ইদানীং ঢাকা শহরে চলাফেরা করা শুধু সময়সাপেক্ষ ব্যাপার নয়, একটা ধৈর্য্যেরও বিষয় বটে। সন্ধ্যা সাতটার দিকে প্রায় একই জায়গায় আধা ঘন্টা ধরে বাসটি নিশ্চল দাঁড়িয়ে আছে, জানালার পাশে বসে উদাস দৃষ্টিতে বাইরে তাকিয়ে থাকা দিপুকে দেখে অবশ্য মনে হচ্ছিলো না হাসপাতালে পৌঁছাতে তার কোনো তাড়া আছে অথবা ক্রমশ ভিতরে ভিতরে অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে। দেশের একটি বড় নামকরা হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কাজ করে সে। খুব বেশিদিন হয় নি নামের আগে ডাক্তার শব্দ বসিয়েছে। ইনফ্যাক্ট এক বছরের ইন্টার্ণশীপ শেষ করে এই রকম একটি বড় হাসপাতালে চাকরী পেয়ে যাবে, সেটা সহজে ভাবেওনি দিপু। এই অর্জনের পিছনে দিপুর জাঁদরেল বাবার, যিনি কিনা সরকারের একজন হাই অফিসিয়াল, ভুমিকা অবশ্য কম নয়!
খেলোয়াড়দের জন্যঃ
১। সরকারি চাকুরীজীবিদের মতো দলের প্রত্যেক সদস্যের স্থান স্থায়ী করতে হবে। কোন অবস্থায় দল থেকে বাদ দেয়া যাবে না। প্রয়োজনে পেনশানের ব্যবস্থাও করতে হবে।
২। সবসময় দেশের বাইরে খেলতে দিতে হবে। কোন অবস্থায় দেশে খেলা হতে পারবে না।
নিয়তির উপর আগ্রাসন চালালাম। খোদাতালা মাওলা কপালে যা রেখেছে রাখুক। আমার পেটে খিদে, পকেটে পয়সা নেই, উপোস থাকাই নিয়তি। দুম করে পড়ে গেলাম ফুটপাতে।
গত ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আমরা, মানে আমি আর মণি'দি, সচলায়তনের জন্যে একটা গান তৈরীর কথা ভাবছিলাম। মণি'দি আমার যাবতীয় সাঙ্গীতিক দুষ্কর্মের প্রধান সহযোগীদের একজন। আমি ছাঁইপাশ যাইই তৈরী করি না কেন, মণি'দি সেইটা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। গম্ভীর মুখে মাথা নাড়তে নাড়তে বলেন, "দাদা, সুন্দর হইসে, ভাল হইসে,তবে--"......এই ভীষন ভালমানুষ দিদিটাকে আমি পছন্দ করি তার এই 'তবে'-টুকুর জন্যে। তিনি ভীষন ঠান্ডা মা
আপডেট: এই মাত্র ইস্টিশন ব্লগের এই লেখাটি পড়ে মনে হল আসলেই রাহী আর উল্লাসের বাবা-মা'র পরিচয় আর ঠিকানা প্রকাশ পেলে ওদের পরিবারের বাকি সদস্যদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে। ধর্মীয় অনুভূতি বলে কথা! তাই আমি সবগুলো ছবি থেকে বাবা-মা'র নাম আর ঠিকানা মুছে দিচ্ছি।
“ সামনে আর পাকা রাস্তা নেই। এখান থেকে পায়ে হেটে যেতে হবে। ” মেজর ফয়সল কবির বলল।
গাড়ি থেকে বের হলাম আমি। তার আগে অস্ত্রভর্তি ব্যাগটা পরীক্ষা করে নিলাম।
“ মেজর সুরঞ্জন। ” ফয়সলের কণ্ঠ শুনে তাকালাম ওর দিকে। একটা সিগারেট অফার করছে ও। “ এখনই টেনে নাও। রাতে আর ধরাতে পারবে না। বানশিগুলো দেখে ফেলবে। ”
পিছন থেকে গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠল মেজর ইশতিয়াক,“কোন বানশি আসলে জাস্ট উড়াইয়া দিব। আমাকে চিনে না।”
জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময় সটান দাঁড়িয়ে, দুই হাত শরীরের দুই পাশে উল্লম্ব ভাবে ঝুলিয়ে, পতাকার দিকে মুখ করে গাইতে হয়। জাতীয় সঙ্গীত চলার সময় দাঁত খিঁচিয়ে হাসতে হয় না, হাত পা নাড়তে হয় না, ক্যামেরা দেখলে ছ্যাবলার মতো লাফাতে হয় না।
এ শুধু আইনের শিক্ষা নয়, এ শিক্ষা স্কুলেও দেওয়া হয়। কাণ্ডজ্ঞানের কথা বাদই দিলাম।
"ভুলে যা" "ভুলে যা" "ভুলে যা" বললেই কি কিছু ভোলা যায়? কোন্ বহুদূরের পাহাড়ের চূড়ার উৎস থেকে উৎপন্ন হয়ে, কত মাঠবন পার হয়ে, কোন্ সুখ-উঠানের পাশ দিয়ে কলকলিয়ে, কোন্ দুখ-পাথরের গায়ে হাত বুলিয়ে বুলিয়ে বয়ে যেতে থাকা ছলাৎছল নদীকে কি উৎসে ফিরে যা বললেই সে ফিরতে পারে?