Archive - আগ 2014 - ব্লগ

August 15th

লোহিত গৌতুক

শেহাব এর ছবি
লিখেছেন শেহাব (তারিখ: শুক্র, ১৫/০৮/২০১৪ - ১০:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গোলাম আজম কি একটা কারণে প্যারোলে বের হয়েছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মেজর গুলবদন খাঁ প্যারোলের কাগজ সাইন করে মুখ গোমড়া করে অফিসে বসে আছেন। এমন সময় গেটের ওদিক থেকে ধস্তাধস্তি আর মারপিটের শব্দে তিনি ভয় পেয়ে ছুটে গেলেন।

(গেটের বাইরে)

জেলার বাইরে এসে দেখলেন দুই কারারক্ষী প্রচন্ড জোরে একজন আরেকজনকে কিলঘুষি মারছে।


১৫ই অগাস্ট ও আমার বাবা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৫/০৮/২০১৪ - ৯:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

-রোল নাম্বার থার্টি টু।
-ইয়েস স্যার।
-কিরে গতকাল স্কুলে আসস্‌ নাই ক্যান?
-স্যার, বাবার মৃত্যুবার্ষিকী ছিল।
-ঐ হারামজাদা! শেখ মুজিব কবে তোর বাবা হইল! এদিকে আয়, ক কাইল কই আছিলি? সত্য বলবি নাইলে পিটাইয়্যা পিঠের ছাল তুইল্যা ফালামু।
-স্যার, সত্যি কাল আমার বাবার মৃত্যু বার্ষিকী ছিল, গতবছর এইদিনে উনি মারা গেছেন।
-আগে কবিতো, যা বস্‌, মন খারাপ করিস না, বাবা কারো চিরদিন বাইচা থাকেনা।


সপরিবারে জাতির জনক হত্যার ষড়যন্ত্রের বিচার চাই

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: শুক্র, ১৫/০৮/২০১৪ - ৪:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রায় চার বছর আগে ২০১০ সালের অক্টোবরে সচলায়তনে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পেছনের ষড়যন্ত্রের বিচার নিয়ে একটি লেখা দিয়েছিলাম। লেখাটা অগাস্টে না দিয়ে অক্টোবরে দেয়ায় বোধকরি তখন বিষয়টি নিয়ে বিশেষ কোন আলোচনা হয়নি। প্রায় চার বছর পার হলেও বিষয়টিতে এখনো কোন অগ্রগতি না হওয়ায় এটি নিয়ে আবার লেখার প্রয়োজন বোধ করছি। এই প্রসঙ্গে আমার ব্যাখ্যা ও অবস্থানের যেহেতু কোন পরিবর্তন হয়নি তাই বর্তমান লেখাটি আগের লেখার সাথে বহুলাংশে মিলে যাবে। এর জন্য পাঠকের কাছে আগাম ক্ষমা প্রার্থনা করছি।


সেই তর্জনী, সেই মায়াহাসি...

স্যাম এর ছবি
লিখেছেন স্যাম (তারিখ: শুক্র, ১৫/০৮/২০১৪ - ১:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে কিছু পোস্টার প্রচেষ্টা...


মন পবনের নাও ১৬

নিবিড় এর ছবি
লিখেছেন নিবিড় (তারিখ: শুক্র, ১৫/০৮/২০১৪ - ১২:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

০।
একটু আগে বৃষ্টি হচ্ছিল, আসলে সারা দিন ধরেই হচ্ছে। রুমের জানালায় একটু পর পরেই জোরে জোরে বৃষ্টির ফোটারা এসে পড়ে। বন্ধ রুমের ভিতর থেকে সেই শব্দ আর ভারী শোনায়। জানালায় কাঁচ দিয়ে বাইরে তাকালেই নিচের ঝাপসা হয়ে যাওয়া রাস্তাটার ব্যস্ততা চোখে পড়ে। পাশের মেডিকেল কোচিং থেকে ঘন্টায় ঘন্টায় ছাত্র ছাত্রীদের দল গুলো বের হয়ে আসে। পাশের রুমে সামশাদ বেগমের গান বাজে, ষাটের দশকের হিন্দি গান।


পাবলো নেরুদার ভালবাসার সনেট - ৪২

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৪/০৮/২০১৪ - ১১:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সমুদ্রের নোনা ঢেউয়ে ঝলকায় মুহূর্ত,
হলদে আকরিকের তীব্রতায়, মধুর সোনালী জৌলুসে,
ঝঞ্ঝার বিক্ষোভ যার বরফি পাথুরে কেলাসকে
ভাঙতে পারেনি এতটুকু

সূর্যালোক, আগুনের শব্দে বেজে ওঠে চড়চড়,
মৌমাছির মত গুনগুন করে,
ব্যস্ত রাখে নিপুণ আঙুল, সবুজ পাতায় ঢেকে নেয় মুখ,
গাছের তামাম উচ্চতায় শিস দেয় ঝিলমিলে, ফিসফিসে রূপকথা।

