ন্যাড়ার একবার পর্যন্ত বেলতলায় যাওয়ার নিয়ম আছে। আমার মাথাভরা চুল, একবারের ব্যাপারটা ঠিকমত বুঝি না। তাই বার বার স্কুলে ফিরে আসি আরো উচ্চশিক্ষিত হওয়ার জন্য। আর প্রতিবারই আগের চেয়ে বেশি করে নিশ্চিত হই মাথায় ধূসর পদার্থের অভাব সম্পর্কে। এছাড়া সবুজতর ঘাসের চিরন্তন খোঁজে ঘুরে মরাতো আছেই।
আগের লেখা 'উগ্রতা পরিহার করুন' পড়ে অনেকেই আমার উপর কুপিত হয়ে কুপানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন অনলাইনে অফলাইনে। আমি যাই বঙ্গে, কপাল যায় সঙ্গে। ভালো ভালো উপদেশমূলক লেখা লিখলেও লোকে সেটাকে স্যাটায়ার ভেবে কুপিত হয়। এককালে স্যাটায়ার লেখক ছিলাম বটে কিন্তু চারিদিকের পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে লাইনে এসে গেছি সময়মত। তাই লেখার উপরে স্যাটায়ার সিল না দেয়া থাকলে সেটিকে স্যাটায়ার ভেবে লেখককে কোপানো জায়েজ বলে ফতো
বিকেল ৫টা বাজতে না বাজতেই আজ আড্ডা ছেড়ে উঠে পরলো রাফি। অনেকদিন ধরেই যাব যাব করে যাওয়াই হচ্ছে না। মা’র জন্য একটা শাড়ি কিনতে হবে। পহেলা বৈশাখের আগে আর মাত্র একটা দিনই আছে হাতে! মা নিজেই যদিও শপিং করবে তবুও সবসময়ই রাফি নিজে থেকেও কিছু একটা কিনে দেয়। আড়ংএ গেলেই মনে হয় তাড়াতাড়ি হবে - দামাদামির ঝামেলা নেই।
দুর্যোগের বিরাশি সিক্কার থাপ্পড়ে মানুষের মুখোশ খুলে পড়ে। শুধু দুর্যোগ নয়, শাহবাগ আন্দোলনের মত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সময়ও প্রয়োজনীয় মেরুগুলো প্রস্ফুটিত হয়। একেকটা ঘটনার(Event) প্রসবযন্ত্রনার মধ্য দিয়েই মানুষের জন্ম হয়, মানুষের অন্তরাত্মা পরিপূর্ণ নগ্নতায় অবভাসিত হয়। স্থবির সময়ে আমরা মানুষের যে রুপটা দেখি, তা শুধুই মরীচিকা।
ইউভাল নোয়া হারারি ইতিহাস পড়ান হিব্রু ইউভার্সিটি অব জেরুজালেমে। তাঁর রচিত বেস্টসেলার Sapiens: A Brief History of Humankind সম্প্রতি বেশ আলোড়ন তুলেছে। এরই মধ্যে এই বইটি প্রায় ৩০টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। বইটিতে লেখক মানব জাতির বিবর্তন থেকে শুরু করে আধুনিক যুগের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিপ্লবের নানা বিষয় অত্যন্ত দারুণভাবে বর্ণনা করেছেন। সবচেয়ে আগ্রহোদ্দীপক ব্যাপার হলো, বিভিন্ন বিশ্লেষণে তিনি ব্যবহার করেছেন বিবর্তনীয় জীববিদ্যার নানা সিদ্ধান্ত। বইটির বাংলা অনুবাদ শুরু করার দুঃসাহস দেখিয়েছি। অনুবাদ নিয়ে সকলের মতামত কামনা করছি। যে কোনো ধরনের ভুলত্রুটি শুধরে দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।
সামনে কিছুদূর এগুতেই অন্য ধরনের একটা পাখি উড়ে গেল দূরে একটা শিমুল গাছের দিকে। ওড়াটা অন্যরকম। শাহেদ-সোহানও দেখেছে। ওরাও চিনতে পারল না। ও পাখির আশা বাদ দিয়ে একটা আম বাগান লক্ষ করে এগুতে শুরু করলাম। হঠাৎ বাঁধা এলো সোহানের কাছ থেকে, ‘ভাইয়া কী পাখি দেখেন?’
