Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

গল্প

নকশি দেয়াল আর বন্দি দোয়েলের গল্প

স্পর্শ এর ছবি
লিখেছেন স্পর্শ (তারিখ: বুধ, ২২/০৪/২০০৯ - ৪:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছোটকাকুর সাথে বাইরে বেরহলে অদ্ভুত সব জিনিস দেখি- ইউক্যালিপ্টাস বন, ব্রডগেস লাইন, জোড়া দিঘি আর জটাধারী বট। হয়তো কোনো একদিন বিকালে এসে বলবে, ‘চল তেপান্তরের মাঠ দেখে আসি’। আমি খুশিতে লাফিয়ে উঠলে, তুলে সাইকেলের পিছনে বসিয়ে বলবে, ‘শোন, শক্ত করে ধরবি, আর সাবধান, পা যেন যায় না চাকার মধ্যে! সব চেয়ে ভালো হয় যদি পা দুটো অ্যারোপ্লেনের পাখার মত ছড়িয়ে রাখিস।’ ছোটো কাকুর সাইকেল আমাকে ছোটো রাস্তা...


এই রিমি, দাঁড়া...!

রণদীপম বসু এর ছবি
লিখেছেন রণদীপম বসু (তারিখ: বুধ, ২২/০৪/২০০৯ - ২:৪৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ধাম করে জড়িয়ে ধরলো সে। এবং কিছু বুঝে ওঠার আগেই নরোম ঠোঁট দুটো সজোরে চেপে ধরলো আমার খসখসে গালে। একটা মৌ মৌ গন্ধে কয়েক মুহূর্ত কেটে গেলো। যখন বুঝতে শুরু করলাম একটি সদ্য তরুণী-দেহ তার সমগ্র সত্তা দিয়ে অক্টোপাশ-বন্ধনে আমাকে আস্টেপৃষ্ঠে পিশে ফেলতে চাইছে, কী যেন হয়ে গেলো আমার ! এই প্রথম টের পেলাম, শক্ত-সমত্থ তরুণ শরীরটাতে বুঝি মনের আড়ালে মিশে লুকিয়ে ছিলো একটা বেয়াড়া পুরুষও ! কিন্তু তার ...


আশরাফ সাহেবের একদিন

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি
লিখেছেন অতন্দ্র প্রহরী (তারিখ: বুধ, ২২/০৪/২০০৯ - ১:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

'ও আচ্ছা।'

চোখ বড় বড় করে পাশের সীটে বসা সহযাত্রী ছেলেটার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকেন আশরাফ সাহেব। দৃষ্টিতে অবিশ্বাসের ছাপ স্পষ্ট। নিখাঁদ বিস্ময়ে মুখটা গোল হয়ে গেছে। নিজের কানকেও বিশ্বাস করতে যেন খুবই কষ্ট হচ্ছে তাঁর। ছেলেটার অবশ্য তাঁর দিকে মনোযোগ নেই। কথাটা বলেই হাতে ধরা মোটাসোটা বইটাতে সে ডুবে গেছে আবার। ছেলেটা আশরাফ সাহেবকে কষে একটা থাপ্পড় মারলেও তিনি হয়ত এতটা অবা...


মুক্তিরা কবে আসবে!

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি
লিখেছেন পান্থ রহমান রেজা (তারিখ: মঙ্গল, ২১/০৪/২০০৯ - ৬:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শহরের বাস থেকে যখন সূবর্ণসাড়া বাসস্ট্যান্ডে নামলেন রইস মিয়া তখন দুপুর গড়িয়ে গেছে। দুপুর গড়ালে কী হয়, গাছের ছায়ারা একটু গলা বাড়িয়ে দীর্ঘ হয়। পশ্চিম থেকে পুবে তেরছা ভাবে হেলে পড়ে। দশহাত লম্বা গাছও চোখ বুঝে তের হাত হয়। আর রইস মিয়ার ক্ষিদাটা আরো একটু বেড়ে পেটের ভেতর মোচড় কাটে। মোচড় কাটারই কথা। রইস মিয়া ধনদৌলতে ধনী নন। আবার দরিদ্র্যসীমার নিচে যে তাও নন। মোটামুটিভাবে খেয়ে পড়ে দিনকা...


মাগুরের মাথা

খেকশিয়াল এর ছবি
লিখেছেন খেকশিয়াল (তারিখ: সোম, ২০/০৪/২০০৯ - ২:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনেক অনেকদিন আগে এই বাংলারই কোন নদীর পারে এক জাউলা তার এক পোলা আর বউ নিয়া থাকত। জাউলা পোত্তেকদিন চইলা যাইত নদীর ধারে, জাল ফালাইয়া রুই ধরত, কাতলা ধরত আর ধরত কই, শিং,মাগুর। রুই কাতলা কিছু বাজারে বেইচা বাড়ির জন্য নিয়া আইতো কিছু। বাড়িতে তখন রান্না হইতো। রান্নাবান্নায় জাউলার বউয়ের হাত আছিলো খুবই ভাল। কইটা, মাগুরটা বেশ মজা কইরা রানতো জাউলার বউ। মাঝে মাঝে কোন কোন দিন রুই কাতলাও হইতো।

জা...


