ব্লগ

টাগেসব্লাট — ১

হাসিব এর ছবি
লিখেছেন হাসিব (তারিখ: শুক্র, ২৯/০১/২০১৬ - ৭:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সচলের প্রথম দিকে ভোখেনব্লাট নামে একটা সিরিজ শুরু করেছিলাম। কাজের চাপে ও নানাবিধ অজুহাতপ্রসূত কারণে সেটা কন্টিনিউ করা হয়নি। টাগেসব্লাট নামে নতুন এই সিরিজটা শুরু করলাম। এটা ফেইসবুক স্টাটাসের বিকল্প হিসেবে চালু রাখা যায় কিনা সেটার একটা এক্সপেরিমেন্ট। ফেইসবুক স্টাটাসে লাইক ছাড়া কিছু পাবার নেই। আমার স্টাটাসগুলোতে এমন কোন গুঢ় আলাপ হয় না যেটা মিস করার মতো। আর পাঠকেরা পরে সেগুলো পড়েও না বা পড়ার জন‍্য খুঁজেও পায় না। এর থেকে সেগুলো এখানে লিখে রাখলে পরবর্তীতে খুঁজে পাওয়া যাবে। সচলের লেখা আমার অন‍্য লেখাগুলোর মতো এই সিরিজটা সিরিয়াস ধরণের হবে না। বাক‍্যগঠন, চিন্তাভাবনার খুঁত থাকতে পারে। হালকা মেজাজে খুব চিন্তাভাবনা না করে জার্নাল ধরণের লেখা হবে এগুলো।


কড়ি দিয়ে কিনলাম – বিমল মিত্রের 'রামায়ণ' উপাখ্যান

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২৯/০১/২০১৬ - ৭:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.

দোকানদার প্রথমেই একটা বেড়ে প্রশ্ন করে বসল ...

“আসল বই কিইন্যা কী করবেন?”

আমি তার দিকে খানিকটা সরু চোখে তাকিয়ে রইলাম। ব্যাটার মতিগতি ঠিক বুঝা যাচ্ছে না।

সে তার মত করে গম্ভীরভাবে বলতে থাকলো, “ইন্ডিয়ান বাংলার যত বই আছে, তার মধ্যে কেবল আনন্দ পাবলিশার্সের বাঁধাই-ই সবচেয়ে ভালো। অন্যগুলো অত টেকসই না। দু-তিনদিনেই ছিঁড়ে যায়, এমন অবস্থা।”


আন্ডার কন্সট্রাকশন- দর্শকের ফ্রাসট্রেশন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৭/০১/২০১৬ - ২:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিতর্কটা বহুদিনের। নাচ গান থাকলেই সেটা ভালো সিনেমার সীমানার বাইরে। আবার নাচ গান না থাকলে সেটি ভালো ছবি। বা এমনও বলা হয়ে থাকে, জীবনমুখী সিনেমার রঙটা একটু ফিকে হতেই পারে। প্রশ্ন উঠতে পারে, জীবনমুখী গল্প মানেই কী ধুসর? কারও জীবনে কী রংধনুর সাত রং নেই?


"মফস্বলি বৃত্তান্ত": যে জীবনের গল্পপাঠ 'ফড়িংয়ের দোয়েলের' জীবন না দেখার রোমান্টিকতায় সপাটে চড় কষায়!

আয়নামতি এর ছবি
লিখেছেন আয়নামতি [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৭/০১/২০১৬ - ২:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাহিত্যিক সন্তোষকুমার ঘোষ তার একটি লেখায় বলেছিলেন, "পৃথিবীর সব গল্প বলা হয়ে গেছে, এখন কীভাবে বলতে হবে সেটাই জানা প্রয়োজন।" এ ব্যক্তব্যের পক্ষে বিপক্ষে যথেষ্ট যুক্তিতর্কের অবকাশ আছে। সে প্রসঙ্গে যাচ্ছি না। তবে বলে ফেলা গল্পগুলোকেও অন্যভাবে বলবার আকাঙ্ক্ষায় কেউ কেউ কলম ধরেন বৈকি। তখন জানা কাহিনি কিংবা জানাশোনা জনপদের চেহারা নতুনভাবে ধরা দেয় যেন আমাদের চোখে। নইলে ক্ষুধার্ত জনজীবন কিংবা নিম্নবর


ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে আবিষ্কার

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৭/০১/২০১৬ - ৩:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সন্দেশের বই নিয়ে লেখার আমন্ত্রণ দেখার পর থেকেই ভাবছি কিছু একটা নিয়ে লিখব। কিন্তু কোন বইটা নিয়ে লেখা যায় সেটা ঠিক করতে করতেই মাস পার হয়ে গেল। ২০১৫ সালে সবচেয়ে বেশি বই কিনেছি আর সবচেয়ে কম পড়েছি! তারপরেও কোন বইটা মনে সবচেয়ে বেশি দাগ কেটেছে ভাবতে গিয়েই মনে হল বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর কথা। অবশ্যই এটাই ২০১৫ সালের আমার আবিষ্কার।


মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীর জামদানী পরিধান এবং জামদানী নিয়ে কিছু ছুটকা কথা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২৬/০১/২০১৬ - ৯:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জামদানী শাড়ি ব্যবহার করতে পছন্দ করেন- এটা নতুন কোন তথ্য নয়। আবার আমাদের ভূতপূর্ব ফাস্র্টলেডি এবং বর্তমানের বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশান এরশাদ এরও জামদানী, বেনারসী শাড়ির প্রতি আলাদা টান ছিলো বলে শোনা যায়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া জামদানী না বেনারশী নাকি টাঙ্গাইল শাড়ি পছন্দ করতেন বা করেন সেরকম কোন সংবাদ শোনা যায় না। তবে তাঁর পরিধানে বরাবর


