Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

গবেষণা

রামশীল ২০০১:আরেক শরণার্থী শিবির

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০৭/০৮/২০১৫ - ৮:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সবাই এসো দাঁড়াও হাতে হাত
মরছে দেখো মানুষ দিন রাত
কিশোরী মার দুচোখ ভেসে যায়
শিশুটি তার ধুঁকছে অসহায়
বৃষ্টি আর ভীষণ কলেরায়…………………………

( মূলঃ জোয়ান বায়েজ
অনুবাদঃ মাহমুদুজ্জামান বাবু)


দাসপার্টির খোঁজে # খসড়া পর্ব-৫

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: সোম, ০৩/০৮/২০১৫ - ১২:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
১৯জুন। পহেলা রমজান। সকাল বেলা।
কাকৈলছেও, আজমিরীগঞ্জ, হবিগঞ্জ।
সেহরীর পর সামান্য কিছু সময় আমরা ঘুমিয়েছি। আটটার দিকে বের হই। আমি, নজরুল, তানিম ও ইলিয়াস। সামান্য পায়ে হেঁটেই নদীর পাড়ে আসি। কাল রাতে এসে পৌঁছে ছিলাম অন্ধকারে। এখন সকালের নরম আলোয় নদী দেখি, নদীবর্তী জনপদ দেখি। শেরপুর থেকে কুশিয়ারা নদী আজমিরীগঞ্জ হয়ে এদিকে এসেছে ভেড়ামোহনা নামে। ভেড়ামোহনা নেমে গেছে আরো ভাটিতে। পেছন দিকে সুনামগঞ্জ, দিরাই হয়ে কালনী এসে মিশেছে। ভেড়ামোহনা ও কালনী মিশেছে আরেকটু ভাটিতে, সেখান থেকে মেঘনার মোহনা। ঐ মোহনা ধরে এগুলেই ভৈরব। আমর দাঁড়িয়ে আছি কাকেলছৈও লঞ্চঘাটের কাছে। একসময় কাঠের ব্যবসার জন্য বিখ্যাত ছিলো এইঘাট।
নদী এখানে বিশাল। ইলিয়াস তার পরিচিত এক ইঞ্জিন নৌকা নেন। ছোট্ট একটা নৌকা। মাঝি ও ইলিয়াস হালের কাছে বসেন, আমি তাদের সামনে দাঁড়াই। নজরুল ও তানিম সামনের দিকে। নৌকা ভাসে ভাটিতে, আমরা পশ্চিমে নামতে থাকি- যতো ভাটিতে যাই ততো নদী আরো প্রশস্ত হতে থাকে। কিছুক্ষন যাওয়ার পর নদীর বুকেই বিদ্যুতের খুঁটির লম্বা সারি দেখি উত্তর-পুর্ব কোনে। ইলিয়াসকে জিজ্ঞেস করি- কোন এলাকা? বলেন- জয়সিদ্ধি। ইটনা থানার জয়সিদ্ধি। বাংলার প্রথম র্যাং লার আনন্দমোহন বসুর বাড়ি, ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজ তার অবদান।


হুমায়ুন আজাদের প্রবচনগুচ্ছ বনাম লা-রশফুকোর ম্যাক্সিম

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ২৫/০৭/২০১৫ - ৫:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জনৈক শিবলি আজাদ দাবী করেছেন, হুমায়ুন আজাদের বইগুলো নাকি বিদেশি বইয়ের নকল। তার দাবীর প্রেক্ষিতে আমরা সবাই প্রমাণ চাইলেও তিনি প্রমাণ হাজির করতে পারেননি। তার অনেকগুলো দাবীর মাঝে একটা দাবী ছিলঃ

"আজাদের লেখা প্রবাদ ও প্রবচন যে আসলে ফরাসী দার্শনিক লা রশফুকোর “ম্যাক্সিম” থেকে নেয়া বইদুটো পাশাপাশি পড়লেই তা বোঝা যায়।"


মানচিত্রের সন্ধানে ২

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২২/০৭/২০১৫ - ২:২৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রেনেল পুনরায় কাজ শুরু করলেন। ৬৭-র গোড়ায় সুখবর এলো,কোম্পানি সার্ভেয়র জেনারেল অব বেঙ্গল পদ সৃষ্টি করে তাঁকে নিযুক্তি দিয়েছে। রেনেলের বয়েস তখন পঁচিশ। মাইনে বাড়লো,তার সঙ্গে পাওয়া গেল চারজন সহকারী সার্ভেয়ার। ভগ্নস্বাস্থ্যের দরুন অসুবিধা হচ্ছিল,ডায়েরি থেকে দেখা যায়,পরিশ্রমসাধ্য কাজগুলির জন্য তিনি সহকারী রিচার্ডসের ওপর ক্রমশ বেশি ভরসা করছেন। ১৭৭১-এ ফিল্ডসার্ভে শেষ হলো,হাজার হাজার স্কেচম্যাপ নিয়ে রেনেল ঢা


