সবে আট কাসে উঠেছি তখন। একদিন টিচার ডেকে বললেন -বইমেলা হবে,তোমাদের বাসায় যে যে বই আছে সে গুলি স্কুলে এনে জমা দিবে। আমার তখনো নিজের বই তেমন কিছু নাই। বড়দার একটা বিশাল সংগ্রহ ছিলো। নেহেরুর ভারতবর্ষের ইতিহাস থেকে শুরু করে আলবেরুনির ভারততত্ব পর্যন্ত। বড়দা তখন কর্ম উপলক্ষে চিটাগাং থাকেন। প্রায় শ’দুয়েক বই আমি নিজের মনে করে স্কুলে জমা দিলাম। বইগুলিতে স্কুলের সিল মারা হলো। সেবার বইমেল...
“এখানে যারা প্রান দিয়েছে রমনার উর্দ্ধমুখী কৃষ্ণচূডার তলে
যেখানে আগুনের ফুলকীর মত এখানে ওখানে জ্বলছে অসংখ্য রক্তের ছাপ
সেখানে আমি কাঁদতে আসিনি”
ইউটিউবে মাহবুব উল আলম চৌধুরীর লেখা আর কাজী আরিফ এর কন্ঠে ‘একুশের প্রথম কবিতা’ শুনছিলাম। কেন জানি কোনভাবেই কাজে মন বসাতে পারছিলামনা। আজ কানাডাতে ১৯ শে ফেব্রুয়ারী বিকেল ৫ টা, বাংলাদেশে ২০ ফেব্রুয়ারী সকাল ৬ টা।২০ শে ফেব্রুয়ারী যার স...
বন্ধুরা আজ এসো। ফাল্গুণ এসেছে। তোমরাও এসো।
আজ ছবির হাটে সন্ধ্যা সাতটায় কল্লোলদার গানের সাথে মাতবে রঙেরা, বুড়োরা পোলাপান হবে কিছুক্ষণের জন্য, কি বলে না, শক্তি বিবর্ধক: মূলত হবে ইতিহাস চর্চা। পুরানো বই এর ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে থাকা নকশাল বাড়ি আন্দোলনের কথা আমাদের শোনাতে এসেছেন সেই কথক কল্লোল দাশগুপ্ত। যারা গুরুচন্ডা৯ পড়েন তারা যানেন তার গল্প ব...
যাদের সাধ নেই সাধ্য নেই, এমন বিমূর্ত তাদের ক্ষেত্রে কারো বলার মতো কিছু আছে কিনা আমার জানা নেই। তবে যাদের সাধ আছে সাধ্যও আছে, এরা নিঃসন্দেহে ভাগ্যবান। সাধ'কে সাধ্য দিয়ে রাঙিয়ে শুধু নিজকেই নয়, সবাইকেই তৃপ্ত করার সামর্থ রাখেন এরা এবং অনেকে করেনও তাই। অথচ যাদের সাধ্য আছে সাধ নেই, সম্ভবত এরাই দুর্ভাগা, যদিও নিজেরা তা বুঝেন বা মনে করেন কিনা জানি না, অথবা এরকম কোনো মানব-সত্তা আদৌ আছে কিনা ...
০০
আমি এমনিতে আধুনিক বাংলা ব্যান্ডের গান অনেক শুনি বলা যাবে না, তবে ব্যতিক্রমধর্মী এবং ভালো লিরিকসের যে কোন গানই অন্তত একবার শুনে দেখি সাধারণত। শিরোনামহীনের সাথে পরিচয় এমনভাবেই।
শিরোনামহীনের প্রথম এলবাম বের হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই বুয়েট জীবন শুরু। ঢুকেই শুনতে পেলাম শিরোনামহীন বুয়েটেরই ব্যান্ড, সেই থেকে বুয়েটের কনসার্ট মানেই শিরোনামহীন কিংবা আমাদের চিৎকার করে, "তুমি চেয়...
