বাংলাদেশের অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতিসত্তা বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়িদের থেকে মণিপুরিদের জাতিগত সংকট ও বিপর্যয়ের চেহারাটা কিছুটা ভিন্ন। মণিপুরিরা বাস করে সমতলে- বৃহত্তর সিলেট, মৌলবীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের নানান অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। তারা এসেছে মণিপুর নামের একটি প্রাগৈতিহাসিক ভূখন্ড থেকে, যে ভূখন্ডটি ১৮৯১ সালে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বৃটিশরা দখল করে নেয় ...বাংলাদেশের অন্যান্য ক্ষু
এক.
অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সোমার সাথে আমার ডিভোর্সটা হয়েই গেল।ঘটনাটা যে ঘটবেই আর আমরা দু'জনের কেউই যে তা রুখতে পারবোনা তাতো একরকম নিশ্চিতই ছিল।তারপরও গভীর নদীর তীব্র স্রোতে ডু্বন্তপ্রায় মানুষ যেমন সামান্য খরকুটোও সামনে পেলে বাঁচবার আশায় তা আকড়ে ধরতে চায়, আমরা দু'জনেও সেরকম নিস্ফল ব্যর্থ একটা চেষ্টা করেছিলাম শেষ পর্যন্ত সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখতে।কিন্তূ না, শেষ ...
"তুমি কি বলতে চাও?"
"ডু নট হার্ট ইওরসেল্ফ। আমি কোন রিলেশনশিপ চাইনা, ব্রাদার। নট এট দিস পয়েন্ট।"
"তোমাদের ইংলিশ মিডিয়ামের মেয়েদের কি বাংলা বলতে কষ্ট হয়?"
"সি, তোমার রিঅ্যাকশন? রেগে যাইতেসো।"
"তো যাবোই তো। তোমার কেন মনে হয় আমি রিলেশনশিপ চাই?"
"মেয়েদের অনেক... কি বলবো, এ্যান্টেনা? সিক্সথ সেন্স? থাকে, শার্পেনড একটা ফিলিং হয়..."
"আচ্ছা বাদ দাও। যাই, ক্লাস শুরু হইতে বেশি সময় নাই।"
"প্লিজ ডিনাই ...
ঘড়ির কাঁটা টিকটিকিয়ে
যাচ্ছে ঘুরে;
যাক!
ঘুমের চোটে ঢুলছে যারা
ঘুম তাদেরি
পাক!
অন্য যারা জীবন ছকে
কষছে নানান
আঁক-
রাত বিরাতে ঘুমের চোখে
তারাই জেগে
থাক!
বিরক্তিতে চায় যদি কেউ
দিক না জোরে
হাঁক-
কেউ না আসুক, আসবে ঠিকি
ঢাকাই মশার
ঝাঁক!
কথার কথায় কোথায় জানি
শুভঙ্করের
ফাঁক-
ভাত দিয়ে আর মাছ ঢাকেনা,
লাগবে পালং
শাক!
৪/৭/৯
[খানিক পরিবর্ধিত]
ক্যাফেটরিয়ার নিষ্কর্মা কর্ণারে বসে আমাদের দলের একমাত্র দুশ্চরিত্র আড্ডাবাজ, কবির হাতের খবরের কাগজের বিনোদন পাতাটা বেশ মনোযোগ দিয়ে পড়ছিলো। চলন্ত লোকাল বাসের ভীড়ে দুতিন টাকা দামের যেসব সংবাদপত্রে নানারকম রগরগে সংবাদ অভূতপূর্ব কল্পনাশক্তির মিশেল দিয়ে পরিবেশন করা হয়, মীরপুর থেকে আসবার পথে কবির তারই একটা বাগিয়ে নিয়েছে। টিচার ফরহাদ আমায় সৌরশক্তি সংক্রান্ত কী একখানা ভিনদেশ ...
ক্যাফেটরিয়ার নিষ্ক
কার ডাকে ঘরে ফিরি?
কে দেয় সেই ঘর ছাড়া ডাক?
সেই পথে হাঁটা
বিকেলের বুক চিরে -
হাত ছুঁয়ে গেলো, ছুঁলো বুঝি?
এই পথ চলা, এই হাঁটাহাঁটি, চলা নাকি?
নাকি প্রতি পায়ে আরও দূরে চলে যাওয়া?
এই বুঝি শেষ হাঁটা?
দূর দেশে?
যেই পথ গুটায় প্রতি পায়ে,
সেই পথ, পথ বুঝি?
কার ডাকে ঘরে ফিরি?
কে দেয় সেই ঘর ছাড়া ডাক?
নির ভাবতে বসে। আসলে ভাবা ছাড়া কোন কাজও নেই তেমন। চিন্তার একবার আকাশে ডানা মেলে দিলে মনটা আস্তে আস্তে ভাল হয়ে যায়। জীবনের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয়গুলো তখন গৌণ। উপর থেকে মনের চোখ মেলে তাকিয়ে থাকা,নিচে পরিচিতজনেরা তাদের নিজশ্ব কাজে মত্ত। আপাতঃ দৃষ্টিতে ভিন্ন অথচ মূলত একই। হটাৎ হটাৎ এর মাঝে নিজেকে খুঁজে পায় না নির। সব ঠিকই থাকে।'সমাজের বাঁধা ঘাটে, নিয়মের লন্ঠন জ্বালিয়ে'বসে থাকে স্থ ...
--------- দেবাশিস মুখার্জি ---------
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
আমাদের দেশের খুব কম মানুষই আছেন যারা ছোটবেলায় বাঘমামার গল্প শুনেন নি।শুধু আমাদের দেশ কিংবা এই ভারতীয় উপমহাদেশ না, মায়ানমার, মালয়েশিয়া থেকে ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম, চীন, রাশিয়া এমন কি পারস্যের শিশুরাও বাঘের নানারকম গল্প শুনে বড় হয়েছে।কারণ বাঘের বিচরণ ছিল এই বিশাল সীমানা নিয়েই।গল্পগুলোতে বাঘকে সাধারণত বাঘমামা বলেই অভিহিত ক ...
দা লাভার
নিজের বাসাকে আর আগের মতো মনে হয় না নীতুর। ছোট দুই রুমের এই বাসার সাথে রান্নাঘর, সাথে বাথরুম। বাসার চারদিকে টানা চিকন বারান্দা। কলে পানি আসে সকাল সাতটায় আর বিকাল পাঁচটায়। মা কলে নল লাগিয়ে দুটো বড় ড্রাম ভর্তি করে রাখে। এই তোলা পানি দিয়ে রান্না গোসল এসব সারা হয়। বাবা সকালে কলে পানি থাকতে থাকতে গোসল সেরে ফেলে। কিছুদিন ধরে পাড়ার কতিপয় খচ্চর বিড়ালের সাথে নীতুদের একটা অঘোষিত ...
যখন আকাশবাড়ীর উপকথারা ময়ূরবনের রূপকথারা কাজলনদীর চুপকথারা সবাই চুরি যায় তখন কেমন এক দমবন্ধ সময়। চারিপাশে অর্থহীন শব্দেরা কোলাহল করে, তারপরে তাও থেমে যায়, তারা তখন শব্দের শব। দেয়ালের ছবিগুলো সব ঘেঁটে ঘন্ট পাকিয়ে যায়, যেন রাগী শিল্পী জোলোজোলো আঁধার রঙে সব লেপে দিয়েছে। একান্ত নিজস্ব সেই আকাশটা, যেটার কথা কেউ জানে না, যেখানে সারাবছর টকটকে লাল কৃষ্ণচূড়া জেগে থাকে নীলদরিয়ার পাশে, স ...