আগুনের ক্ষুধা আর আঁচ নিয়ে, সামান্য পাতায়,


ল্যাংড়ার চেয়ার

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৪/০৮/২০১৪ - ১০:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

- তোর নাম ল্যাংড়া?
- আজ্ঞে
- ফাজলামি করিস নাকি আমার সাথে, ল্যাংড়া কারো নাম হয়?
- না স্যার, গরীব মানুষ ফাইজলামি করমু কেন? আসল নাম ছিল একটা কিন্তু সবাই ল্যাংড়া নামেই চিনে এখন।
- আগে পিছে কিছু নাই? সৈয়দ, রহমান, হক?
- না স্যার, ল্যাংড়ার আগে পিছে পদবী লাগায়ে পদবীর অপমান করুম নাকি।
আমার শিশুপুত্র আমার হাত চেপে ধরে অভিমানের সুরে বলে,
- আব্বু, এত জেরা করছ কেন? দাওনা কিনে আব্বু, দাওনা।


August 14th

পঁচাত্তরের ১৫ আগষ্টের সত্যগোপন অথবা মিথ্যাভাষণ

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৪/০৮/২০১৪ - ৪:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক: মর্মান্তিক এক ফিকশন যেন

১৫ আগষ্ট ১৯৭৫ : রাত ২.৪৫মিনিট - ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট

ডিজিএফআই(প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা) প্রধান ব্রিগেডিয়ার রউফের কাছে একটা বিশেষ খবর নিয়ে এলেন ডিএমআই(সেনা গোয়েন্দা) প্রধান কর্নেল সালাহউদ্দিন।
খবরটা খুব খারাপ। আজ ভোরে মারাত্মক কিছু একটা হতে যাচ্ছে দেশে। ক্যান্টনমেন্ট থেকে ট্রাকে ট্রাকে সৈন্য আর আর্টিলারী ট্যাংক বহর বেরিয়ে গেছে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর প্রেসিডেন্টের বাড়ির দিকে। ভয়ংকর ব্যাপার। খবরটা সেনাপ্রধানকে জানানো উচিত।


অন্যদের দেশে, অন্যদের সময়ে

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি
লিখেছেন ত্রিমাত্রিক কবি (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৪/০৮/২০১৪ - ১:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(১)

ঘর থেকে বের হয়ে আক্ষরিক অর্থেই দু’গলি পার হয়ে বাস স্টপের সামনে দাঁড়াতে প্রথমেই মনে হল নিশ্চয়ই বড়সড় কোন পুণ্য করে বেরিয়েছি। কিন্তু নিজেকে যতটুকু জানি, তাতে গত দু-চার বছরে তেমন কোন পূণ্য টুণ্য করার কথা না যাতে বাস স্টপেজে এসে দাঁড়াতেই দুজন সুন্দরী সামারিক (সামরিক নয়) পোষাক পরিহিত মেয়ে হাসিমুখে এগিয়ে এসে বলবে, “মে আই ঠক ঠু ইউ স্যার?”। পাঁচ ফিটের চেয়ে সামান্য বেশি উচ্চতা আর একশ ছুঁই ছুঁই ওজন নিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফেয়ার এন্ড হ্যান্ডসাম আর ফ্রেশ সাবান ব্যবহার করার পরেও, নিজের ব্যপারে যথেষ্ট উচ্চধারণা পোষন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা স্বত্ত্বেও নিজেকে ‘স্যার’ পর্যায়ে নিজেই কখনও উন্নীত করতে পারিনি, সেখানে মেঘ না চাইতেই জল তো বটেই একেবারে জমাট আইস্ক্রীমের মত দু’জন এসে কিনা বলছে, “মে আই ঠক ঠু ইউ স্যার, ফর আ সেকেন্ড?”


জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালাঃ সুশীলেরা যা চেপে যাচ্ছেন

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি
লিখেছেন সাক্ষী সত্যানন্দ [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৪/০৮/২০১৪ - ১:৪৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[ সম্প্রতি জারীকৃত জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা প্রকাশিত হবার আগে থেকেই সম্প্রচার জগতের মাফিয়াবৃন্দ এবং টকশোজীবী (ভদ্র ভাষায় টকমারানী) সুশীলেরা “হা-রে-রে-রে-রে-রে আমায় ছেড়ে দে রে দে রে” বলে যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তা চিন্তার দাবি রাখে। সম্প্রচার নীতিমালা জনগনের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হলেও আলস্যপ্রিয় জনতার মঙ্গলার্থেই এটির পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ আশু প্রয়োজন। তা নইলে মিডিয়া সমর্থিত প্রবল প্রোপ্যাগান্ডার তোড়ে সত্য হারিয়ে যাবার অথবা বদলে যাবার আশংকা থাকে। এই প্রেক্ষিতে এটি একটি অসমাপ্ত (বিস্তৃত অর্থে চলমান) আলোচনা প্রচেষ্টা। মন্তব্য অংশে প্রয়োজনীয় সংযোজন/বিয়োজন/পরামর্শ/সমালোচনা লেখকের একান্ত কাম্য। ]