১
এটা মোডকদের গল্প। মোডকরা হলো নেটিভ আমেরিকান জনজাতি, থাকতো ক্যালিফোর্নিয়া আর ওরিগনের সংযোগস্থলের বনপাহাড়ের মধ্যে। এদের সৃষ্টি বিষয়ক উপকথায় আছে পৃথিবীতে মানুষ কীভাবে এলো সেই কাহিনি।
বাঁকা শিঙওলা, ভূষভূষে কালো রঙের বিরাট এক মোষের পাশে বসে আমার স্কুলের প্রথম দিনটা শুরু হয়েছিল । এখনকার বাচ্চারা কি সুন্দর কার্টুন আঁকা ব্যাগ, বারবি পানির বোতল নিয়ে টুক টুক করে ঝাঁ চকচকে স্কুলে পড়তে যায় । আমাদের সময়ে এত কিছু ছিলনা । বাবার ছিল বদলির চাকরি, তাতে আবার ওপরঅলাদের তৈল সিঞ্চনে অপারগ । অবধারিত ভাবেই কিছুদিন পর পর ট্রাকের পেছনে মাল সামান নিয়ে এ শহর ও শহর করতাম আমরা । সেবার গেলাম পলাশ
এই উপকথা সাইবেরিয়ার। সৃষ্টি বিষয়ক উপকথা। কীভাবে সৃষ্টি হলো পৃথিবীর জমি, গাছপালা, পশুপাখি ও মানুষ। আমাদের উপকথার কারণসলিলে নিমজ্জিত জগতের গল্পের সাথে কিছু কিছু মিল আছে। মানুষ সৃষ্টির গল্পের সাথে মিল আছে বাইবেলের আদিপুস্তকের গল্পের।
সে বহুকাল আগের কথা। তখন সবকিছু জলে ঢাকা, কোনো ডাঙা জমি নেই কোথাও, গাছপালা পশুপাখি কিচ্ছুটি নেই। এমনকি জলেও কোনো জীব নেই।
ঢাকায় সচলায়তনের প্রাণভোমরা নজরুল দম্পতির সৌজন্যেই বেশীর ভাগ সচলাড্ডা হয়। এই প্রথা ভাঙ্গতেই সিদ্ধান্ত নিলাম ৯ই মে আমার বাসায় একটি ছোটখাট আড্ডা জমাব সচলদের নিয়ে। সব প্রস্তুতি শেষ করতে করতে পারিবারিক এক অসুস্থতা বাগড়া বসাল। আমার শাশুড়ি সপ্তাহ দুই ধরে খাবারে রুচি হচ্ছিল না বলে খুব দুর্বল হয়ে পড়ায় বিভিন্ন ডাক্তার দেখানোর পর শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হল যে ওনাকে স্কয়্যার হাসপাতালে এক পাকস্থলীর চিকিৎসকের তত্বাবধানে ভর্তি করা হবে। সেই মোতাবেক ৮ই মে সকালে তাকে ভর্তি করানোর জন্যে উদ্যোগ নিলে বলা হল বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে সিটের জন্যে। সেদিন সকালে ভর্তি হলে হয়ত গল্পটি অন্যরকম হত।
কিন্তু বিধাতা আমাদের জন্যে অনেক অভিজ্ঞতা জমা করে রেখেছিলেন।
[justify]"আমার মত অনভিজ্ঞ ও নতুন পোড়োদের পক্ষ থেকে পণ্ডিতদের কাছে আমি এই আবেদন করে থাকি যে, ব্যাকরণ বাঁচিয়ে যেখানেই বানান সরল করা সম্ভব হয় সেখানে সেটা করাই কর্তব্য তাতে জীবে দয়ার প্রমাণ হয়।" –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
