শ্রদ্ধেয় রিটন ভাইয়ের উপস্থাপনায় একুশে বইমেলায় জুবায়ের ভাইয়ের "সিকি আধুলি গদ্যগুলি" এবং "সচলায়তন সংকলন ২য় খণ্ড" পরিবেশন করেন সৈয়দ দেলগীর ওরফে নজরুল ভাই।
একটু দেরিতে রেকর্ড চাপায় প্রথম কয়েক সেকেন্ড হাপিস হয়ে গেছে। খুব কম রেজোলিউশনে যেটুকু পেলাম, তা-ই ইউটিউবে তুলে দিলাম।
ধন্যবাদ রিটন ভাই ও নজরুল ভাইকে।
...
নকীব ভাইয়ের সাথে আমার প্রথম পরিচয় হয় ২০০৭ এর জানুয়ারী মাসে। আমি তখন সবে এডমন্টনে এসেছি। আমাদেরকে বরণ করে নিতে ইউনিভার্সিটি অফ আলবার্টার বাংলাদেশী ছাত্র সংগঠন থেকে একটি নবীন বরণের আয়োজন করা হয়েছে, সেই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে এসেছিলেন। বুয়েটের ছাত্র ছিলেন , কানাডায় আছেন অনেক বছর ধরে।অনুষ্ঠানের ফাঁকে আড্ডায় এখানকার সাংস্কৃতিক পরিবেশ নিয়ে কথা হল, জানা হল ২০০৭ এর মাঝামাঝিতে এখান...
„শালারা সব অকৃতজ্ঞের দল!“ বললো সৈন্যটি। থু করে একদলা থুতু ফেললো সীমাহীন ঘৃণায়। বালিময় উত্তপ্ত মাটিতে সে থুতুর দলা মুহৃর্তের মাঝেই মিলিয়ে গেলো। সাদা একটি বৃত্তাকার দাগ কুশ্রী এক চিহ্ন রেখে পড়ে রইলো কিছুক্ষণের জন্যে।
„ব্যাটাদের জন্যে এই মরুভুমির দেশে জান বাজী রেখে লড়তে এলাম আমরা, অথচ এরাই আমাদেরকে ঘৃনা করে! বিকট চেহারা একেকটার! মুখভর্তি দাড়ি, ময়লা পোষাক আসাক, দেখলেই ডাকাতের ম...
৬. নানা রঙের মানুষগুলি - ২
আমার সেই সময়ের আরেক হিরো পাড়ার খোকা ভাই, পোশাকী নাম আবদুর রহমান। তাঁর কনিষ্ঠ সহোদর ফটু এবং মামাতো বা ফুপাতো ভাই মটু আমার সমবয়সী, সে বাড়িতে আমার যাতায়াত অবাধ। খোকা ভাই থাকতেন বাড়ির বাইরের দিকের একটি ঘরে। ফোর এইচ ক্লাবের ফুটবল ছাড়া আর সবকিছুতে প্রধান সংগঠক খোকা ভাই। ক্যারমে তিনি বগুড়া শহরের রানার আপ, চ্যাম্পিয়ন বাদুড়তলার মিন্টু। খোকা ভাই ব্যাডমিন...
'এই মুখের কথাই জয়, মুখেই হয় রে ক্ষয়
মুখেই ভাষাই ভালোবাসা, ঘৃণার কারণ হয়'
অনর্গল কথা বলা মানুষের মুখের দিকেই চোখ থাকে বেশি। কখন পড়বে ভাঁজ ঠোঁটের কোণায়, ভ্রু কুঁচকিয়ে বা দুঠোঁট বাঁকিয়ে কতো রকম ঢঙে ফুটবে কথার তুবড়ি, আসবে ছুটে থুথুর কণা শরীরে সে ব্যাপারে সজাগ থাকি সবসময়।
মাঝে মাঝে মনে হয় কথা নয় কেউ কেউ উগলে দিচ্ছে বমি। মুখ ফিরিয়ে নিই অন্যদিকে; এই বুঝি নাড়িভুড়ি উল্টে যাবে পেট থেকে আচ...
