আজকে আমার মনের মাঝে
ধাঁই ধপাধপ্ তবলা বাজে
আলোয় ঢাকা অন্ধকার
ঘণ্টা বাজে গন্ধে তার
আজকে দাদা যাবার আগে
বলবো যা মোর চিত্তে লাগে
নাই-বা তাহার অর্থ হোক
নাই-বা বুঝুক বেবাক্ লোক
খুবই আউলাঝাউলা অবস্থা।কালকে বিকালে বাসা ছেড়ে দিয়ে আরেক বাংলাদেশি ভাইয়ের বাসায় উঠলাম ২ দিনের জন্য। প্রশ্ন হইতে পারে, "ক্যান? আমি ভাড়া দিতে না পারায় আমারে খেদায়া দিল নাকি?"
উত্তর হইল, না সেইরকম কিছু না। এই দেশে আর থাকুম্না ঠিক্কর্সি, তাই বাক্স-পেটরা গুছায়া যাইগা। কালকে ফ্লাইট সন্ধ্যায়, দোহা টু ঢাকা!
সচলায়তন এবং নানা খবরের কাগজে নিজের টুকটাক অনুল্লেখযোগ্য ভ্রমণ নিতান্তই নির্লজ্জ আত্মপ্রচারের জন্য প্রকাশ শুরু করার পর থেকেই আজ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশী সংখ্যক পরামর্শ যে বিষয় নিয়ে লেখার জন্য পেয়েছি তা হচ্ছে ভ্রমণ শুরু করবেন কি করে তার উপরে আলোকপাত করতে। আর যে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছি তা হচ্ছে- হৈ মিয়াঁ, এত এনার্জি, সময় আর টাকা আসে কোথা থেকে?
কিছু কথা আছে যা বাথরুমের আয়না আর ডায়েরি ছাড়া আর কাউকে বলা যায় না।
আয়নার মধ্যে লেগে থাকুক কথার পালক, ডায়েরির পাতায় দীর্ঘজীবি হোক কথাগুলো।
আমাদের অনেক কথা থাকে। কিছু কথা বলা হয়, কিছু কথা গান হয়, কিছু কথা কবিতা হয়
আর কিছু কিছু কথা দীর্ঘশ্বাস হয়ে মিশে যায় রাতের বাতাসে,
সে বাতাস গল্প বলে নদীর জলের কাছে, সে নদী মনু হতে পারে, হতে পারে ইছামতী।
স্কুলে থাকাকালীন খুব একটা বেশি আড্ডা হতোনা। তবে মাধ্যমিক পরীক্ষার পরে ফলাফল বের হওয়ার আগ পর্যন্ত যে সময়টা ছিল এক্কেবারে ফাঁকা তখন ধুমিয়ে আড্ডা দেয়া হতো। পুরনো ঢাকায় এক বন্ধুর বাড়ির ছাদের উপরে উঁচু একচিলতে জায়গায় বসে চলতো সেই মহাড্ডা। সবে বিঁড়ি ধরেছি তখন, বিষয়বস্তুহীন সেই আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে ধুম্রশলাকা জ্বালিয়ে চরম ভাব নিতাম। কতো কি নিয়েই না চলতো কথোপকথন। মোড়ের পুরির দোকানে আলু কম কি বেশি, এই থেকে
প্রতিদিন বাসা থেকে বের হওয়ার সময় মা কি যেন মন্ত্র টন্ত্র পড়ে মাথায় ফুঁকে দেন। আমি হাসি। আসলে মা’রা পারেও।সব সময়ই মা আতঙ্কে থাকেন এই বুঝি কিছু হল, কোন দাঙ্গা শুরু হল। মা’র ভাষায় আমরা সংখ্যালঘু। মা’কে কত বোঝাই, তোমার বাবা এই দেশের জন্য প্রাণ দিয়ে গেছেন, তোমার আবার কিসের ভয়? তুমি আমার বন্ধু গুলাকে দেখনি? আমাকে দিনে একবার না দেখলে, খোঁচা না দিলে এগুলার পেটের ভাত হজম হয়?
ঢাকায় শীত আসি আসি করছে।
সকালের দিকে ফ্যান বন্ধ করে দিতে হয়। আবার দুপুর ২টায়ও মনে হয় বিকেল হয়ে এলো। সন্ধ্যা নামে সাড়ে পাঁচটার আগে।
আবহাওয়ার এ বদলী সময়ে চারদিকে সর্দি কাশি হচ্ছে। আমার নিজেরও ঠান্ডা লেগেছে। টিভিতে রিপোর্ট দেখছিলাম, শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। আবহাওয়ার পাশাপাশি পানিতেও সমস্যা আছে মনে হয়। ওয়াসার পানিতে ব্যাপক ময়লা। বালতির তলানীতে কালো ময়লা জমে যায় দ্রুত।
বাংলাদেশের ভূ রাজনৈতিক প্রভাব মাপতে গিয়ে আমরা নিজেদের গুরুত্ব কে একটু বেশি ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে হিসেবে করি বলে আমার মনে হয়। স্পেসিয়ালি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ এর সম্পদ এবং ভৌগোলিক অবস্থান হিসাব করে বাংলাদেশ কে নিয়ে বিশাল একটা পাঁয়তারা করে বেড়াচ্ছে বলে অনেকে বিশ্লেষক ধারনা দিয়ে থাকেন। বাস্তবতা হচ্ছে ভুরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অন্তত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আমাদের কোন বেইল নাই।
কেন একটু আলোচনা করে দেখা যাক।
[justify]মহাসড়ক থেকে যে রাস্তাটা গ্রামের ভেতরে ঢুকেছে সেটা তোতা মিয়ার দোকানের সামনে দু’ভাগ হয়ে একটা ভাগ রাজ্জাক শাহের মাজার হয়ে রেললাইন পর্যন্ত গেছে, আরেকটা ভাগ গ্রামের ভেতর অনেক বার বাঁক খেয়ে ইটখোলার পুকুরে গিয়ে শেষ হয়েছে। তোতার দোকানের সামনের জায়গাটা এই গ্রামের স্কয়ার। যাবতীয় সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান, নালিশ-সালিশ এখানেই হয়। ফাল্গুন-চৈত্র মাসে যখন বৃষ্টি আর পানির অভাব দেখা দেয় তখন সংক্রামক রোগের প্র