নিত্য যে ফুল ফোটে
তার দিকে তুমি কখনো ফিরেও তাকাওনি।
তাই সে অবাঞ্ছিত ঘাসফুলগুলো
তোমার একটু স্পর্শের জন্য উন্মুখ থেকে থেকে
একসময় সারা জনমের হাহাকার বুকে নিয়ে
আপন অস্তিত্ব লুটিয়ে দেয় ধুলিগর্ভে।
তুমি কখনোই বুঝতে পারো না
তাদের হৃদয়ের গহীন গোপন আর্তি।
অবলীলায় দলে যাও সেইসব তৃষিত সজল চাহনি।
হৃদয়ের সবটুকু আবেগ, উচ্ছ্বাস আর বিহ্বলতায়
তুমি কেবল ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখো নার্সিসাস, ক্রাইস...
বাইরে নতুন পলেস্তারা লাগানো সাদা বাড়ীটির দিকে সবার চোখ পড়ে সহজে। সরকারী পার্কের কাঁকর বিছানো পথ মাড়িয়ে সোজা শহরে আসার পথে এই বাড়ীটিই সবার আগে দাঁড়িয়ে। বেশ সুন্দর নিকোনো, নিপূন একটি ছবি ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে থাকে। বাইরে ধবধবে সাদা রঙ প্রতিদিনের মতোই তাজা আর উজ্জল। সুন্দর এই দিনটি। শীতের সকালের ঝকঝকে রোদ ঘন নীল আকাশ থেকে নেমে এসে চুমু খায় শরীরে।বাড়ীটির সাদা আকাশের রঙ মিলেমিশে এ...
প্রিলগ
বসন্ত শব্দটা শুনলেই আমার চোখে ভাসে হলুদ-কমলার দারুন মিশ্রনে তৈরী মন খুশি করা রঙ বাসন্তীর বর্ণিলতার ছবি। এতো কিছু থাকতে এই রঙের কথাই কেন মনে আসে নিজেও জানি না। ক'টাদিন আগেই হয়ে গেল পহেলা ফাল্গুনের রমরমা আয়োজন। চারিদিকে কেবল বাসন্তী রঙের কলরব... এক একটা মানুষ যেন ঋতুরাজ বসন্তের এক একটা টুকরো। আমার বাড়ির সামনের পার্কখানায় একরাশি পুচকার দল বাসন্তী রঙে নিজেদের সাজিয়ে চারিদ...
সব কষ্ট চেপে রাখা যায়না,সব ব্যাথা অপ্রকাশিত থাকেনা। প্রকাশ করার দায়িত্ব আমার কাঁধে আর থরে থরে অপ্রকাশের ভার জমছে বুকে। যথা সময়ে যথাকর্মটি হচ্ছেনা। কথা দিয়ে কথা রাখা যাচ্ছেনা। আমি জানি লেখকদের আবেগ কান্নার নোনাজল হয়ে ঝরে পরে গোপনে। আমি সেই গোপন অনুভবটি স্পর্শ করতে পারি। আমি শিহরিত হই। আকাশের দিকে তাকাই। অমাবস্যা ভেদ করে বের করে আনতে চাই পূর্ণিমার চাঁদ।
বই এখনো আবশ্যকিয় ব্যস্...
পাপনকে নিয়ে কোনো গল্প লেখা হয় নি অনেকদিন।
পাপনের সাথে দেখা হয় প্রতিনিয়ত। ওর সাথে গল্প করি, কথা বলি, মাঝে মাঝে ঘুরতে যাই। বইমেলায় গিয়ে বই কিনে দিই। পাপন আমার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে সুখ-দুঃখের কথাগুলোও শেয়ার করি। আমি যতোটুকু করি, ও শেয়ার করে তার চাইতে অনেক বেশি। ওর কেন যেন মনে হয়- ওর বান্ধবীর চাইতেও আমি নাকি ওকে বেশি বুঝি। আমি বলি- তুই আর আমি ছোটবেলা থেকে একসাথে বড় হয়েছি। আর বন্ধুকেই যদ...