চোখে পড়তে সময় লাগল, শাহেদ অনেকটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। কলা পাতায় বসে আছে অদ্ভুত সুন্দর নীল রংয়ের পাখি। আগে কখনওই দেখিনি এ পাখি। ওরাও দেখেনি। ট্রাইপড নামিয়ে ক্যামেরা ফোকাস করতে করতে পাখি উড়ে গেল ক্রাক ক্রাক ডাকতে ডাকতে। আফসোসের অন্তত নেই! একেবারে অচেনা পাখি। আছিই বা আর কদিন! এর মধ্যে পাবো কিনা তার ভরসা কোথায়।
সেক্স আমাদের তথাকথিত শিক্ষিত সমাজে এতটাই ট্যাবু বিষয় যে এর একটা প্রমিত বাংলা প্রতিশব্দ পর্যন্ত নেই। মানব প্রজাতি ধরে রাখার মৌলিক কাজটিকে উল্লেখ করতে বিদেশি নয়ত সমাজের নিচুতলার মানুষদের মুখের ভাষা থেকে শব্দ ধার করতে হয়। এমন ভাব যেন সক্কলে ডিম ফুটে বের হয়েছি।
সময়: ৩১শে ডিসেম্বর, ১৯৯৯
স্থান: টিএসসি
ঘটনা:
[justify]বার চারেকের মত মিলান যাওয়া হলে ও লাস্ট সাপারটা দেখি দেখি করে ঠিক দেখা হয়ে উঠেনি। প্রথমবার জানা ছিল না বিধায় অগ্রিম টিকেট না করার জন্য শেষ মুহূর্তে আর টিকেট পাওয়া গেলনা। ঠেকে গিয়ে শিখলাম যে এই মুরাল দেখতে হলে মেলা আগে থেকে বুকিং দিতে হবে, লোকজন নাকি মাস চারেক আগ থেকেই বুক করে ফেলে। যাই হোক এবার কনফারেন্স এর সুবাদে লাস্ট সাপার দেখা হবে এই আশায় বসে ছিলাম। কিন্তু সেই আশার গুড়ে বালি দিয়ে ইমেইল
এপ্রিল, ১৮১০। কলকাতা।
সকাল।
ইংরেজ সওদাগর এবং কোম্পানির অবসরপ্রাপ্ত মেজর মার্কাস স্মলের নতুন বাসভবনের ডাইনিং রুমে ব্রেকফাস্ট পরিবেশন করে গেল চাকর সুবহান আলি। বড় ডাইনিং রুম, উপরে উঁচু গম্বুজ। ভবনটি আগে এক স্থানীয় হিন্দু মহাজনের ছিল, সে পানির দরে কিনে নিয়েছিল মূল মুসলমান মালিকের কাছ থেকে বছর বিশেক আগে। বেশ খোলামেলা মাজারের মত স্থাপনা। বাইরে ফোয়ারা। মৃদুমন্দ বাতাস।
মার্কাসের অতিথি সদ্য লন্ডন থেকে আগত কবি ডাল্টন হামফ্রি বেকন আন্ডায় কামড় দিয়ে রুমাল দিয়ে মুখ মুছে বললেন, যাই বল মার্কাস, নেপোলিয়নের ধান্দা ব্যানফিল ঠিকই ধরতে পেরেছিল।
ছুরি দিয়ে এক টুকরো সসেজ কেটে মুখে দিয়ে নির্বিকার কন্ঠে মার্কাস বললেন, ব্যানফিল একটা উজবুক।