আন্ডার কনস্ট্রাকশন, দ্যা রিটার্ন অফ দ্যা faux

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২৬/০১/২০১৬ - ২:৩৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

‘আমাদের গল্প’ বলতে গিয়ে আমাদেরকে স্রেফ প্লটে ফেলে দেখিয়ে সেরে ফেলবেন না, আমাদের গল্পটিও বলুন।


আরশিতে অন্যমুখ

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: মঙ্গল, ২৬/০১/২০১৬ - ১২:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি খুব আয়নাবিমুখ মানুষ (ছিলাম)। ‘ছিলাম’ শব্দটিকে যে কারণে ব্র্যাকেটবন্দী করতে হলো সেই কারণটি জানতে হলে একটি নাতিদীর্ঘ গল্প শুনতে হবে। ঘটনাটি যুগপৎ বিব্রতকর এবং অবিশ্বাস্য।


মেট্রোরেল ইস্যুঃ যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যর্থ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২৫/০১/২০১৬ - ৯:০৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর দিয়ে মেট্রোরেল যাবে কি না কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেট্রোরেলের স্টেশন হবে কি না সেটার পক্ষে-বিপক্ষে নানা বিতর্ক চোখে পড়ল। যেহেতু আমি সে ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ নই, আমার পক্ষে ব্যক্তিগত মতামত জানানো ছাড়া আর কিছু বলার অধিকার নেই বলেই আমি মনে করি। আমি যেটা করতে পারি দুই পক্ষের অভিমত নিয়ে আমি একটা পক্ষ নিতে পারি শুধু। এছাড়া মেট্রোরেল ইস্যু নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষের এইসব আলোচনায় একটি বড় পয়েন্ট মিসিং (missing) বলে মনে হয়েছে। সেটি নিয়ে আলোচনা করাটাই এ লেখার উদ্দেশ্য।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও সময়ের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সে চরিত্র থেকে বেরিয়ে এসেছে। সেট যতটুকু না বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজের নীতির পরিবর্তনের কারণে হয়েছে তার চাইতে হয়েছে রাজনৈতিক কারণে। সবসময় আবাসন সংকট তৈরী করে রাখলে সেটার সুফল ক্ষমতাসীন দলের ভাগে যায় যেটি সর্বজনবিদিত। সম্প্রতি বেশ কিছু হল খোলা হয়েছে যেটি বেশ ভাল উদ্যোগ। কিন্তু এর মাঝে আমরা যেটি ভুলে যাই সেটি হচ্ছে একটি নতুন হল তৈরী করা বেশ কয়েক বছরের উদ্যোগ। সেটি যখন হতে থাকে, তখন কিন্তু বর্তমান ছাত্রদের সমস্যা সমাধান হয়ে যায় না। তাদের ভোগান্তি রয়েই যায়। আমি যখন ক্লাস শুরু করি তখন আমার হলে ১০তলা একটি ভবনের কাজ শুরু হয়, ১৬ জনের রুমে থাকা অবস্থায় আশা ছিল খুব দ্রুত ভবনের কাজ শেষ হয়ে গেলে আবাসন পেয়ে যাব। সেই ভবনের কাজ যখন শেষ হয় তখন আমি ব্যাচেলরের রেজাল্টের জন্য অপেক্ষা করছি। এমনটি হয় অনেক ছাত্রের ক্ষেত্রেই। প্রতিটি বিভাগেই প্রতিবছর মেধাবী কিছু ছাত্র পাওয়া যায়, মেরিট লিস্ট করলে তেমনটি পাওয়া স্বাভাবিকও। কিন্তু বাস্তবতা বলে প্রতি বিভাগের, প্রতি ব্যাচের ছাত্রদের বড় অংশ এই সমস্যার ভুক্তভোগী। এখন এসব আবাসন সংকটের ভুক্তভুগী যারা তারা সংখ্যায় অনেক হলেও তারা কিভাবে ভোগে সেটা কোন আলোচনায় আসে না, তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। শিক্ষক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবাই এগুলো নিয়ে চোখ বন্ধ করে রাখে। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি মেট্রোরেল হলে ছাত্ররা কিভাবে লাভবান হবে সেটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজের উদ্যোগে একটি বিস্তারিত স্টাডি (study) হওয়া প্রয়োজন। সেটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে শুধু নয়, ছাত্রদেরও বুঝতে সাহায্য করবে মেট্রোরেলের স্টেশন কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ।


তালেবান, জেএমবি'র ফিরে আসা এবং সাইবার খিলাফতের দানব-১

মূর্তালা রামাত এর ছবি
লিখেছেন মূর্তালা রামাত (তারিখ: রবি, ২৪/০১/২০১৬ - ১০:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সম্প্রতি আফগানস্থানে আবারও তালেবানেরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। দু’ এক দিন পরপরই তারা এখানে ওখানে তুমুল হানা দিয়ে নিজেদের উপস্থিতি জাহির করছে। একইভাবে বাংলাদেশেও জেএমবি (জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ) সক্রিয় হয়ে উঠেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে মৌলবাদী আক্রমণের সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার খবর পাওয়া যাচ্ছে; সম্প্রতি তাদের বিভিন্ন আস্তানা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রপাতি : ধারণা করা হচ্ছে জেএমবি আবারও