Archive - 2012

February 24th

আদর্শ স্বামী

মন মাঝি এর ছবি
লিখেছেন মন মাঝি [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২৪/০২/২০১২ - ৯:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রূপনের দেয়া বিরাট হীরের আংটিটা চোখ ঝলসে দিল জিনার। একবাক্যে - ও বোল্ড আউট।

রূপনের সাথে ডেট করার কারনে জিনার বান্ধবীরা ওকে নিয়ে কম হাসাহাসি করেনি। ওর বাবার চেয়েও বয়সে বড় রূপন সাহেব। মাথা অনেক আগেই প্রায় চন্দ্রপৃষ্ঠ। কিন্তু জিনা জানত সুইচ কোথায় ও কিভাবে টিপতে হয়। যাক, সব ভাল যার শেষ ভাল। চুনোপুটি নয়, বড়শিতে ও তিমিই গেঁথেছে একটা।


ঘুরান্তিস - পর্ব তিনঃ তাজহাট জমিদার বাড়ি আর কারমাইকেল কলেজ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২৪/০২/২০১২ - ৭:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শীতের সকালে মফস্বলে যা যা থাকার কথা মোটামুটি সব-ই আছে, নেই শুধু ঠান্ডা আর কুয়াশা। আমারই ভাগ্য খারাপ। উত্তরবংগ আসার আগে কতো জল্পনা কল্পনা করলাম- কাপড় চোপড় এর বস্তা নিয়ে। কতো সংশয়! ভাগ্যিস, শেষ পর্যন্ত আলসেমির জয় হয়েছিল, না হলে এখন শুধু শুধু গরম কাপড় গুলো টানতে হতো।


ওয়ান ফর সরো, টু ফর জয়

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি
লিখেছেন আনন্দী কল্যাণ (তারিখ: শুক্র, ২৪/০২/২০১২ - ৪:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যা হয় না তা যে হয় না, তা বুঝতে আবুল মজিদের বার বছর লাগে। এই বুঝাবুঝি শেষ করতে করতে যখন হুঁশ হয়, ততদিনে এলাকার জলা-মাঠ-কচুরিপানা সাফা হয়ে খালি দালান আর কোঠা। ইয়ার-দোস্তরা সেইসব দালান-কোঠার কন্ট্রাকটারি করে বিয়ে-শাদি করে পোলাপানের হ্যাপি বার্থডে করে। আবুল মজিদ সেইসব হ্যাপি বার্থডে তে যায়, মোমবাত্তিতে ফুঁ দেয়, হাসি হাসি মুখে গ্রুপ ফটো তোলে। ভাবিরা বলে, বিয়া করেন না ক্যান?


ভালোবাসার সংজ্ঞা: উদাহরণ সহ

উচ্ছলা এর ছবি
লিখেছেন উচ্ছলা [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২৪/০২/২০১২ - ২:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রেনু আর রতনের ব্রেকাপ শেষ পর্যন্ত হয়েই গেল। হবে না তো কি?! কট্টর মুসলিম খান্দানের মেয়ে আর রক্ষণশীল হিন্দু পরিবারের ছেলের মধ্যে যে এ প্রেম পাক্কা পাঁচ বছর ধরে মরে মরে হাঁচড়ে-পাচড়ে বেঁচে ছিল, এ-ই অনেক!


পাগল মরলে বাত্তি জ্বলে মুল্লা মরলে জ্বলে না

লাল মিয়া এর ছবি
লিখেছেন লাল মিয়া (তারিখ: শুক্র, ২৪/০২/২০১২ - ১২:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]সে বহুৎ পুরানা কাহিনী। বাংলা বোলগ জগতের অলিতে গলিতে তখন ছাগু আর ছাগাতুন্নেছা গিজগিজ করতেছে। কথায় কথায় গোলাম আজম-নিজামীগো মহান্নেতা কইয়া ন্যান্টা হইয়া নাচে। সেই কয়েকঝাঁক ছাগীর কাঁচুলি ছিঁড়া ঝুমুর ঝুমুর নাচের ঠ্যালায় যুক্তিটুক্তি কয়েকমাসের মধ্যে মাতায় উইঠা গেলগা। যুদ্ধবিজ্ঞানের খুব জরুরি শিক্ষা মনে পড়লো। শত্রু যে অস্ত্র চালাইতে পারে না সেই অস্ত্রে তারে ঘায়েল করো। খুব বেশী কিছু করা লাগলো না


