জুলহাস আর তনয়কে কুপিয়ে জঙ্গিরা পালিয়ে যাবার কিছুক্ষণ পর প্রতিবেশিরা কয়েকজন এগিয়ে আসে জুলহাসের মরদেহ দেখতে। দরজাটা আধো খোলা, তার মাঝামাঝি রক্তের উপর শুয়ে আছে জুলহাস- জুলহাসের নিথর দেহ, রক্তের ফোয়ারায় শুদ্ধ হচ্ছে ধর্ম, সে এক দেখার মত দৃশ্য!
অনেকেই বলছে কিংবা অনেকেই মনে করে দেশের ৮০ ভাগ মানুষ চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার বিষয়ে নীরব কিংবা সেটা কে সমর্থন করে। এবং এই ৮০ ভাগ মানুষের বিপক্ষে গেলে আওয়ামী লীগ ভোটের রাজনীতি তে নিশ্চিত পরাজিত হবে। ঠিক এ কারনে আওয়ামী লীগ এখন তাদের আদর্শ আর নীতি থেকে দূরে সরে এসেছ। আমি ব্যক্তিগত ভাবে এমন মতের সাথে প্রচন্ডভাবে দ্বিমত পোষন করি। ৮০ ভাগ মানুষ এমন ঘটনায় সমর্থন করলেও এই ৮০ ভাগের সব মানুষ কিন্তু বিএনপি-জা
(কিছু চরিত্র কাল্পনিক, কিছু বাস্তব। কারো সঙ্গে মিলে গেলে লেখককে দোষারোপ করবার পূর্বে নিজেকে শুধরে নিয়েন।)
প্রায় বছর পাঁচেক কিংবা তারও আগে আগে আমরা কিছু পোঁদপাকা পোলাপাইন হল্লা করতাম এই বলে যে দেশের অবস্থা খুব একটা সুবিধার ঠেকে না, সামগ্রিক পরিস্থিতি খুব দ্রুত ধর্মীয় মৌলবাদের দিকে আগাচ্ছে। তখন সব মহলের গেছোদাদারা খুব রাগ করতেন। তাদের একটাই কথা, (তথাকথিত) অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে ধর্মীয় মৌলবাদের কোন স্থান নাই। (তথাকথিত) ইতিহাস নাকি সাক্ষ্য দেয় এই ভূখণ্ডে বহুবছর ধরে সবাই মিলেমিশে হেসে খেলে কাটিয়েছে। সমস্য
আমি এখনো গ্রামে যাই, সবুজ ধানক্ষেতে হাঁটি, পুকুর পাড়ের সেই ছায়াতলে বসে এখনো নিজের ছেলেবেলা কে দেখি। যদিও স্মৃতির ঘরের সেই ছেলেবেলা আজকের মতো এত রঙিন ছিলো না, দিকে দিকে তখন অভাবের রাজত্ব ছিলো, ক্ষুধার অব্যক্ত কষ্ট ছিলো মানুষের সমস্ত শীরর জুড়ে। গ্রামে আমাদের বাড়ি বড় বাড়ি হিসেবে পরিচিত ছিলো, সেই বড় বাড়িতেই সেই সময় দু-একটা পরিবার একবেলা ভাত খেয়ে আরেক বেলা গুড়-মুড়ি চিবিয়ে দিন পার করতো। বড় বাড়িতে যখন এই
কেউ একজন জানতো, বলেনি। কয়েকজন খুঁড়ে তুলছিল একটা পোকায় খাওয়া বিপ্লব। আর তাদের ঘাম ঝরে ঝরে পড়ছিল বৃষ্টির মত। ওদের ঘাম শুকোবার আগেই মজুরী চুকিয়ে দিতে পাশেই দাঁড়িয়েছিল টুপি পরা একজন লোক, আতরের গন্ধে সে ভারি করে তুলছিল আশপাশের বাতাস। অক্ষরের পর অক্ষর বসে যাচ্ছিল নিজের নিজের মত। আকাশ থেকে কিছু নামার কথা ছিল। এমন একটা দিন আসবে বলেছিল ওরা যে দিনটায় অন্যদিন গুলোর মত ধুলোবালি থাকবেনা। আর সত্যি সত্যি আকাশ থে
ঘাটতলা লোকারণ্য মহা ধুমধাম
মুক্তচিন্তক হত্যা শেষে হাত ধোয়ার প্রোগ্রাম
জঙ্গী বলে 'আমি ধোবো', শান্ত্রী বলে 'আমি!'
মন্ত্রী বলে 'ধোবো, একটু রিসার্চ কইরা নামি'।
কিছুদিন আগে আমার মনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বার্ষিক বাজেট নিয়ে প্রশ্ন জেগেছিল। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে সেটি খুঁজে না পেলেও তাদের দুটি অর্থবছরের প্রতিবেদন পেলাম যেখানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিয়ে একটি করে অধ্যায় আছে। সেখানে দেয়ে তথ্যের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ের কাজকে মূল্যায়ন করার মত প্রশিক্ষণ বা যোগ্যতা আমার নেই। তবে ভাবলাম সচলায়তনের পাঠকদের মধ্যে কারো কারো সেই প্রস্তুতি থাকতে পা
[ সাড়ে চার দশক আগে, এই বাংলাদশটা ধুম করে আকাশ থেকে পড়েনি। ওসব পৌরাণিক কাহিনীতেই হয়। বাস্তবে মুক্তির মন্দির সোপানতলে কত প্রান যে বলিদান দিতে হয়, তার কোনও হিসাব নেই। স্বাধীনতা কেবলই মুক্তির সূচনা মাত্র। মুক্তি যেহেতু আসেনি বলিদান আজো অব্যাহত আছে। সেই বলিদান যেন আমরা বৃথা না করে দেই। অনেক দাম দিয়ে কেনা এই দুঃখিনী বাংলা। ]