বিভিন্ন প্রয়োজনে বেসরকারী বাংলা টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত সংবাদের কিয়দংশ আমাদের কাজে লাগে। সবসময় তা টিভি থেকে ক্যাপচার করা সম্ভব হয় না।
এমন যদি হতো, চ্যানেলগুলি তাদের সংবাদগুলি নিয়ে অনলাইনে অন্তত একদিনের বাফার তৈরি করে রাখতে পারতো, তাহলে তা নিঃসন্দেহে ব্লগিংকে একটি ভিন্ন মাত্রা দিতে পারতো।
আমার জানা নেই, ইতোমধ্যে এমন কোন রিসোর্স গড়ে উঠেছে কি না। যদি কেউ জানেন, অনুগ্রহ কর...
সেদিন বাসে ফিরছিলাম হারবারফ্রন্ট থেকে, ১০ নম্বর রুটের ভলভোতে চড়ে নীচতলার একটা সিটে বসতেই নজরে পড়লো লেখাটা, 'অন্য যে কোনো পেশার মতই এই বাসের ক্যাপ্টেন আপনার কাছ থেকে যথাযোগ্য সম্মান আশা করে, তাকে তার সম্মান দিন, অন্যথা দেখলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানান'। বাসচালককেও যে ক্যাপ্টেন বলা যায়, সেটা আমার মত বঙ্গসন্তানের কাছে 'আররে, ইন্টারেস্টিং তো'। আমরা ড্রাইভার বলে গালি দিতে অভ্যস্ত, কিংবা...
সময় চোখের নিমেষে ফুরুৎ হচ্ছে। বয়স সবে বাড়তে শুরু করার দিনে একদম এগুতো না। এখন পুরা উল্টা। ইদানিং জলহস্তি দিয়েও বেঁধে রাখা যাচ্ছে না। মাথার সামনের দিকে একটা চুল অনেকদিন ধরে পেকে আছে। কয়েকবার শ্রীঘরে পাঠাবার পরেও ঐ জায়গায় ঠিক ঐ চুলটাই গজাচ্ছে এবং সেটা পাকা। খুপড়ির ভিতরে যতই লজেন্স-লাট্টু-ডাঙ্গুলির আবদারগুলি মুখ ভেঙচে কাঁদুক, ক্ষেতের ফসল ঠিকই সময়মতো পেকে চুলায় উঠবার প্রক্রিয়ায়...
ফোন আছে, অথচ উল্টাপাল্টা ফোনের পাল্লায় পড়েনি, এইরকম পাবলিক বোধ করি বাংলাদেশে একটাও নাই। ”হ্যালো, এইটা কুন জাগা?” - এই ডায়লগটাই যে সবচেয়ে বিরক্তিকর, সেটা বলাই বাহুল্য। সেই প্রথম প্রথম যখন একখানা ছোটখাটো কিউট মোবাইলের অধিকারী হইয়াছিলাম, তখন ফোন তো ফোন, রঙ নাম্বারগুলিও বড়ো কাঙ্খিত মনে হইতো। কিন্তু হায়, না আছে সেই রাম, না আছে অযোধ্যা। এখন উল্টাপাল্টা কোনো কল আসলেই পায়ের রক্ত সব সাঁই ক...
সত্যি কথা বলতে গেলে, লেখার কাজটা খুবই ঝামেলাপূর্ণ। মনে হয়, মাথার ভিতর চিন্তাভাবনাগুলোত্রিমাত্রিকভাবে থাকে। তাই যেভাবেই উল্টাও না কেন, বদলাবে না। কিন্তু লিখতে গেলে তাকে বানাতে
হবে সরলরেখার মতো। তা না হলে পাঠককে বুঝানো মুশকিল। তাই বলে, পাঠকদের আমি ছোট করছিনা। আমার মনে হয়েছে, আমাদের চিন্তাধারা ব্যক্ত করার প্রক্রিয়াটা ত্রুটিপূর্ন। আর এজন্যই, অনেক
চিন্তাশীল, ভালো সাহিত্যিক নন; আ...