Archive - জুন 2011

June 17th

একজন রুমানা মঞ্জুর শুধুই একজন রুমানা মঞ্জুর নয়

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী (তারিখ: শুক্র, ১৭/০৬/২০১১ - ২:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনুরোধ করবো লেখাটা পড়ার আগে আপনার পক্ষে বা বিপক্ষের মতামতগুলোকে ১৫ মিনেটের জন্যে তুলে রাখুন। আসুন আমরা একটা নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোন থেকে বিষয়টিকে দেখার চেষ্টা করি।

গত কিছুদিন কাজের চাপ একটু বেশী ছিল। অনলাইন থেকে খবরের কাগজ পড়ার সময় হয়ে ওঠে নি।তবু দেশে কী হচ্ছে, না হচ্ছে সেটা ফেইসবুকের হোমপেইজ থেকে দেখে নিচ্ছিলাম মাঝে মাঝে। খবরটা চোখে পড়েছিল দিনের বেলাতেই। তবে বিস্তারিত পড়া হয় নি। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে ল্যাপটপ ওপেন করে স্কাইপ থেকে বাংলাদেশে গার্লফ্রেন্ডকে কল দিলাম। কথা বলতে বলতে হঠাৎ সে বলল,
“পিংকী আপুর (আমার ছোটবোন) ফেইসবুক স্ট্যাটাস দেখেছো?”
আমি অন্যমনস্ক ভাবে বললাম, “না। কেন? কী লিখেছে?”
“আপু লিখেছে, জীবনে এই প্রথম বিয়ে নামক ব্যাপারটাকে ভয় পেলাম।”


কার্বন যুগ : অধ্যায় ১ (বাকিটুকু)

ফারুক হাসান এর ছবি
লিখেছেন ফারুক হাসান (তারিখ: শুক্র, ১৭/০৬/২০১১ - ১:১২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অধ্যায় ১ (প্রথম অংশ, দ্বিতীয় অংশ)

ক্যালটেকের প্রয়াত পদার্থবিদ রিচার্ড ফাইনম্যান একবার বলেছিলেন, দুনিয়ার সকল জ্ঞান ধ্বংস হলেও যে বৈজ্ঞানিক বিবরণটি শেষ পর্যন্ত রক্ষা করতে চাইবো সেটি হচ্ছে, “সকল পদার্থ পরমাণু দিয়ে তৈরি। পরমাণুরা কোনো জ্বালানি ছাড়াই নিয়ত ঘূর্ণনশীল এক একটি অতিক্ষুদ্র কণা। সামান্য দূরত্বের পরমাণুরা একে অপরকে আকর্ষণ করে, কিন্তু খুব কাছে নিয়ে আসলে তারা আবার একে অপরকে বিকর্ষণ করে।” মৃতপ্রায় নক্ষত্রদের একেবারে বাইরের দিকে, যেখানে সবকিছু অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা, সেইখানে নিউক্লিরা ইলেকট্রন জোগাড় করে পরমাণুতে পরিণত হয়। যখন পরমাণুগুলির মধ্যে বিদ্যমান আকর্ষণ ও বিকর্ষণ বলের ভারসাম্য তৈরি হয়, তখন তারা জোড়া লেগে লেগে অণু সৃষ্টি করে।


মেয়েদের উচ্চশিক্ষাঃ আর্থিক টানাপোড়েন বনাম পারিপার্শ্বিকতা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৬/০৬/২০১১ - ১০:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কেস স্টাডি ১ঃ মিনা ঘরের বড় মেয়ে। পিতা পেশায় কৃষক। এক ভাই মধ্যপ্রাচ্যে থাকায় আর্থিক অবস্থা নিম্ন-মধ্যবিত্ত থেকে উত্তরণের পথে। ঘরে আছে আরও ছোট দুই বোন। আর্থিক টানাটানির মধ্যে বসবাস হলেও পরিবারটি শিক্ষানুরাগী । বড় ভাই উচ্চমাধ্যমিক পাশ। মিনাও মাধ্যমিকে প্রথমবার খারাপ করলেও পরেরবার প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়। এরপর উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি পার হয়ে ডিগ্রী পরীক্ষায়ও রেকর্ড সংখ্যক নাম্বার নিয়ে পুরো থানায় শীর্


ভীষণ লাগে

বন্দনা এর ছবি
লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৬/০৬/২০১১ - ৯:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[center]ভালোবাসি এই দুরন্ত দুপুর গনগনে রোদে
ছোঁয়াছোঁয়ি করা পাশাপাশি বসে
একসাথে বাড়ি ফেরা,
আবোলতাবোল বকে যেতে যেতে
হাতপাগুলো এলোমেলো ছুড়ে
এদিক সেদিক অযথাই চেয়ে
একটুখানি ছুঁয়ে দিতে ভীষণ লাগে।

ভরদুপুরে ক্লাসের শেষে
তোমার জন্য অপেক্ষাতে
বসে থাকা ও লাগে ভালো,
বিকেল শেষে তুমি এলে
টিএসসি কিংবা পুরান ঢাকায়
চটপটির ওই সেই দোকানে
খেতে খেতে ঝালের চোটে
চোখের কোণে পানি আসা ও ভীষণ লাগে।


রুপলি পৃথিবী

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৬/০৬/২০১১ - ৯:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাসে ঝুলে ঝুলে মহাখালি পার হবার সময় একদিন হঠাৎ একটা দোকানের নাম পরে অনেক ভালো লাগলো - সিল্ভার রেইন। ভেবে দেখলাম বর্ষার সময় আসলেই পৃথিবী অনেকটা রুপলি হয়ে যায়। পৃথিবীতে রুপলি জিনিস কি কি আছে ভাবতে ভাবতে কিছু সাদাকালো ছবির চিন্তা মাথায় এসেছিল।


স্বপ্ন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৬/০৬/২০১১ - ৯:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্বপ্ন তো ছিল স্বপ্ন না দেখার………….

