Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

এরশাদাদু (৭০ বছর বা তদুর্দ্ধ)

ব্যক্তিক জ্ঞান

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি
লিখেছেন ধ্রুব বর্ণন (তারিখ: শনি, ০২/০৬/২০১২ - ৪:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এআই গবেষক প্রফেসর রিচার্ড সাটন এআই-সংক্রান্ত তার মৌলিক কিছু ভাবনা নিয়ে ২০০১ সালে কয়েকটি ব্লগ লিখেছিলেন। ভাবনাগুলো আমার কাছে সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। নিজের ভাবনার সাথে মিল ও ওনার সাথে ভাবনাগুলোর আদান-প্রদানের ব্যক্তিগত ইতিহাসের কারণে। এখানে ওনার Subjective Knowledge ব্লগটির ভাবানুবাদ করলাম।


দেশে বিদেশেঃ পন্ডিতমশাই

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: রবি, ২৭/০৫/২০১২ - ১২:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার ছাত্রজীবন কেটেছে দুর্বিষহ যন্ত্রণার ভিতর দিয়ে। পিতামাতা উভয়েই শিক্ষক, আমি কোনদিন বাসায় গিয়ে বলতে পারিনাই যে টিচার আমাকে নাম্বার দেয়নাই। তারা দুজনেই হাঁ হাঁ করে ঝাঁপিয়ে পড়তেন আমার উপর, টিচার নাম্বার দিবেনা ক্যানো হ্যাঁ? তুমি কিছু লিখতে পারোনাই তাই নাম্বার পাওনাই ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনারা সকলেই জানেন ক্লাস টেস্টের খাতা অভিভাবককে দিয়ে সাইন করিয়ে আনাটা ফরমালিটি মাত্র, অভিভাবক মাত্রেই উচিৎ চুপচাপ সই করে খাতা আবার ছেলেমেয়েকে ফিরিয়ে দেয়া। আমার পিতা তা না করে পুরা ছয়পাতা কষা অংক পড়তেন, তারপরে সই করতে করতে গম্ভীর স্বরে বলতেন, “পনেরোতে তিন দিল কেন বুঝলামনা, শুণ্য দেওয়া উচিৎ ছিল। সরল অঙ্কের উত্তর দুইশ পঁচাশি বাই সাতশ আঠাশ কিভাবে হয়।” পাষন্ড পৃথিবীর নির্মমতায় বালক সত্যপীরের চোখে তখন পানি।


মন খারাপের পদ্য

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ২৬/০৫/২০১২ - ১:৪৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আকাশ জোড়া বাউন্ডুলে মেঘের ছায়া
সেথায় ওড়াই মন খারাপের একলা ঘুড়ি।
আদুল উঠোন ঝেঁপে যখন বৃষ্টি নামে
তখন কে যায় আমার সঙ্গে মেঘের বাড়ি?

যেপথ ধরেই পৌঁছুতে চাই সুখের ডেরায়
পথ হারিয়ে হঠাৎ মেলে অন্ধ কুঠি!
ডাক পিয়নের চোখ খোঁজেনা এই ঠিকানা
ভুল ডাকে যায় তোমায় লেখা সকল চিঠি।।

কিছুই তেমন যায়না ধরা হাতের মুঠোয়
স্বপ্নের বীজ ভুল বাগানের ডেরায় ফোটে
আমি পাইনা ছুঁতে কারুর ইচ্ছে ফানুস


হয়রানের চীন দর্শনঃ পাপ্পু পর্ব

রায়হান আবীর এর ছবি
লিখেছেন রায়হান আবীর (তারিখ: মঙ্গল, ২২/০৫/২০১২ - ৮:৩৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্মৃতি খুব ফাউল একটা পাবলিক, ছয়-সাত বছর আগের সহপাঠীকে ভুলিয়ে দিতে পারলেও নানা আজব জিনিস সে মনে রেখে দেয় যুগের পর যুগ। ছোট বেলার প্রায় সব কিছু ইতিমধ্যে ভুলে গেলেও বিশেষ কিছু জিনিস একেবারে আজীবনের জন্য মস্তিষ্কে পোঁতা হয়ে গেছে। লিটল জুয়েলস স্কুলে যখন নার্সারিতে পড়ি তখনকার এক স্মৃতি এখনও পুরো স্পষ্ট। অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিমের প্রথম বউ তখন বেঁচে নেই। তার দুটো মেয়ে আমাদের স্কুলে পড়তো। শহীদুজ্জামান সেলিম তখনও বিখ্যাত। সেই সময় আমি তাকে একবার দেখেছিলাম। দেখেছিলাম, সেলিম তার দুটো মেয়েকে দুই কোলে উঠিয়ে আমার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। শহীদ জিয়ার মতো এই স্মৃতির যেমন কোনোদিন মৃত্যু হবেনা, তেমনি বোধহয় মৃত্যু হবেনা 'বিদেশ' শব্দ সম্পর্কিত ছোটবেলার স্মৃতিরও। এখনও বিদেশ শব্দটা শুনলে আমার মাথায় যে জিনিসটা চাড়া দিয়ে ওঠে সেটা বোধহয় ক্লাস টু তে যখন পড়ি তখনকার। চাচা অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন। আমি খুব করে কান্নাকাটি করছি যেনো উনি আমাকে স্যুটকেসে ভরে উনার সাথে নিয়ে যান।


