“কিন্তু স্যার... পানি লাগবে কেন?”
আহসানের ছুঁচো প্রশ্নে মিঃ জামশেদের ভ্রু কুঁচকে আসে। পঞ্চাশোর্ধ বলিরেখায় চাপ পড়ে। চোখে-মুখে তাচ্ছিল্যের ভাব ফুটে ওঠে। এবং এসব কিছুর পরোয়া না করেই সে তাকায় আহসানের দিকে।
ল্যাংটাং ভ্যালি নেপাল তিব্বত সীমান্তে জনপ্রিয় ট্রেকিং রুট। এ পথে রয়েছে বেশ কটি চমৎকার ট্রেকিং ডেষ্টিনেশন, যেমন ৩৫০০ মিটার উচ্চতায় ল্যাংটাং ভিলেজ, প্রায় ৪০০০ মিটার উচ্চতায় চারিদিকে বরফের রাজ্য নিয়ে চমৎকার পাহাড়ি বসতি কিয়ানজিন গোম্পা, আছে গোসাইকুন্ড নামে্র হাই আলটিচ্যুড লেক। এছাড়াও আছে জনপ্রিয় ট্রেকিং পিক কিয়ানজিন রি, সেরগো রি, ইয়ালা পিক সহ বেশ কিছু ট্রেকিং পিক যেখানে কোন রকম টেকনিক্যাল ক্লাইম্বিং ছ
শিব ঠাকুরের আপন দেশে
আইন কানুন সর্বনেশে
কেউ যদি যায় পিছলে পড়ে
প্যায়দা এসে পাকড়ে ধরে
কাজির কাছে হয় বিচার
..... একুশ টাকা দন্ড তার
এই দেশটা শিব ঠাকুরের না হলেও এখানকার আইন কানুনও সর্বনেশে। সুকুমার রায় বহু আগে এই কবিতা লিখেছিলেন কিন্তু এতদিন পর ইংল্যান্ডে এসে আমি এই কবিতার সার্থকতা খুঁজে পেলাম। তেমনই কিছু মজার সর্বনাশা ঘটনা বর্ণনা করব এই লেখায়।
১
১
গত তিন মাস ধরে লিনা নামের এক মেয়ের সাথে চুটিয়ে প্রেম করছি। অসম্ভব রকমের মিষ্টি গলা লিনার। সে গান গায়। যখন আমাকে রবীন্দ্র সংগীত গেয়ে শোনায় আমার বুকের ভেতর চিন চিন করে ব্যাথা করে। যার গলার স্বর এত শ্রুতি মধুর সে না জানি দেখতে কত সুন্দর! লিনাকে আমি কখনও সামনা সামনি দেখিনি।
আধুনিক যুগে মানুষের সাথে পরিচয়ের অনেক মাধ্যম হয়েছে। মোবাইলের কথা না হয় বাদই দিলাম, ইন্টারনেট এখন অনেক সহজলভ্য। ফেস বুক, স্কাইপ, ভাইবার আরও কত কি করে মানুষের সাথে মানুষের কথা হচ্ছে, পরিচয় হচ্ছে, এমনকি বিয়ে সাদীও হয়ে যাচ্ছে। লিনার সাথে আমার কিন্তু এসবের কোন কিছুতেই পরিচয় হয়নি। তাঁর সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল খুবি সনাতন পদ্ধতিতে। লিনাকে আমি পেয়েছিলাম স্বপ্নে।
- গতরাতে এক লোক আমাকে চুমু দেয়ার চেষ্টা করেছিল।
- ঠাডিয়ে একটা চটকনা মারনি?
- মেরেছি তো! তবে অপরাধ সঙ্ঘটিত হওয়ার আগেই কি শাস্তি দেয়া যায়?!
নীড় সন্ধানীর সাম্প্রতিক পোস্টে চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিয়ে দুর্ভোগের পেছনে নগরবাসীর আচরণ যে একটা সম্ভাব্য কারণ হতে পারে, সে কথা উঠে এসেছে। এই পোস্টটা পড়ার আগে পৃথ্বী শামসের অনুবাদে নোম চমস্কির একটি সাক্ষাৎকার পড়েছিলাম। আমার এই পোস্টে লেখা ভাবনা উসকে দিয়েছে মূলত এই দুটি পোস্টের আধেয়।
দুই নাম্বার কথা হলো এই পোস্টের সাইজ অতিশয় পিচ্চি হবে, অনেকদিন জমজমাট সচল দেখি না। তাই এমনি একটু গুঁতা দেওয়া পোস্ট এইটা।
|| ঈশ্বরের অস্তিত্ব ||
হালের কালের পড়ুয়াকে প্রথমেই বলে নিই, এ গল্প সেই মান্ধাতার আমলের, আমাদের কালের। এ গল্প সামনা-সামনি দেখবেন তেমন কপাল করে সম্ভবতঃ আসেননি আপনারা। আর প্রবীণ পড়ুয়া, আপনাকে চুপিচুপি বলে রাখি এ গল্প একেবারেই আমার মগজের ভিতর হ’তে উৎসারিত। কোথ্বাও কারো সাথে যে কোন মিল নেই, সে আপনার থেকে বেশী আর কেউ জানে না। তবে, কপালের কথা কে বলতে পারে! সব্বাই হয়ত বলবেন আপনাদের চেনা গল্পটাই আবার চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যাকগে, শুরু করে দিই।