‘যারে আমি চাই তারে আমি দিই ধরা
সে আমার না হইতে আমি তাহার হই
পেয়েছি বলে মিছে অভিমান করা
অন্যরে বাঁধিতে গিয়া বন্ধন মোর।’
বাসনা বুঝি এমনই। যা আমার নয়, অথচ আমার বলে ভাবি।
বাসনা আর লোভ কি একই?
একই না হলেও ওরা জোড়া। জমজ। হাত ধরে হাঁটে। কান টানলে যেমন মাথা আসে, বাসনা জন্মালেই লোভ জেগে ওঠে।
হরিপূর্ণ ত্রিপুরা
[এই ছবির ব্যাকগ্রাইন্ড হিস্ট্রি জানার আগ্রহীরা নিচের সংবাদের লিঙ্ক পড়লে জানতে পারবেন ]
[পুরাতন ইমেইলে খুঁজে পাওয়া গেল। ৩০ মে ঋতুপর্ণ ঘোষের মৃত্যুদিবস]
৪৯ বছর বয়সে এবং সৃষ্টিশীল অবস্থায় ঋতুপর্ণ ঘোষের মৃত্যু নিঃসন্দেহে ভারতীয় চলচ্চিত্র ও ভারতীয় বাংলা ছবির জন্য আঘাত। সত্যজিৎ-মৃণাল-উত্তর জমানায় আন্তর্জাতিক আসরে ‘ভারতীয়’ ছবিকে গুছিয়ে তুলে ধরেন তিনি। ভারতের, বিশেষত পশ্চিম বাংলার, ‘স্বাধীন’ [ইন্ডি] চলচ্চিত্রকারদের উৎসাহ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যদিও তার নিজের ছবিগুলো ঠিক ‘স্বাধীন’ গোত্রের নয়।
--"এইসব কী ঘটছে রে ভাই ডাইনে এবং বাঁয়ে?"
--"ভরসা রাখুন নায়ে"
--"মুখেতে তালা, চোখেতে ঠুলি, শিকল পরা পায়ে--"
--"ভরসা রাখুন নায়ে"
--"স্কুল সিলেবাস পাল্টে গেছে শফি হুগুরের রায়ে"
--"ভরসা রাখুন নায়ে"
--"পূজার বেদী তছনছ করে মূর্তি ভাঙ্গছে পায়ে"
--"ভরসা রাখুন নায়ে"
--"হিজাব আর টুপি পরেই দেশটা পাল্টাবে মদীনায়ে?"
--"ভরসা রাখুন নায়ে"
--" সেলিম ওসমান দিব্যি আছেন, শ্যামলকান্তি জেলে
[justify]সর্বশেষ পোস্টটি দিয়েছিলেন আজ থেকে ঠিক আট বছর কুড়ি দিন আগে। তারপর কেন আর পোস্ট দেননি সেটা আপনি জানেন। অভিমান করেছিলেন কি? অথবা রাগ? জানতে পারিনি। অথবা হয়তো ভেবেছিলেন, কিছুদিন থাক এসব। তাও জানতে পারিনি।
পরিচয় নেই, সেটিই কি মুখ্য?
না, মোটেই তা নয়!
প্রতিরাতে কত পাতা ঝরে
ঝরে পড়া অগুনতি নক্ষত্রকে
তবু হাত নেড়ে বলি, 'বিদায়!'
মানুষেরা মরে গেলে মানুষেরই হৃদয় কাঁদায়...
এই বার লোকটা সত্যিই নির্বাসনে গেল
এই বার লোকটা এত দূরেই চলে গেল যে
তোমাদের কারো কোন ডাক আর তার কাছে পৌঁছাবে না
তোমাদের আর কোন আকুল প্রার্থনায়,
অথবা কোন কঠোর তপস্যায়
সে আর মুখ ফেরাবে না ।
এতদিন হয়ত অভিমান করেছিল,
চোখের পাপড়িতে তুষারের মত জমে ছিল অনন্ত বিষাদ
আজ সে কপাল থেকে
এলোমেলো চুলের মতন সরিয়ে দিয়েছে তোমাদের নাম
আমাদের নাম
দেশ ছেড়ে এসেছিল অনেক আগে
বলো তুমি কেমন মানুষ?
ভেতরে কি পাহাড়, নদী
তার পাশে পথ; পথিক চাইলে হাঁটতে পারে?
আছে আকাশ? মেঘলা দুপুর—
গাছের ছায়ায় রাখালরা কি মনের সুখে বাঁশী বাজায়?
জানলা আছে? চুল ওড়ানো ফুলের বাতাস?
রোজ বিকেলে চিঠির আশায় কেউ কি বলো
দাঁড়িয়ে থাকে?
মানুষটা কি এমন তুমি?
পাল তোলা এক মনের মাঝে ‘বউ কথা কও’ পাখি পোষো,
যত্ন করে ছড়িয়ে রাখো সোনালী ধান উঠোন জুড়ে—
এইটা আসলে অনেক অনেক দিন আগে, যখন একটা বিশেষ নারী সপ্তাহ পালন হচ্ছিল, সেই সময়ে লেখার কথা ছিল । কিন্তু তখন নানা কারণে লেখাটা দেওয়া হয়ে ওঠে নি ।
এ কাহিনি তিন প্রজন্মের । শিশুবালা বনলতা মণিদীপার গল্প । দিদিমা মা মেয়ের এই তিন প্রজন্মের গল্প যেন একটা ছোট্টো আয়না, পরনির্ভরশীল পুরুষশাসিত সমাজের মধ্যে মেয়েদের স্থান কী, সুখ কী দুঃখ কী আর কালের সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে অবস্থার বদল হয়েছে সেই গল্প ।
পরিণীতা
--- রাজিব মাহমুদ