প্রথম বিকেলে, তোমার কাঠলিচু চোখ
হঠাৎ ধসে পড়ল আমার চোখে

আর স্বপ্নরাও খসে পড়তে থাকল
অবরিাম নৃত্যপটু পাখিদের ডানা থেকে
ক্রমাগত প্রণয়সিক্ত ফুলের সুরভি থেকে
এমনকি কোমর বাঁকিয়ে তারা এল
দুবেলা রান্না করা আটপৌরে গিন্নীদের চোখ থেকেও।

স্বপ্নরা রক্তাক্ত হরিণের ক্ষুর
শিশির ফোটার মতো হাওয়ায়ও মিলিয়ে গেল খুব


আগমনী বরষা

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি
লিখেছেন মৃত্যুময় ঈষৎ [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৬/০৬/২০১১ - ৮:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নীল নেই, ধূসর মেঘে আকাশ ছেয়ে
আছে বরোষার আগমনী পাখায়
চেপে ভাসিয়ে দিচ্ছে স্মৃতি-
স্মৃতিতে বর্ষণমুখর সন্ধ্যা অপেক্ষায়


June 16th

কাজ-কর্ম নিয়ে উর্বর(!) চিন্তাভাবনা

শামীম এর ছবি
লিখেছেন শামীম (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৬/০৬/২০১১ - ২:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঢিসক্লেইমার: এই লেখাটা আমার উর্বর মস্তিষ্কের সাময়িক উত্তেজনা এবং কিছু দীর্ঘমেয়াদী উত্তেজনা হ্রাস করার উদ্দেশ্যে নামানো হয়েছে। কাজেই ইহার কোন তথ্যসূত্র চাইলে নিজ দায়িত্বে খুঁজিয়া লইতে হইবেক -- আমার মনে হয়, এর সূত্রগুচ্ছগুলোর কিছু অংশ আমার তথাকথিত উর্বর মস্তিষ্কে জটা পাকাইয়া রহিয়াছে।
---
যদি বলা হয় কী কাজ কর? তাহলে আমার মেয়ে হয়তো বলবে "কুকুল দেখি' -- আসলেই সে ইউটিউবে চালিয়ে রাখা কুকুরের ঘেউ ঘেউ দেখছে। কিন্তু আমাকে জিজ্ঞেস করলে আমার প্রতিষ্ঠান আর পদবী বলবো হয়তো। অর্থাৎ কাজ বলতে আমি চাকুরী বাকুরীকেই বুঝিয়ে থাকি -- এই কাজের বিনিময়ে আমি বেতন পাই। এই লেখার পয়েন্ট অব ভিউ হল, যেই কাজ কোন না কোন ভাবে সমাজে অবদান রাখে। ... ... নাহ্ ঠিক মনমত হল না ... ... আরেকবার একটু গুছিয়ে শুরু করার চেষ্টা করি:


দিদিমণি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৬/০৬/২০১১ - ১০:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার দিদিমণি-কোনো অসাধারণ নারী হয়তো নন, কিন্তু এই সাধারণ নারীটি তার অভিজ্ঞতার ঝুলি দিয়ে অন্তত একটি জীবনকে ঋদ্ধ করেছেন। আমি তার কাছে ঋণী। সাতচল্লিশের দেশবিভাগে বাংলাদেশের যেই বাড়িটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই বাড়ির সেই ভয়ালরাতের নির্মমতার প্রত্যক্ষদর্শী, মুক্তিসংগ্রামের অস্থির সেই দিনের সাক্ষী এই নারী গত ১৫ই জুন,২০১১ সবাইকে ছেড়ে চলে গেছেন। এ কবিতায় তাঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই।


গল্প আর ছবিঃ ক্ষুধা

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৬/০৬/২০১১ - ১:৫৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
সকালবেলা অফিসে যাওয়ার সময় বিলবোর্ডটা চোখে পড়ে। বাসা থেকে দুই কদম দূরেই। সকালের নরম আলোও শব্দগুলোর কাঠিন্য কমাতে পারে না। আবার বিকেলে অফিস থেকে বের হয়ে রাস্তায় উঠলেও সেই একই বিলবোর্ডটাই দেখি। এই খোদ মার্কিন দেশে আমার প্রতিদিনের আসা এবং যাওয়ার রাস্তার দুদিকেই মাত্র কয়েক মাইল ব্যবধানে লাস্যময়ী নারীর বদলে আছে ক্ষুধার বিজ্ঞাপন।