০১১ - ৯:৫৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


অনিমেষ-এর কথাঃ

১.
'আপু, আপু, ওই জিনিসটা আমাকে কিনে দাও।'
'কোনটা? ওটা তো বার্বিডল। মেয়েদের খেলনা। ওটা দিয়ে তুই কি করবি?'
'না না না। আমাকে দিতেই হবে, দিতেই হবে। দাও দাও, এক্ষুণি দাও।'

এই হচ্ছি আমি। আমার অনেক রাগ। কেউ কিছু না শুনলে আমার অনেক রাগ হয়। আমার কেউ নাই। শুধু রানু আপা আছে। রানু আপারও কেউ নাই। খালি বাবা আছে। রানু আপার বাবাকে আমি পছন্দ করি না। কিন্তু রানু আপাকে পছন্দ করি। অনেক অনেক।


জাদুর কাঠি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১০/০৮/২০১১ - ৮:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ন্যাড়া মাঠটার দিকে বিষন্ন মনে তাকিয়ে কি যেন ভাবছে একটা মানুষ। পরনে তার লাল, গেরুয়া আর কালো রংয়ের পট্টি দেয়া অদ্ভুত কাবলির মত পোষাক। কাঁধে একটা সবুজ রংয়ের ময়লা চটের থলে। রুগ্ন ধরনের লোকটার চিবুকে একটুখানি দাঁড়ি, কিন্তু চোখে মুখে তীক্ষ্ণ একটা ভাব আছে। দেখেই মনে হয় খুব বুদ্ধিমান একটা মানুষ। অদ্ভুত পোশাকের এ তীক্ষ্ণ চেহারার মানুষটা পথচারীদের কারো চোখই এড়িয়ে যাচ্ছে না। সবাই যাবার পথে আড়চোখে


জগা খিচুড়ি - ০৩

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: বুধ, ১০/০৮/২০১১ - ১২:১২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]যারা জগা খিচুড়ির প্রথম দুই পর্ব পড়েছেন, তারা ইতোমধ্যেই জেনে গেছেন এই খিচুড়ি কোমল পেটে হজম হবার নয়। এ খিচুড়িতে বিভিন্ন ধরনের মসলা আছে, তাঁর মধ্যে কিঞ্চিৎ (!) অশ্লীলতার গন্ধ পেতে পারেন কেউ কেউ। সুতরাং সামনে এগুনোর আগে সাবধান! তবে কিনা অশ্লীলতার সংজ্ঞা একেকজনের কাছে একেক রকম। আমার নিজের কাছে যে কোন ধরনের ফ্লপ রসিকতাকে অশ্লীল মনে হয়। যেটা শুনে হাসি আসবে সেটা আবার অশ্লীল হবে কেন?


ফেরা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১০/০৮/২০১১ - ১২:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অফিস থেকে বের হয়েই মনটা হাল্কা হয়ে গেল। অদ্ভূত সুন্দর ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। কদিন ধরেই কিছুটা গরম পড়ছিল। গ্রীষ্মকাল আসেনি এখনও। যদিও এই শহরের আবহাওয়াটা প্রায় সব ঋতুতেই গুমোট থাকে আজকাল। কিন্তু আজ তার উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। আর্দ্র স্নিগ্ধ বাতাস মুহূর্তেই ভুলিয়ে দিল দিনভর পরিশ্রমের কথা।