দুর/দূর, কুজন/কূজন, কুল/কূল, পুত/পূত, পুর/পূর, সুতি/সূতি, অনুপ/অনূপ, অনুদিত/অনূদিত, কুট/কূট, ধুম/ধূম, আহুতি/আহূতি–ইত্যাদি অজস্র শব্দের উচ্চারণই অভিন্ন, তবু বানানের তারতম্যের কারণে অর্থ আলাদা হয়ে যেতে দেখা যায়। বাংলায় নাকি উ-কার ( ু) ব্যবহার হয় হাজারে ১৭টা আর ঊ-কার ( ূ) হাজারে মাত্রই ১টা। তাই 'উ' ব্যবহারকে ঊন বলা না-গেলেও 'ঊ' ব্যবহার কিন্তু সত্যিই
আজ ব্লগ ঘাঁটতে গিয়ে দেখি একজন প্রমীলা ব্লগার 'ধুর ছাই এই বোরিং জীবন আর ভাল্লাগেনা' বলে একটা আহাউহু পোস্ট দিয়েছেন, আর সবাই উনাকে ভাল লাগাবার নানারকম উপদেশ দিয়ে চলেছেন । এই কাণ্ড দেখে আমার জয়নবদের কথা আবার মনে পড়ে গেল ।
১০. কালো টাকা - সাদা টাকা
ডান হাতে বিকটাকার একটা বই, সাথে চক-ডাস্টার। বাম হাতে একটিমাত্র জিনিস- তিন ফিট লম্বা, লিকলিকে, চকচকে একটা বেত। স্মিতহাস্যে সদা উজ্জল দু'খানা ঠোঁট আর পুরু লেন্সের কারণে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় ছোট মনে হওয়া একজোড়া পিটপিটে চোখ- তাঁর শুধু এই দুইটি জিনিস যিনি দেখবেন, তিনি তাঁকে নিতান্ত-ই কোমল মনের রসিক একজন মানুষ বলে ধরে নিবেন। যিনি শুধু তাঁর ডান হাতের দিকে তাকাবেন, তাঁকে প্রচন্ড বিদ্যানুরাগী, জ্ঞান-তাপস একজন মানুষ বলে নির্দ্বিধায় স্বীকৃতি দিবেন। কিন্তু এই দুইয়ের সাথে, বাম হাতের অদ্ভূত ভয়ংকর ভঙ্গিমায়, তীব্রভাবে দোদুল্যমান বেতখানি যিনি দেখবেন, অভিন্ন একজন মানুষের বিভিন্ন অংশের চরমতম বৈপরীত্য দৃষ্টিগোচর হবার প্রচণ্ড প্বার্শ-প্রতিক্রিয়ায়, হৃদযন্ত্রের যাবতীয় কার্যকলাপ সাঙ্গ করে তৎক্ষনাত তার ইহধাম ত্যাগ করার সমূহ সম্ভাবনা আছে বৈকি!
[ডিস্ক্লেইমার : সচলে অনেক বাঘা বাঘা ফটুরে আছে। তাদের ফটুক দেখলে অন্য ফটুক দেখতে মঞ্চায় না। তারপরেও সাহস করে আমার অ-ছবি গুলো আপ্নাদের পাতে দেওয়ার দুঃসাহস দেখাচ্ছি।]
গত আগস্টে আমরা চারজন ফেনী-নিঝুম দ্বীপ-চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি-বান্দরবন-কক্সবাজার জয় করতে বের হলাম। আমাদের পরিকল্পনার ভুলে নিঝুম দ্বীপ অদেখাই থেকে গেল। তো যাই হোক ফেনীতে বন্ধুর বাড়িতে এক রাত থেকে চট্রগ্রাম গেলাম। চট্রগ্রাম ঘুরে পাহাড়ীকা-ই চড়ে রাঙ্গামাটি। গাড়ি থেকে লেক-পাহাড় পরিবেষ্টিত রাঙ্গামাটি দেখে এক কথায় বলা চলে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। তখন ছিল রমজান মাস। পুরো রাঙ্গামাটিতে পর্যটক বলতে আমারা চারজন। রাতে থাকার জন্য পর্যটনে হানা দিলাম। আমাদের পরম দূর্ভাগ্য যে বউ ছাড়া হানিমুন কটেজে রাত্রিযাপন করতে হলো।