স্রষ্টার সাথে বসবাস

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৩/০২/২০১২ - ১১:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্রষ্টা বড়ই নিষ্ঠুর, মনে মনে ভাবি আমি। নয়ত আমার গতকাল কেনা ছোট্ট লাল গাড়িটা, চাপ দিলেই যেটা দৌড় দেয়, ইদুরের চেয়েও জোরে দৌড়াতে পারে সেটা, এত তাড়াতাড়ি হারায় কিভাবে? আর গেল কোথায় ওটা? খাট, ড্রেসিং টেবিল, শো-কেস কোন কিছুর নিচেই তো খোজা বাদ দেই নি!স্রষ্টা নামক না দেখা অস্তিত্বের প্রতি প্রবল একটা অভিমান জমা হয় আমার।


আমার আমি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৩/০২/২০১২ - ১১:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সবার নিজের ভেতরেই রয়েছে একটি নিজস্ব মানুষ। সে মানুষটি কখনো হয়ে যায় খুব কঠোর, কখনো কোমল। কখনো খুব যৌক্তিক, কখনো যুক্তিহীন শিশুর মত। যেন একের ভেতরে বহু। একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব, আচরণ, ভাবনা ইত্যাদিতে প্রভাব ফেলে তার বাবা-মায়ের ব্যক্তিত্ব, আচরণ, ভাবনা, পরিবেশ, চারপাশের মানুষ। ব্যক্তি তার নিজের মধ্যে এর প্রত্যেকটিকে ধারণ করে। একটু সময় নিয়ে ভাবলেই নিজের মধ্যে খুঁজে পাবেন আপনার বাবা-মায়ের গুণগুলো বা দো


এগারো ডিগ্রি আর কিছু অকারণ আনন্দ

দীপ্ত এর ছবি
লিখেছেন দীপ্ত [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৩/০২/২০১২ - ৮:২৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]গতকালের আগের দিন আমার ভার্সিটি গিয়েছিলাম, বেশ কদিন পরে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর আর যাওয়াই হয়নি। এখন আন্ডারগ্র্যাডদের ছুটি চলে, সবারই পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে। তাই ক্যাম্পাসটা বেশ ফাঁকা। দুচারজন ছাত্র হেঁটে লাইব্রেরির দিকে যাচ্ছে, অল্প কজন ক্লাস থেকে বের হয়েছে, সব মিলে বেশ শান্ত-চুপচাপ এক ক্যাম্পাস। এর মধ্যেই ভার্সিটিতে ঢুকতে না ঢুকতেই বাচ্চাদের চিৎকার- চেঁচামেচি কানে ভেসে আসে। ঢোকার মুখেই


February 23rd

ওনিবাবা : মুভি রিভিউ

খেকশিয়াল এর ছবি
লিখেছেন খেকশিয়াল (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৩/০২/২০১২ - ৫:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জাপানের রূপকথার ওনিবাবা কে বাংলা করলে দাঁড়াবে ডাইনী বুড়ি।


নবাবনামা - দুই

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৩/০২/২০১২ - ১২:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম পর্ব এখানে

মুর্শিদ কুলির মৃত্যুর পর কটক থেকে দুই অনুচর নিয়ে বাংলায় হাজির হন জামাতা সুজা খান। ওই দুই অনুচর ছিল দুই ভাই, একজনের নাম হাজি আহমেদ আরেকজনের নাম আলিবর্দি খাঁ। কেউ বলে এরা দিল্লীর বিরাট বংশের লোক, তবে দুষ্টলোকের রটনা হল হাজি আহমেদ ছিল একটি ভৃত্য আর আলিবর্দি ছিল হুক্কাবরদার। বড় ভাই হাজি আহমেদ অতি চতুর ও বুদ্ধিমান, তিনি মন্ত্রিপদ বাগিয়ে নিলেন। শোনা যায় নবাবের হেরেমে পাইকারি মেয়ে সাপ্লাই করার জন্য তিনি দাগী আসামীদের নিয়ে দল গড়েন। তিনি নাকি একটি কচি সুন্দরী ভেট হিসেবে বগলে না নিয়ে কখনোই নবাবের দরবারে যেতেন না। ছোট ভাই আলিবর্দি ছিলেন কড়া ধাঁচের, পাক্কা সৈনিক মনোভাব। তাকে নবাবের অধীনে একটি ঘোড়সওয়ার কোম্পানীর প্রধান বানানো হয়।