জীবন একটা হাওয়াই মিঠাই, হ্যাঁ, স্রেফ একটা হাওয়াই মিঠাই, ব্যাস। এর আগেও কিছু নেই, পরেও কিছু নেই। বলা যায়, এই উদ্ভট চিন্তাটা মাথায় হঠাৎ করেই এলো, এটাকে দীর্ঘদিনের চিন্তাপ্রসূত উপসংহার বলা যায়না মোটেই। তবে হ্যাঁ, এটা ঠিক যে, জীবনকে আমি বায়োস্কোপ থেকে শুরু করে একদম ছিবড়ে যাওয়া চুইংগামের মতো এরকম অনেক কিছুর সাথে তুলনা করেছি, শুধু তাই নয়, সেই কবিগুরু থেকে শুরু করে হালের গুরুকবিদের অনেকের ছন্দের
০।
এখনো বারটা বাজে নি কিন্তু বাইরে টুকটাক বাজি ফুটছে। ফেসবুকে হোম পেজের অধিকাংশ জুড়ে আছে বন্ধুদের নতুন বছর নিয়ে দেওয়া স্ট্যাটাস। এর মাঝে কেউ গত বছরের দেনা পাওনার হিসেব করছে, কেউ বা শুধু মাত্র শুভেচ্ছা জানিয়েই খালাস। একটু দূরে বিছানার উপর রাখা মোবাইল এর মাঝেই দুই তিনবার শব্দ করে নতুন মেসেজের অস্তিত্ব জানিয়েছে। ইনবক্স না খুলেই বলতে পারি শুভেচ্ছা জানিয়েছে কেউ না কেউ। আমি অবশ্য এত কষ্ট করে কাউকেই শুভেচ্ছা জানাই নি কারণ মায়ান ক্যালেন্ডার সত্য হইলে এইসব কিছুই মিছে
একটা সময় ছিল যখন নতুন বছরটা আসত যেন ঘোড়ায় চেপে, টগবগিয়ে। তখন নতুন বছর মানেই নতুন ক্লাস, কাগজের মায়াবী গন্ধ মাখানো নতুন বই; তাতে রাত জেগে পুরনো ক্যালেন্ডারের মলাট লাগানো। হিম কুয়াশার ভোরে নতুন জুতো মোজা জামা গায়ে স্কুলে যেন উড়ে যেত মন। সেসময়টায় থার্টি ফার্স্টের হুল্লোড়ের সাথে পরিচয় হয়নি আমাদের। মাঝরাতে টিভিতে বম্বের হিরো হিরোইনরা নেচে কুঁদে একশাও হতেন না। তাই বলে কি নতুন বছরের আবাহন হত
মানবতার সেবায় নিরবে-নিভৃতে কাজ করে যাওয়া মানুষের সংখ্যা খুব বেশি হয়তো নয়, সময়ের স্রোতে হারিয়ে যাওয়া আদর্শের- এই বর্তমানে তবুও কিছু মানুষ আছে, যারা নিজেদের জীবন অপরের জন্য বিলিয়ে দেয়| অনেক মানুষের ভিড়ে তাদের কথা হয়তো আমাদের সামনে আসেনা| এরকমই একজন মানুষ চিকিৎসক এডরিক এস.
ইদানিং কিছু ছেলেপেলে দেখা যায় বড় ভাইয়া বলে সম্বোধন করে। কেমন যেন বিব্রত বোধ করি।বিব্রত হবার মত যথেষ্ট কারনও আছে। এইট-নাইন পড়ু্য়া ছেলেগুলোর সাইজ হাতির মত,লাল লাল চোখ,মুখ ভর্তি খোঁচা খোঁচা দাড়ি-গোঁফ ,গড় গড় করে হিন্দী বলে,রাস্তায় দেখলে মোটা মোটা দুই হাত বাড়িয়ে গর্জন করতে করতে ছুটে আসে !! কি ভয়ংকর ! দেখতে দেখতে আমিও বড় ভাই হয়ে গেলুম.. ছোটবেলায় ভাবতাম কখন বড় হব্,কখন বড় হব.. আর এখন ?? আফসুস ,গাধার মত বড় হয়েই যাচ্ছি..
এই বছর পুরো ছুটির খরা গেলো। সব সরকারী ছুটিগুলো শনি-রবিবার। ইংল্যান্ডে নাকি ওদের সাপ্তাহিক ছুটির দিন সরকারী ছুটি হলে পরবর্তি সোমবার ছুটি দিয়ে দেয়। আমাদেরগুলো পুরো ফালতু
সকালটা শুরুই হল তুমুল হট্টগোলে। ঘর থেকে বেরুতেই দেখি বসার ঘরে চার থেকে আট বছর বয়েসি চার পাঁচটে বিচ্ছুর গলা দিয়ে বিকট আওয়াজ বেরোচ্ছে। ব্যাপার ঘোরতর; একজনের পায়ের ওপর দিয়ে আরেকজন ট্রাইসাইকেল চালিয়ে ইচ্ছে করে 'আকসিটেন' করায় এই শোরগোল। বিচার সালিশ শুরু করার আগেই ক্রন্দনরত অত্যাচারিত উঠে এসে অত্যাচারীর প্যান্ট টেনে নামিয়ে দিয়ে প্রতিশোধ নিয়ে নিল । এইবার অত্যাচারীর আঁতে বিষম চোট লাগায় সে রেগে
জিউস আমেরিকান ঈগল আলখেল্লাটাতে আরমানি পারফিউমে লাগাইতে লাগাইতে বাফেলো সোলজার গানটির সুর ভাজছিলেন।
হেরা মাছের সস্প্যান উল্টাইতে উল্টাইতে কিচেন থেকে গলা উচিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, এই ভরদুপুরে যাও কই তুমি? দুপুরে একটু ওপেন্টি বাইস্কোপ খেলমু ভাবছিলাম।
জিউস বগলদেশে স্প্রে করতে করতে বললেন, জব ইজ জব ইউ নো বেবি। দরবারে যাইতে হইব একটু; মক্কেল আইছে, যাইতাছি বাট সন্ধ্যার আগেই আয়া পড়ুম, প্রমিজ। বাই হানি।
১৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ সাল। ভোর ছটা।
চট্টগ্রামের অদূরে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ। গতকাল মধ্যরাতে হুকুম এসেছে সব পাক অফিসারকে ভোর ছটায় এই কলেজের মাঠে অস্ত্রসমর্পনের জন্য হাজির হতে হবে।
নতুন বছরে আমাকে দেয়ালের শ্যাওলা-ময়লা ঘষে তোলার কাজে ব্যবহার করা রংমিস্ত্রিদের খরখরে ব্রাশটাকেই টুথব্রাশ হিসেবে ব্যবহার করতে হবে; কারণ মানুষের পেট-পাছা-ঘাড়-গর্দান-ঠ্যাং-মাথার মতো মুখের হা অত বেশি ছোটবড়ো হয় না বলে বাজারে টুথব্রাশের সাইজেও যেমন বেশি তারতম্য নেই তেমনি মানুষের আরামপ্রিয়তার কারণে ব্রাশের আঁশগুলো খুবই তুলতুলে নরম...