সম্প্রতি ১ মার্চ ভারতীর পণ্য বর্জন কর্মসুচীর ঘোষণা দেখে একটু হেলেদুলে বসলাম। বাহবা দিলাম দেশের মানুষের দেশপ্রেম দেখে। নিজের দিকটা বিচার করতে হবে। আমি কতটা দেশ প্রেমিক সেটা সবাই কে জানাতে চাই। আপনারাও যদি একটু মনে রাখেন।
[justify]
১.
সিদ্দিকা কবীর আমাদের পরিবারে অচেনা নন। আম্মা তাঁকে অনেকদিন ধরেই চিনেন। রন্ধনশিল্পী হিসাবে তাঁর সুনাম ততদিনে পরিচিত মানুষের বাইরেও ছড়িয়ে গেছে। ১৯৭৮ সালে তাই ওনার লেখা “রান্না খাদ্য পুষ্টি” বইটা বের হলে আম্মা সেটা কিনতে দেরি করেনি। যেসব বইয়ের প্রচ্ছদ দেখতে দেখতে আমি বড় হয়েছি, সেগুলোর মধ্যে এই বইটার নাম সামনের দিকেই আছে। দুঃখের বিষয় আর পাঁচটা ছেলের মতো আমিও ওই বইটার ভেতরে বেশি উঁকি দেওয়ার তাড়না অনুভব করিনি। প্রতিদিন টেবিলে খাবার আসছে, আমরা প্রায়ই সেই খাবারের সমালোচনায় মুখর – এই রান্না কি মুখে দেওয়া যায়? ইত্যাদি নানান অভিযোগ ছাড়া রান্না, পুষ্টি আর খাদ্য পরিবেশনা - এই সবই বিরাট রহস্য রয়ে যায় আমার কাছে। সকালের দিকে একজন বাজার করছে, দশটা এগারোটার দিকে রান্না ঘর থেকে ছ্যাৎ-ছ্যাৎ শব্দ আর রেশমি ধোঁয়া – দুপুর টেবিলে খাবার, আমার কাছে এই ছিল রান্না স্বরূপ।
এখন আমার সময় হল, যখন সবাই চলে গেলো.........
আজকাল আমি মুখবই এর বুকে সময় মতো আসতে পারিনা। কারণটা হল আমার কর্মক্ষেত্র। আমার সাধারণ অকেজো কাজে হালকা পাতলা পদোন্নতি হওয়াতে আমার তেরোটা বেজেছে। বলতে গেলে দৌড়ের উপর আছি। কথা বলতে পারিনা তোমার সাথেও। কখনো কখনো আমার আকাঙ্খা ছাপিয়ে যেতে চায় সমস্ত সীমাহীন প্রান্তর। কিন্তু মন একটা জায়গায় এসে থেমে যায় বারবার।
… ভিক্টোরিয়া পার্কের পাশ দিয়ে ঠিক সেই মেঘের মতো একটি ছেলেকে হেঁটে যেতে দেখা গেলো নবাবপুরের দিকে । দক্ষিণ থেকে উত্তরে । পরনে তার একটা সদ্য-ধোয়ানো সাদা সার্ট । সাদা প্যান্ট । পা জোড়া খালি । জুতো নেই । ...… সব আছে তার । ধবধবে জামা । প্যান্ট । পকেটে কলম । কবজিতে বাঁধা ঘড়ি । হাতে একটা খাতা । মুখের দিকে তাকালে ভদ্রলোকের সন্তান বলে মনে হয় । কিন্তু পায়ে জুতো নেই কেন ওর ? ...