"The more things remain obscure and mysterious, the more they interest me. I even try to find mystery in things that have none."-
Patrick Modiano
____________________________________________________
সম্প্রতি আমি লিন্ডা সিগারের লেখা ক্রিয়েটিং আনফরগটেবল ক্যারেকটারস বইটি পড়া শুরু করেছি। কোন সিনেমার চিত্রনাট্যের জন্য কিভাবে একটি চরিত্র সাজাতে হয় তার উপর এই বই।
একটা গোটা বছর চলে গেল, সচলে কিচ্ছুটি লিখিনি| আগে তাও মাসে একটা করে লিখতাম, সেটা কমে এলো বছরে একটা, তাও হয় না| এখানে একটা বিরস মুখের ইমোজি দেওয়াই যেত, কিন্তু থাক --- কী হবে! যা হয় নি, হয় নি| ২০১৫য পড়া বই নিয়ে, লেখককে নিয়ে লেখার আহ্বানটা দেখে অবশেষে লিখেই ফেললাম| আগের কয়েকটা বছরের তুলনায় ২০১৫ তে পড়া হয়েছে প্রচুর| কাজেই লিখতে গেলে তিন চারখানা ব্লগ লিখে ফেলাই যায়| আপাতত বেশী ভ্যানতাড়া না করে একটা অন্তত লিখেই ফেলি|
"ড্যাঞ্চীনামা' দিয়ে পরিমল ভট্টাচার্য্য পড়া শুরু করেছি ২০১২তে, কিন্তু এই লেখককে নতুনভাবে আবিষ্কার করলাম ২০১৫তেই| যে দুটো বই চেটেপুটে পড়েছি --
১) "শাংগ্রিলার খোঁজেঃ- হিমালয়ে গুপ্তচারণার তিন শতক"
২) "দার্জিলিং ঃ- স্মৃতি সমাজ ইতিহাস"
পাঠক হিসেবে ২০১৫ চমৎকার কেটেছে, গুডরিডসের হিসেব মতে ৫৪টা বই পড়েছি, প্রকৃত সংখ্যা আরো একটু বেশি হতে পারে। ২০১৫ সালে প্রথম আবিষ্কার করেছি এমন কোন একজন লেখকের বই নিয়ে লিখতে বসে দেখলাম এই সংখ্যাটাও বাংলা ইংরেজি মিলিয়ে নেহায়েত কম না। শেষ পর্যন্ত এমন একটা বইতে কম্পাসের কাঁটা স্থির করলাম যেই লেখক/ যার লেখা বই এর কথা গুডরিডস রেকমেন্ডেশানের আগে কখনো শুনিনি-বই এর নাম ‘[url=https://www.goodreads.com/book/sh
পড়ুয়াদের ২০১৫, শিরোনামটা দেখেই স্মৃতিতে সদ্য বিগত হয়ে যাওয়া বছরে পড়া বইগুলো একে একে ঝলক দিয়ে উঠলো যেন! ২০১৫, পুরো বছরটাতে আমি সৈয়দ মুজতবা আলী, জাহানারা ইমাম এবং শাহাদুজ্জামানে বিভোর ছিলাম। দেশে বিদেশে-এর মত এমন সরেস রস সাহিত্যে আমি কখনোই আস্বাদন করেনি। অন্যদিকে শাহাদুজ্জামানের ছোট গল্প আমাকে সাহিত্যের নতুন স্বাদ ও ভাবনার দিগন্তে হাটিয়েছে।
লেখাটির ছোট্ট একটা ভূমিকা দিতে হবে। এই লেখাটি পড়ুয়াদের ২০১৫ আহবানকে সাড়া দিয়ে লিখেছি। কিন্তু সে অর্থে কোন রিভিউ নয়। সন্দেশের আহবানের সূত্রে অনেকদিন পর আবার লেখা হল। আর সেই সাথে যদি তরুণ প্রজন্মের ছোট একটা অংশকে খানিকটা প্রভাবিত করা যায় সেটি হবে বাড়তি পাওনা।
২০১৬’র শুরু থেকেই চলচ্চিত্র নিয়ে নিয়মিত লেখার একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিলাম। ইচ্ছে ছিল ৮৮তম অস্কারের সেরা বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র পুরষ্কারের জন্য মনোনীত চলচ্চিত্রগুলো দিয়ে শুরু করবো। কিন্তু গত বৃহস্পতিবারের দৈনিক প্রথম আলোর ‘আনন্দ’ তে চলচ্চিত্র নির্মাতা রেদওয়ান রনির বাংলাদেশের চলচ্চিত্র বিষয়ক অত্যন্ত ‘নাইঈভ’ অত্যন্ত ‘শভিনিস্টিক’ লেখাটি পড়ে নিজেই বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের বর্তমান পরিস্থিতি এবং সম্ভাবনা
১৯৭৫ সালের ১১ নভেম্বর মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের দেয়া ভাষণের সাথে জেনারেল আইয়ুব খানের ১৯৫৮ সালের ৮ অক্টোবরের ভাষণটার অনেক মিল আছে। পাকিস্তানী সামরিক শাসকের মতো তিনি বলেছিলেন "আমি সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে দেশে সামরিক আইন জারি আছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় সময়ের অতিরিক্ত সরকার সামরিক আইন বলবৎ না রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ...
মক্কার মানুষ যে হজ্জ পায় না, এই প্রবাদের অর্থ বুঝলাম যখন আমার সদ্য প্রবাসী বন্ধু জিগ্যেস করে লন্ডনের কোথায় কোথায় গেছি। কিছুক্ষন ভেবে ঘুরায়েপ্যাঁচায়ে উত্তর দিই যে এইত গেছি আর কি সবখানেই। ডাঁহা মিথ্যা কথা!
২০০৪ সালে জফির সেতু আর আমার রক্ত দিয়া যে শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর শুরু হইছিল। এক যুগ পরে আহমেদুর রশীদ টুটুলের রক্তপাত দিয়া কি সেই শুদ্ধস্বর বন্ধ হয়ে যাবে?
দুই মাস ধইরা খালি এই প্রশ্নটা আমার মাথায় ঘোরে। তিনজনের মাঝে দুইজন রক্ত দান কইরা শুরু করছিলাম। তৃতীয়জন কি রক্ত ঝরাইয়া বন্ধ করবে শুদ্ধস্বর?