[img]DSCN1542 by Kabir Ahmed 26, on Flickr[/img]
অন্তর্ধান (দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব)
(৩)
‘১২ নম্বরকে আর বেশিদিন রাখা যাবে না। বুঝতে পারছো?’ রমজান ঘরে ঢুকতেই শুরু করেন যুবায়ের মাহমুদ। ঘরটা একটু আলো-আঁধারিতে। তূলনামূলক অন্ধকারে বসে কথা বলছেন যুবায়ের। বরাবরই তাই করেন। রমজান তখনো ধাতস্ত হয়নি পুরোপুরি। বড় সাহেবের ডাক শুনে একরকম ছুটতে ছুটতেই এসেছে সে। এরকম জরুরী তলব সাধারণত তিনি করেন না। কী কারণ তাই ভাবছিলো রমজান। আসার পথে সোবহানের সাথে এ নিয়ে কথা বলারও চেষ্টা করেছে। যদিও রমজান ভালো করেই জানে যে এই চেষ্টা অহেতুক। কারণ রমজানই হচ্ছে বড় সাহেবের ফাস্ট হ্যান্ড। সোবহান তার পরে। এর পাশাপাশি আর কেউ আছে কিনা তা অবশ্য রমজান জানে না। রমজান অনেক কিছুই জানে না, এই যেমন বড় সাহেব। রমজান শুধু জানে অনেক বড় সরকারি কর্মকর্তা। ব্যাস এইটুকুই।
সবাইকে পহেলা বৈশাখে ১৪২২ নববর্ষের শুভেচ্ছা। আরও একবার বৈশাখ আমাদেরকে বাঙালির সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন সামাজিক অনুষ্ঠানে একত্রিত হওয়ার সু্যোগ দিয়েছে। এই শুভ ক্ষণেও মৌলবাদীদের একদল পহেলা বৈশাখকে অমুসলিম বা হিন্দুদের বা বিধর্মীদের উৎসব সুতরাং ‘নাজায়েজ’ বলে বন্ধ করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। যার প্রমাণ আমরা বোমা হামলা থেকে শুরু করে আরো অনেক লেখালেখি বা অনলাইন প্রচারণায় প্রতিনিয়ত দেখছি। মৌলবাদীদের অ
প্রথম অধ্যায়
…
(১)
‘সোনার পাথরবাটি’ কিংবা ‘কাঁঠালের আমসত্ত্ব’ জাতীয় প্রবাদগুলো ছোটকাল থেকেই আমরা সবাই শুনে আসছি এবং এসব অবাস্তব বস্তু বা বিষয়ের মর্মার্থও আমাদের বোধের অগম্য নয় নিশ্চয়ই। কিন্তু একালে এসে যখন তথাকথিত কোন বিদ্বানপ্রবরের মুখে নতুন আঙ্গিকে এমন কথা বলতে শুনি- ‘বিজ্ঞান চাই কিন্তু বিজ্ঞানবাদিতা চাই না’, তখন আঁৎকে উঠে পুরনো কাসুন্দিকেই আবার নতুন করে ঘুটানো ছাড়া গত্যন্তর থাকে কি! কথাটা কি কোন বিদ্বানের অসতর্ক মুহূর্তে ক্ষণিকের প্রলাপ ভাববো, না কি এর ভেতরে কোন রহস্য ও গূঢ় উদ্দেশ্য রয়েছে, তা খোঁজার আগে আমরা মনে হয় কিছু তরল কথাবার্তা সেরে নিতে পারি!
যদি আজকেই প্রকাশিত হয় তাহলে চৈত্র সংক্রান্তির শুভেচ্ছা
আর নইলে একটি কামারুজ্জামানমুক্ত নতুন বছরের শুভেচ্ছা
পহেলা বৈশাখের আগের দিনটি অবধারিতভাবেই চৈত্র্য সংক্রান্তি ঠিক যেমন মাঘ মাসের প্রথম দিনটির আগের দিন পৌষ সংক্রান্তি। একটা মাস বা বছর শেষ না হলে নতুন মাস বা বছর শুরু হওয়ার প্রশ্ন নেই। বাংলা পঞ্জিকায় ‘পহেলা’ তারিখের আগে তাই ‘সংক্রান্তি’ রয়ে গেছে সবসময়। আর তার সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের ছোটবেলার পহেলা বৈশাখগুলোও শুরু হতো চলে যাওয়া বছরের সমাপনী দিনটির রেশ নিয়েই। আজকের শহুরে সংস্কৃতির মতো কেবল একটি দিনকে লাল-
১ এপ্রিল ২০১৫। বিকেল তখনও হয়নি। আকাশে মেঘের ঘনঘটা কয়েকদিন ধরেই। ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা মাথায় নিয়ে চললাম গাঁয়ের একেবারে পশ্চিম প্রান্তে। সকালে সেখানে একটা শাহবুলবুলি পাখি দেখে এসেছি। কিন্তু ছবি নিতে পারিনি। আজকাল এই পাখিটা বড় দুর্লভ হয়ে উঠেছে। তাই আবার ওই মাঠে অভিযান। এদিকটাই বড় বড় বাগান আছে, আছে শিমুল গাছ। হরিয়ালেরও বড় আড্ডা নাকি এদিকে। তাই একবারে অনেকগুলো ছবি নেওয়া যাবে। আমার সাথে আছে খালাতো ভাই শাহেদ।
ইছামতীর পাড়ে বড় বাগানটায় এসে শাহেদ চেঁচিয়ে উঠল, ‘ভাইয়া শিয়াল!’
উইকেন্ড, ইয়েএএ।
এত খুশি হবার কিছু নেই, ছুটির দিন মানেই ছুটি নয়। অন্তত এ সপ্তাহে তো নয়ই। আজকে রাত ১১.৫৯, কালকে রাত ১১.৫৯... এরকম আগামি টানা সাতদিন রোজ একটা করে মৃতরেখা, মানে ডেডলাইন আছে আমার। 'বোলগ' লিখতে বসে গেছি দুঃখে, দেখেন না।