প্রত্যাখান

ফারুক হাসান এর ছবি
লিখেছেন ফারুক হাসান (তারিখ: রবি, ১৯/০৪/২০০৯ - ৬:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ফরিদার আত্মহত্যার খবরে আমার ঘুম ভাঙ্গে আজ ভোরে।

ফরিদা আর আমি একই পাড়ায় থাকি, সেই হিসেবে আমি ওকে চিনি ছোটোবেলা থেকেই। আমাদের বাড়ির সামনে উঁচু বড় রাস্তা, সেটা পাড় হয়ে আবার নেমে গেলেই কালামদের বাঁশঝাড়, মোস্তফাদের পুকুর, তার পরপরই ফরিদার বাপচাচার ভিটা। ওদের বাড়ির সামনে ঈদগা মাঠেই ওর সাথে আমার প্রথম পুতুল খেলা।
ফরিদা আমার বছর দুয়েকের ছোট হবে, মানে বেঁচে থাকলে সবসময় তাই হত। পুতুলখে...


প্রবাসে একদিন

আজমীর এর ছবি
লিখেছেন আজমীর (তারিখ: রবি, ১৯/০৪/২০০৯ - ৯:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার লেখার হাত কখনই ভাল নয়। তার উপর আবার আমি শব্দ দিয়ে আমার মনের ভাব প্রকাশের ক্ষেত্রে একেবারেই অপদার্থ। প্রবাস জীবনে ছোট ছোট ঘটনাও যে কিভাবে মাঝে মাঝে আবেগপ্রবণ করে তোলে তারই একটি ছোট্ট গল্প আমার এই লেখা। যদি কারও ভাল না লাগে, তবে নিজগুণে ক্ষমা করে দিবেন।

দুই নয়ন অশ্রুসিক্ত না হলেই মনটা ছিল ভেজা। নাহ্, কোন চরম দুঃখ নয়, হঠাৎ অনুভূত হওয়া স্নেহ ও মমতার স্পর্শই আমার এই অবস্থার জন্য ...


ভুতুড়ে গল্পঃ উকিলের ঘরে কুকিল

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: রবি, ১৯/০৪/২০০৯ - ৭:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]১.
বৃষ্টিবাদলার দিন। সারাদিন কখনো টিপটিপ, কখনো ঝরঝর, কখনো মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে। দুলাল ঘ্যাঙাচ্ছিলো পরোটা দিয়ে গরুর মাংস খাওয়ার জন্য। সাথে কাঁচা পেঁয়াজ। একটু আচার।

টেনে থাবড়া মারতে ইচ্ছা করছিলো, কিন্তু জিভের জল সংবরণের পাশাপাশি সেই জলে রাগটাকেও চুবিয়ে মারি। আর দৈব বিপাকে মোবাইলটাও ঝনঝন করে বেজে ওঠে অ্যাসিস্টেন্ট হেডমিস্ট্রেসের ধমকের মতো।

ফোন তুলে চৌধুরীর হাসি হাসি গল...


কাস্টমস কাহিনী-২

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৭/০৪/২০০৯ - ৩:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কাস্টমস কাহিনী-২
এলিফ্যান্ট রোডের জুতা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজি মকবুলের একটা প্রিয় ডায়লগ হল... " আমারে যে বেকুব মনে করে সে এখনো মায়ের পেটে, দুনিয়ার মাটিতে এখনো তার পাও পড়ে নাই"। কথা সত্য, সে মানুষ হিসাবে মোটেও বেকুব কিসিমের না...স্বাধীনতার পরে চাঁদপুরের এক অজঁ গ্রাম থেকে খালি হাতে ঢাকা এসে আজকে সে কোটিপতি। এলিফ্যান্ট রোডে চারটা দোকান, ধানমন্ডিতে দুইটা ফ্ল্যাট, ছেলে মেয়েরা সব বি...


আম কোয়নিগস্ প্লাৎস্ :::: ৮

সুমন চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন সুমন চৌধুরী (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৬/০৪/২০০৯ - ৬:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পর্ব ৭

আরো একটা বীয়ার খুলে মাকসুদ বেশ মুন্সীয়ানার সাথে গ্লাসে ঢালে। বারে কাজ করতে গেলে প্রথমেই যে কয়েকটা জিনিস শিখতে হয় তার মধ্যে ফেনা সামলে গ্লাসে বীয়ার ঢালা একটি। সোহাগ বিড়ি ধরিয়ে ভক্ করে কিছু ধোঁয়া ছাড়ে। রিং বানাবার আরো একটা ব্যর্থ চেষ্টা। ঘড়িতে বাজে রাত সোয়া নয়টা। আরো এক ঢোঁক বীয়ার আর তারসাথে আরো এক খাবলা ধোঁয়া ছেড়ে সোহাগ বললো,

- প্রথম পর্বটা বানাইতে তো...