তানভীর আহমেদ
পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে সরকারের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করা দেখে মনে হচ্ছে বাংলাদেশকে মালয়শিয়া , চীন , কোরিয়া কিংবা ইংল্যান্ড পেয়ে বসেছে। বিশ্ব ব্যাংকের দাদাগিরি, শর্ত আরোপ, তথাকথিত প্রমাণহীন দূর্নীতির অভিযোগ ও সেতুর অর্থায়ন প্রত্যাহারের ঘোষণার পরও পদ্মা সেতু নির্মাণে মালয়শিয়ার প্রস্তাব মেনে নিলে মোটা দাগে আসলে ক্ষতিটা হচ্ছে বাংলাদেশের।
মায়োনিজ মাখানো ঘুড়ার ডিম দ্বারা ভাত পান করার পর
শইল্যে একটা মৌরিতানিয়া বাসা বাঁন্ধে
আমি তারে বললাম, মৌরিতানিয়াগো...আমি তুমাকে ভালোবাসি
ভালোবাসি তুমার আধার কালো চোখ মিটিমিটি হাসি
বাসি ফুলসদৃশ নধর অধর গিধরের ন্যায় পান করিতে
তাহার পর টাইগ্রিস নদীর জলে চান করিতে
আমাগো চাইরপাশে তখন ফ্যান্টাশটিক সব দৃশ্যাবলি
জল গড়িয়ে চলে
পতনেই বুঝি জলের আজন্ম সুখ,
বাধা পেলে প্লাবন ডাকে,
ভাঙ্গনের স্রোত ভাসায় ফুল্লরার বুক।
ও মেয়ে,
তুমি কি গো জলকন্যা?
কেবলই আপন খেয়ালে চলো?
ডুবসাঁতারে সঙ্গে নিলে
কী'বা এমন ক্ষতি হতো বলো?
এই জনমে নাইবা হলো,
রইলো আরো হাজার জীবন....
তোমার সাথে স্নানে যাবো
জেনে নিয়ে জলের সমীকরণ।
ভাসাও, ভাঙ্গো কিংবা মারো করে আস্ত বরফ জমাট,
জলের তোড়েই খুলবো সেদিন তোমার সকল বদ্ধ কপাট।
০১।
তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর স্মরণে আয়োজিত ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে 'রানওয়ে' মুভিটি দেখার পর আমার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ছিল এরকমঃ
[i]"বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে ফিল্ম বানানো আম্রিকানদের ব্যাপার-সেপার। আমরা অতো কষ্ট করতে যাবো কেনো? আমরা বানাবো ফর্মুলা ফিল্ম।
০১।
মামাতো ভাই মফস্বল থেকে ঢাকা শহরে এসে কিছুদিন উদভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেরালো, তারপরই আমার অবৈতনিক পাঠশালাতে ভর্তি হয়ে গেলো। আসুন মনে করি ভাইয়ের নাম, পরিষ্কার। অত্যন্ত দুঃখের ব্যাপার হলো নামের সঙ্গে তার কাজের, অকাজের কোন মিল নেই। নিজের একমাত্র ছাত্রের এরকম লেজেগোবরে অবস্থা দেখে আমি আর দেরি না করে বইমেলার উদ্দেশে রওনা দিলাম।
উদ্দেশ্যঃ পাঠদান কর্মসূচীর জমজমাট উদ্বোধন।
১
সকাল থেকেই ঝর ঝর বৃষ্টি হচ্ছিল। এখন একটু কমেছে। উঠানের ওপাশে রান্নাঘরটা। মা ধোঁয়া উড়িয়েই যাচ্ছিলেন। একটা মোড়ায় বসেছিল রিফাত। পাশের উঠানটা একটু ঢালু। উঠানের মাঝখানে দাঁড়িয়ে তৃপ্তি। ওদের বারান্দায় বসে তন্ময়, টুলের উপর।
-এই মেয়ে ঘরে আয়।
[justify]
সে এক শহর আছে। মাঝরাতে সে আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে - জিজ্ঞেস করে “আমার কথা মনে আছে তো"?
আমি ঘুম জড়ানো গলায় তাকে তাড়াতে চাই। সে ফিরে আসে বারবার, দুষ্টু হাসি মুখে ঝুলিয়ে বলে - "আমার কথা মনে আছে তো?"
মাঝে মাঝে সাতসকালে আমি প্রাত্যহিকের ব্যস্ততা সামলাতে সামলাতেই সে হঠাৎই সামনে সেই পুরানো বেশ নিয়ে এসে দাঁড়ায়। একগাল হেসে বলে - "চলে এলাম”।
এইবেলা নদীর কথা না বললে আর শান্তি পাচ্ছি না। কিন্তু মুশকিল হলো কিভাবে বলবো? যতই বলি খুব সুন্দর, মনোমুগ্ধকর, অস্থির কিংবা অদ্ভুত- কিছুতেই তৃপ্তি হয় না। শুধু মনে হয়- হলো না! ঠিক করে বলতে পারলাম না। তাই ভাবলাম চুপ যাই। কিছু ফটুক তুলে দেই- তারপর ঐ বিশেষন গুলো না হয় আপনারাই ঠিক করে নিবেন।
[ধরলা-১]