আমার একমাত্র দিদির যখন বিয়ে হয়েছে সি সময় আমি ক্লাস ফাইভ এ পড়ি। আমি তখন পুঁচকে, বয়েস নয় কি দশ
দিদির বিয়ে হয়ে যাবার প্রায় পনেরো বছর অবদি আমাদের বাসায় মহিলা বলতে মা ছাড়া আর কেউ নেই। আজো মনে পড়ে ছোটবেলা মাকে অনেক সাধাসাধি করতাম একটা ছোট্ট বোন এনে দেবার জন্য। বলতে কোনো বাধা নেই বাড়ীতে অন্য কোন মহিলা না থাকায় সেই সময় কোনো রকম লাজ লজ্জা ছাড়াই নির্ভাবনায় আমরা আমাদের জামাকাপড় পাল্টাতাম
...
আমার নিজের উপর আস্থার কোন অভাব নাই তাই ভার্সিটি পরীক্ষার জন্য যখন শুধু মাত্র একটা ফরম কিনলাম তখন বাসার সবাই খুব চেচামেচি করলেও আমি তেমন একটা পাত্তা দিলাম না। ভাবখানা এমন যে এইটা আর এমন কঠিন কি? কিন্তু ব্যাপার টের পাইলাম পরীক্ষা দিয়ে, বুঝলাম অবস্থা সুবিধার না। তাই পরীক্ষার কয়েকদিন পর যখন পত্রিকার পাতায় রেজাল্ট খুজে পাইলাম না তখন খুব একট আশ্চার্য হলাম না।
আমি আশ্চার্য না হইলে ...
যে তুমি বলেছিলে শেষরাতে ঘুমোতে পারনা ইদানিং
বেড়ে যায় পেচ্ছাবের বেগ
নেতাবন নিয়ে বড় যৌনকাতরতায় কাটে রাত
আহা অরক্ষিত দেশে শুধু গুলিবাজি বোমফাটানির শব্দে
তোমার সদ্য প্রসূত কন্যা কেঁপে কেঁপে ওঠে
কারা মরে যায়- কারা মারে-কারা যায় কারাগারে।
সারাদিন মাটিকাটা শেষে আব্দুল ঘুমের ভেতর
হাসে। তার হাতে মাধুরীর ছবি। বালিশের নীচে আছরের তাবিজ।
তবু আছর করেছিলো ভর তোমার ওপর
যে তুমি বলেছিলে ...
প্রচলিত ফীল্ম ভিত্তিক ক্যমেরার জন্য বিভিন্ন সংবেদনশীলতার (ASA) বিভিন্ন ধরনের ফীল্ম পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে সংবেদনশীলতা বদলের জন্য আপনাকে পুরো ফীল্মটাই বদলাতে হবে। ফীল্মের সংবেদশীলতা যত কম হত ছবি হবে তত মসৃন, সংবেদেনশীলতা বাড়লে বেড়ে যাবে ছবির মধ্যে দানাদার অস্পষ্টতা। দিনের উজ্জ্বল আলোর জন্য অল্প সংবেদনশীলতার ফীল্ম ভালো। এতে করে ফীল্ম তুলনামূলকভাবে বেশী আলোর সংস্পর্শে আসতে পা...
১.
বসন্ত আসতে এখন হপ্তা দুই বাকি। হাঁড় কাঁপানো শীত তারও আগে চেহারায় কমলা রঙের পট্টি লাগিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। মাঝে মাঝে ইতিউতি উকিঝুঁকি দিলেও তেমন কাউট্টাকামড় দেয়ার আর সুযোগ পাচ্ছে না বেচারা। সেদিন তো বেশ ঘটা করেই সূর্য্যিমামা গনগনে ভাব নিয়ে জানান দিয়ে গেলো "শীত মিয়া তোমার আর বেইল নাই!" [এর মধ্যে জনৈক মোটারাম মোঢিমু, সন্ন্যাসী দাদুর দেশীয় ললনাযোগে বরফের ফটুক কেমনে তোলে সেইটা তদন্ত...
