এইখানে আজ অস্তিত্বের শেষ নোঙর,
কাগজের নৌকো বানিয়ে ভাসিয়ে দেবার সময়ও
হয়েছে গত। গাছের প্রাণ গেছে ফিরে
মৃত বাকল হয়ে দিকহারা ঝড়ে। কবে কোন স্মৃতিস্তম্ভে
পাগল ঠাওরানো ভাস্কর তার দক্ষ ছেনির টানে;
একেঁছে সহিষ্ণূ কাফেলা। পর্বতসম ভালোবাসা
নিয়ে কারা যেন মুড়েছে হৃদয়; জন্মেছে প্লাস্টিক জাদুঘর।
আল্পনা এঁকে সেজেছে প্রশস্ত রাস্তাখানি, নির্দয় তাতে
সিমারের দল লেপেছে কালিমা খালি। রাত-ভোর মাঝে
নীলাভ সাদা রহস্যের ঠান্ডা আলো পার হয়ে সবুজ মেরুজ্যোতিতে মিলিয়ে যায় ভবিষ্যযান, যাত্রীরা স্মৃতি হয়ে যায়, রয়ে যায় শুধু আমাদের নিওলিথিক স্বপ্নে। বহু লক্ষ বছর পরে কখনো জেগে উঠবে বলে। লোনা হাওয়া ছুটে আসে সমুদ্র থেকে, পরাক্রান্ত সেই হাওয়া উড়িয়ে নিয়ে যায় আনাচে কানাচের জমা হওয়া ধূলিবসন।
[justify]তিনি রবীন্দ্রনাথের কে ছিলেন? কি ছিলেন প্রকৃত অর্থে? সম্পর্ক, দ্বন্দ্ব, মিল, অমিল, কথা, টানাপোড়েন এসব নিয়ে বাংলা সাহিত্য অনেক অনেক আলোচনা করেছে। সেই দিন থেকে আজ পর্যন্ত বিশ্লেষণ এবং বিন্যাস অব্যাহত। সেই তর্ক করার ইচ্ছে আমার নেই কিংবা বৃহৎ অর্থে বলতে গেলে সেই তর্কের জন্য যে জ্ঞান দরকার সেইরকম বোদ্ধা আমি নই।