ছোটবেলা থেকেই একটা কথা শুনি,‘দেশের বাড়ি’ ।
এটা আমার প্রথম পোস্ট হবে এইখানে। ব্লগিং করতাম আগেও কিন্তু এখানে না, সামুতে। কেন ওখানে আর লিখা হয়না মনে হয় সবাই জানে, নতুন করে বলার কিছু নেই। যাই হোক, আমি কাতার প্রবাসী। পেশায় প্রকৌশলী, তড়িৎ কৌশল বুয়েট থেকে ২০০৭ এ পাশ দিয়েছি। এখন টেলিযোগাযোগ সেক্টরে কামলা দিই। এটা একটা ছবি ব্লগ হবে, নিকট অতীতে তোলা কিছু ছবি। আমি পেশাদার ফটোগ্রাফার না, নিজেই ক্যামেরা টিপাটিপি করে শিখেছি। ২/১ জন বন্ধু আছে ফয়সা
আমার এক বন্ধুবর এর সাথে কথা বলার মধ্যে দিয়েই এই নাটকের আইডিয়ার সুত্রপাত। সেই প্রসঙ্গে দুইখান কথা।
আমার এক বন্ধু একদিন বললঃ বন্ধু আমি তো ভীষণ ধার্মিক মানুষ। তোর সাথে আমার বন্ধুত্ব হবে কি করে বল?
[এটা বস্তুত সচলাড্ডার বিবরণ দেবার পোস্ট নয়, এটা শুরুতেই বলে রাখা ভালো। সচলবাজি একটা পৌনঃপুনিক বিষয়। তাই এর পর বলে কিছু হয়না আসলে। এটাকে সচলদের সাথে আশালতার আলাপ প্রলাপ নিয়ে বিলাপমূলক পোস্ট বলা যায়। ]
ক্লাস টুতে স্কুলের বাংলা টিচার আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে বড় হলে কি হব। আমি উত্তর দিয়েছিলাম 'পুলিশ'। কারন পুলিশরা তখন আমার চোখে ছিল বীরত্ব-ক্ষমতার প্রতীক। এখন যদি আমাকে একই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হয়, তাহলে চোখ বুঁজে অবশ্যই বলব ভিআইপি।
আনিসভাই যেমন সচলাড্ডায় জমিয়ে শরৎচন্দ্র পণ্ডিত ওরফে দাদাঠাকুরের গল্প শোনাচ্ছিলেন, তেমনই আমারও ওনার একটা দারুণ রসিকতা মনে পড়ে গেল। একদিন দাদাঠাকুর বলছেন কাজী নজরুল ইসলামকে, “বুঝলি, হিন্দুদের দেবতা খোদার খোদা।” কাজীসাহেব তড়িঘড়ি বললেন, “দাদা, আমার কাছে বলেছেন সে ঠিক আছে, কিন্তু আপনি অন্য কোনো মুসলিমের কাছে এ কথা কইতে যাবেন না যেন!”
দাদাঠাকুর হেসে বললেন, “আরে, তুই এমন রসিক লেখক হয়ে এটা বুঝলিনে?
১৮ই জানুয়ারী। রোজ বুধবার। বেলা বারোটা।
পাঠক নিশ্চয়ই খানিকটা নড়েচড়ে বসেছেন। ভাবছেন, এইদিন এই সময়ে বুঝি লেখকের জীবনে খুব উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটে গেছে। প্রিয় পাঠককে হতাশ করে বলতে হচ্ছে, অধমের জীবনে এ্যাডভাঞ্চারাস বা থ্রিলিং কিছু সচরাচর ঘটে না। কুয়োর ব্যাঙ হলে যা হয় আর কি।
ঘণ্টাখানেক পর পাত্র দেখতে যাচ্ছি।
সংবিধিবদ্ধ সর্তকীকরণঃ বিশা-আ-আ-আল পোষ্ট। নষ্ট করার মত প্রচুর সময় থাকলে, নিজ দায়িত্বে অগ্রসর হউন।
<><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><>
দু'সপ্তাহের বেশি হতে চলল এই নতুন বছরের।
সময়গুলো উড়ে যাচ্ছে। পেছনে ফেলে স্মৃতির পালক। বছরের শেষদিনে অস্তগামী সূর্যটার দিকে তাকাতেই মন কেমন যেন করে ওঠে! ওই সূর্যটার সাথে সাথে যেন বছরের সব হাসি-কান্না-আনন্দ-বেদনা ডুব দিচ্ছে। মনে হয়, হারিয়ে যাচ্ছে, ফুরিয়ে যাচ্ছে সব। এভাবেই তো যায়...। সুখ যায়...। দুঃখ যায়...। হারায় কতকিছু। আবার পাওয়া হয় নতুন কিছু। প্রাপ্তির কথা তেমনভাবে গেঁথে থাকে না মনে, যেমন ভাবে গেঁথে থাকে অপ্রাপ্তির বেদনা।