মাঝে মাঝে মনে হয় হারিয়ে গেছি, যেখানে আমার থাকার কথা ছিলো সেখানে আমি নেই। বাড়ী ফেরার পথ কিছুতেই খুঁজে পাচ্ছি না, এদিকে সন্ধ্যার অন্ধকার দিকদিগন্ত আচ্ছন্ন করে নেমে আসছে ঘুম-আসা চোখের পাতার মত। পথ খুঁজে আর কিকরে পাবো, আলো থাকতে থাকতেই পেলাম না, এখন এত অন্ধকারে কিকরে আর....
[justify]ব এর সাথে ন এর খুব দোস্তি ছিলো। প্রায়ই তারা একসাথে ঘোরাঘুরি করতো। ভবনে, পবনে, বনে, জীবনে, যৌবনে।
ড় এর সাথেও ন এর সম্পর্ক ভালো ছিলো। তাই তার সাথেও সে ঘোরাঘুরি করতো, প্রায়ই। তাড়না, বুঝলেন, তাড়না।
একদিন ন এর সাথে দেখা হলো ব-এ শূন্য র এর। ন একগাল আহ্লাদি হাসি নিয়ে র এর পাশে গিয়ে বসলো।
র চোখ লাল করে কিছুক্ষণ আগাপাস্তলা ন কে খুঁটিয়ে দেখে, বললো, "তর মাথায় টুপি ক্যা?"
ন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে ব...
অনেকের কোন কিছু হয়ে ওঠা হয় না। অনেকে সেটা শুরুতেই বুঝে যায় যে তাদের কিছু হয়ে ওঠা হবে না। তখন তারা একধরনের হাল ছেড়ে দেয়া অনুভবে ভাসতে থাকে। তারপরে একটা সময়ে সেই এলিয়ে পড়া অনুভূতিটাই তাদেরকে অভ্যস্ত করে ফেলে দৈনন্দিন ঘটনাবলীতে। তারা বুঝে ফেলে যে এই কোন কিছু না হয়ে ওঠা, কোনকিছু না করে ফেলাটাই একটা বড়ো কঠিন কাজ। এবং এরকম ক্রিয়াটি সুসম্পন্ন হলে তারা তৃপ্ত হয়।
আমিও ধীরে ধীরে কোনকিছু ...
[চলমান সতর্কবাণী ঃ এই সিরিজের পর্বে পর্বে বর্ণিত চরিত্রে কিংবা ঘটনাচিত্র প্রবাহে কেউ কোনরূপ সাদৃশ্য বা মিল খুঁজিয়া পাইলে তাহা ব্যক্তির স্বেচ্ছাকল্পিত অতি সৃজনশীলতা বলিয়া গণ্য হইবে]
দেশের বাইরে থেকে মেলায় প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ করতে না পেরে প্রবাসী যাঁরা এবারের মেলা নিয়ে খুব আগ্রহী ও কৌতূহলী ছিলেন, তাঁদের মনোযাতনা কিছুটা হলেও আঁচ কর...
মন্দার হাওয়া যখন বইতে শুরু করল, আমাদের লন্ডন অফিসের ট্রেডরুমের ষন্ডারা হালকার উপর ঝাপসা মত এক আশায় বুক বাঁধলেন।
“তেলের চাহিদা ক্রমশ কমে আসছে ঠিকই, কিন্তউ তেলের উত্পাদন আর মজুদ তার চেয়েও দ্রুত গতিতে কমে আসছে। অর্থনৈতিক মন্দা কে লোকে যত দীর্ঘস্থায়ী ভাবছে আসলে তা অতটা না। এই আর কয়দিন মাত্র। কিছুদিন পরই অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াবে, আর তখনই চট করে লাফিয়ে উঠবে তেলের চাহিদা। অন্যদিক...