হাউ টু ম্যানেজ ইয়োর পাপ

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: রবি, ২০/০৫/২০১২ - ৪:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ধার্মিকদের জন্য ব্যাপারটা মানে এই লেখার বিষয়বস্তু অস্বস্তিকর মনে হতে পারে। কিন্তু পাপীরা মনে মনে মুচকি হেসে বলতে পারে- এতো আমার রোজকার কারবার, নতুন করে কি শেখার আছে? আসলে শেখানোর কোন চেষ্টা করা হচ্ছে না। শেখাবার থাকলে শিরোনাম দিতাম- 'এসো নিজে শিখি'। এটা কেবল পড়লেই চলবে। আসেন পড়তে শুরু করি। শুরু করছি রোজার দিনে শৃংখলাবদ্ধ শয়তানের কাণ্ডকীর্তি দিয়ে।


পরাজিত নবাব সিরাজউদ্দৌলা - পাঁচ

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: শনি, ১৯/০৫/২০১২ - ১:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কোলকাতা জয় করে নবাব মুর্শিদাবাদ ফিরে গেছেন। ইংরেজ বাহিনীর ক্ষুদ্র অংশ ফুলতা গ্রামে দুর্দশার মধ্যে আছে। বাংলা পতনের খবর অন্য বড় ইংরেজ কুঠি মাদ্রাজে এখনো যায়নি। এরকম অবস্থায় শেষ হয়েছিল গত পর্ব। আজ ইংরেজ মাদ্রাজ থেকে জাহাজ পাঠিয়ে কোলকাতা পুনর্দখল করবে, হুগলীতে অন্যান্য ইয়োরোপীয় জাতের সাথে কাইজা লাগাবে আর নবাব ফৌজের হাতে মারা যাবেন কাজিন শওকত জং। এছাড়া বাংলা অ্যাফেয়ারে প্রথমবারের মত নোংরা নাকটি গলাবেন কর্নেল রবার্ট ক্লাইভ।


দুধ দেয়া গরু লাথি দে না [হালনাগাদকৃত]

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি
লিখেছেন অনিন্দ্য রহমান (তারিখ: বুধ, ০৯/০৫/২০১২ - ১০:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আফসান চৌধুরি হাতেপায়ে লিখছেন। সবশেষটা পা দিয়ে লিখে থাকবেন। চৌধুরি সাহেবের পায়ের ধুলা।

উন্নয়ন বাণিজ্যে ভাড়াখাটা অন্যথায় সাংবাদিক পরিচয়ধারী চৌধুরি সাহেব সম্প্রতি দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে মূল্যবান বক্তব্য পেশ করেছেন। বলেছেন, বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যায়ে গত পঞ্চাশ বছরে একজন চিন্তক বা থিংকারের জন্ম হয় নাই। হবেও না শিওর। পরপরই বলেছেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যায় থেকে স্কলার আশা করে না কেউ। চৌধুরি সাহেবকে চিন্তক বা স্কলারের (এদুইকে গুলিয়ে ফেলেছেন ইংরাজি বাগাড়ম্বরের এই পরাকাষ্ঠা) একটা তালিকা কেউ একজন ধরিয়ে দিতে পারেন। রাও ফরমান আলি প্রায় পঞ্চাশ বছর আগেও চিন্তক কি স্কলারের একটা তালিকা করতে পেরেছিল, চৌধুরি সাহেব পারছেন না।


হতভাগ্য অপদার্থ

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৩/০৫/২০১২ - ৯:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শাজাহান বাদশা আর মমতাজ মহলের দ্বিতীয় পুত্র শা সুজা ছিলেন একটি অপদার্থ, জীবনে তিনি তেমন কিছুই করে যেতে পারেননি। কিন্তু তাই বলে যে পন্থায় তার ও তার পরিবারের বাত্তি নিভিয়ে দেয়া হয় তা এমনকি শয়তানের পয়গম্বর আওরঙ্গজেবেরও পাওনা ছিলনা। জেনারেল মীর জুমলার ধাওয়া খেয়ে পলাতক রাজপুত্র সুজা পরিবারসহ গিয়ে ওঠেন আরাকান রাজার আশ্রয়ে। কথা ছিল রাজা মক্কাগামী জাহাজের ব্যবস্থা করে দেবেন, বদলে সুজা দিবেন মণি মাণিক্য। কেউ কথা রাখেনি।


ভারতে আর্মানী সম্প্রদায়

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: সোম, ২৩/০৪/২০১২ - ৩:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সেই আলেক্সান্ডার দ্য গ্রেট এর ভারত অভিযান থেকে ভাস্কো ডা গামার প্রথম সমুদ্রপথে ভারত আগমনের সময় পর্যন্ত, যখন ইয়োরোপ ভারতের সাথে মিশত অল্পই, তখনই আর্মানীরা স্থলপথে পারস্য হয়ে ভারতের সাথে ফাটিয়ে বাণিজ্য করত। আর্মানীরা ভারতে খাঁটি সওদাগর ছিল, তারা ড্যানিশ ওলন্দাজ কি ফরাসীর মত শহর পত্তন করেনি। বাকীদের মতন অ্যাডভেঞ্চার, দেশদখল, লুটতরাজ বা ওইরকম মতলব আর্মানীদের ছিলনা, তারা বিবিধ ভারতীয় বাণিজ্যঘাঁটিতে ব্যবসা চালিয়ে যেতেই উৎসুক ছিল।


পরাজিত নবাব সিরাজউদ্দৌলা - চার

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: সোম, ০৯/০৪/২০১২ - ৩:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কোলকাতা আক্রান্ত। ফোর্ট উইলিয়াম দূর্গ ঘিরে মুহুর্মুহু কামান দাগছে নবাবফৌজ, চলছে তুমুল লড়াই। উমিচাঁদের বিশাল বাগানবাড়িতে বসে ছক কষছেন তরুণ নবাব সিরাজউদ্দৌলা। এইরকমটাই আমরা দেখেছিলাম গত পর্বে। আজ দেখব কোলকাতার পতন এবং অন্ধকূপ হত্যার বিবরণ।