আজকের সকালটাই কেমন যেন অন্যরকম। আযম সাহেব আইফোনের ক্যামেরায় সেলফি মোডে নিজের চেহারা দেখে আঁতকে উঠেন। প্রতিদিন বাইশ পদ দিয়ে খাওয়ার পরেও একি হাল হয়েছে চেহারার!মাত্র কিছুদিন আগে নব্বই অতিক্রম করলেন। এত অল্প বয়সেই মুখ থেকে লাবণ্য হারানো শুরু হয়েছে।আচারটা কি একটু কম খাওয়া হচ্ছে আজকাল? দই আর আচার এই দুই জিনিশ চেহারার লাবণ্য ধরে রাখে। ডিম আর দুধ যোগায় শক্তি, দই আর আচার সৌন্দর্য। এর সবকয়টাই তো খাচ্ছেন প্রতিদিন। নাহ, কাল থেকে পরিমাণ আরেকটু বাড়িয়ে দিতে হবে। মাথা থেকে ঝাঁকিয়ে দুশ্চিন্তা দূর করার চেষ্টা করেন। উঠে হাসপাতালের খাট থেকে নামতে গিয়ে মাথাটা একটু ঘুরে যায়। খাটের কোনা ধরে টাল সামলিয়ে বসে পড়েন। লক্ষণ খারাপ, লক্ষণ খারাপ বলে বিড়বিড় করেন। দিন কি তবে শেষ হয়ে আসছে?
আরো ভাল রেজ্যুলশনে দেখতে হলে কি করতে হবে? রাইট ক্লিক করে ইমগুর লিংকে চলে যেতে হবে।
আগের পর্ব: সামনে লাল ট্রাফিকের সিগন্যাল
ইতিহাসপাতাল মানে হচ্ছে - ইয়ে মানে যাকে বলে- হাসপাতালের ইতিহাস। ইতিহাসের হাসপাতাল ও হতে পারে। । আবার হয়তো এইটা পাতালেরর ইতিহাস। মানে ইতিহাসপাতাল ওইরকমই কিছু একটা আরকি। আসলে হাড় ভাঙ্গার হাসপাতালে নিজের হাড় ভেঙ্গে অন্যের হাড় জোড়া দেয়ার কাজ করার মাঝে মাঝে অনেক মজার মজার ব্যপারস্যপার ঘটে। ইতিহাসপাতাল সেইগুলোরই টুকরো গল্প।
আজ তেসরা নভেম্বর ২০১৪ তারিখে জাতীয় চার নেতার জেলহত্যা বার্ষিকীতে প্রথম আলোর প্রথম ও শেষ পাতার আধেয় বিশ্লেষণ করা হলো। যেখানে দেখা যাচ্ছে- প্রথম আলোর প্রথম পাতায় আটটি সংবাদ ও তিনটি বিজ্ঞাপন ছাপা হয়েছে। শেষের পাতায় সাতটি সংবাদ ও সাতটি বিজ্ঞাপন (প্রথম আলোর নিজেদের বিজ্ঞাপন ৫টি) ছাপা হয়েছে। এই জাতীয় দৈনিকটিকে আমরা দেখি বছরজুড়ে জাতীয় ও স্থানীয় রাজনীতিতে সৎ, যোগ্য, দক্ষ নেতৃত্বের খোঁজ করতে। রাজনীতির খোলনলচে পালটানোর আহ্বানও শোনা যায় এদের সম্পাদকীয় ভাষ্যে। দেশের সুশাসন ও গণতন্ত্রকামী একটি পত্রিকার জন্য এই আকাঙ্খা খারাপ কিছু নয়। কিন্তু, তাদের সেই আকাঙ্খা মার খায়, যখন দেখি বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা চার জাতীয় সৎ, যোগ্য, দক্ষ নেতৃত্বের নিষ্ঠুর হত্যাবার্ষিকীর দিন পেছনের পৃষ্ঠায় দায়সারা সিঙ্গেল কলাম ট্রিটমেন্ট দেয়া হয়।
কলা বুজ্যাইয়া দ্যাউ।
আঁতাত বিষয়টা স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে (খুব রোমান্টিক কল্পনাপিয়াসী হইয়া পইড়েন না আবার) জড়িত। এবং নিখিল বাংলায় এই বস্তুটির ‘ছোল ডিস্ট্রিবিউটর’ ছিলো বাংলার বামায়াতী (ঠিকই ধরসেন, জামায়াত এবং বাম-এর অভূতপূর্ব শংকর) মহল। ‘দি নিউ জামায়াত এন্ড সন্স (অব দ্য বিচেস?)’ নাম নিয়ে বিম্পি নামের নতুন দল যাত্রা (পালা) শুরু করার পর, ইনারাও বংশানুক্রমে এই তত্ত্বের সম্যক অংশীদার হইলেন।
যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে রায়ের খবরে প্রথম আলো লিখেছে,
মৃত্যু এসে নাম লেখাবে
এ বনের প্রতিটি ফুল
প্রতিটি পাখি
বুনো-গন্ধ
কীট-পতঙ্গ
প্রজাপতি আর তোমাদের মাঝে
পৃথিবীর কোন খানে আমি আর নেই
তারপর শিশির ধোয়া রাত
পাতায় পাতায় জোনাকি
পৃথিবীকে সাজাতে যেয়ে
সহসা সাজিয়ে ফেলবে তোমাকেই
সমস্ত দু:খের হাত খুলে খুলে
অতৃপ্তির বাঁধন ছিঁড়ে ছিঁড়ে
আমি উঠে বসেছি, পরিপূর্ণ-আনন্দে!
তখন সময়
নি:চিন্তে মুছে ফেলেছে আমাদের পদচিহ্ন ...
২৬.১০.২০১৪
একটা সুইসাইড নোট লিখতে হবে। এতে যেমন দায় চাপানো যায়, তেমন এড়ানোও যায়। আইনের ছাত্রী হিসেবে আমি জানি, আমার ইচ্ছামৃত্যুতে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী হাসানকেই প্রথমে সব জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হতে হবে। যদিও আমার পরিণতি বেছে নেয়ার সিদ্ধান্তহীনতায় সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল হাসানেরই। এই তো পরশু রাতে যখন স্টাডি রুমে এসে চেয়ারে বসে আছি আর জেল পেনে ডায়েরির ভাঁজে আঁকিবুকি করছি, হাসান পিছনে এসে দাঁড়িয়েছিল। আমাকে দ