মানচিত্রের সন্ধানে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২০/০৭/২০১৫ - ৯:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তথ্যসংগ্রহের আর একটি দিক সম্পর্কে বলবো,যার আরম্ভ পলাশী যুদ্ধের মাত্র সাত বছরের মধ্যে।সেটি হচ্ছে মানচিত্র অঙ্কন।জাহাজ ভারতীয় উপকূলের বন্দরে পৌঁছানোর জন্য পঞ্চদশ-ষোড়শ শতক থেকে য়ুরোপীয়রা অনেক মানচিত্র তৈরি করেছে ভারতীয় উপদ্বীপের,কিন্তু তাতে ভুলভ্রান্তি প্রচুর।জরিপের যন্ত্র উন্নত হতে অষ্টাদশ শতক থেকে মোটামুটি নির্ভুল মানচিত্র পেতে শুরু করি আমরা,জনক ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যসম্পর্ক ছিল এমন সব জাতি,যথা,পর্তুগিজ,ডাচ,ফরাসী—ইংরেজতো আছেই।উপকূলের ছবি ঠিক হলেও যে হেতু এদের দেশের অভ্যন্তরে জরিপের অনুমতি ছিল না,সেই ঘাটতি আন্দাজে পূরণ করতে হতো।


দাসপার্টির খোঁজে # খসড়া পর্ব-৪

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: রবি, ২৮/০৬/২০১৫ - ১:৪৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
দাসপার্টি নিয়ে কাজ শুরু করার প্রথম থেকেই একটা মানুষকে খুঁজছি।
দাসপার্টি সংক্রান্ত প্রকাশনা ও আলাপচারীতা থেকে জেনেছি- জগতজ্যোতি দাসের সবচেয়ে আস্থাভাজন ও ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধা ছিলেন আঠারো/ উনিশ বছরের এক তরুন। নাম তার ইলিয়াস চৌধুরী। জ্যোতির সাথেই যুদ্ধের প্রশিক্ষন নিয়েছেন এবং প্রতিটি যুদ্ধে তার সাথে ছিলেন। শেষ যুদ্ধে ও শেষ পর্যন্ত ইলিয়াসই ছিলেন একমাত্র তার সাথে। ইলিয়াস নিজে ও গুলীবিদ্ধ হয়েছিলেন বুকে কিন্তু জ্যোতিকে একা ফেলে যাননি। তার কমাণ্ডার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলে পর, বিলের পানিতে কমাণ্ডারের মৃত শরীর ডুবিয়ে গুলী করতে করতে পিছিয়ে এসেছিলেন- তখনো তার নিজের বুক থেকে ও রক্ত ঝরছে।
সালেহ চৌধুরী বলছিলেন- ১৬ নভেম্বর জ্যোতির মৃত্যুর পর ইলিয়াসরা যখন কুঁড়ি-বলনপুরের ক্যাম্পে ফিরে আসেন তখন তার বুকের ক্ষত দেখতে পান। বাম পাশে গুলী লেগে বের হয়ে গেছে আর এক ইঞ্চি দূরে হলেই হৃদপিন্ড ছেদ করতো। সালেহ চৌধুরী তাকে টেকেরঘাট পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, সেখানে তখন অস্থায়ী হাসপাতাল গড়ে উঠেছে। এ ছাড়া প্রয়োজনে শিলং ও পাঠানো যেতো।
কিন্তু ইলিয়াস যেতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চান, দাদার খুনের প্রতিশোধ নিতে চান। চিকিৎসার জন্য আর কোথাও না গিয়ে স্থানীয়ভাবে ব্যান্ডেজ করেই ইলিয়াস যোগ দেন দাসপার্টির পরবর্তী একশনে এবং দেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত পরবর্তী একমাস যুদ্ধ করতে থাকেন।


দাসপার্টির খোঁজে # খসড়া পর্ব-৩

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: সোম, ০৮/০৬/২০১৫ - ১:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
১ লা মে ২০১৫।
সালেহ চৌধুরীর উত্তরার বাসায় উপস্থিত হই আমি ও নজরুল সকাল ঠিক দশটায়। এর আগে এসেছিলাম ফেব্রুয়ারীর ২৩ তারিখে, প্রথমবারের মতো। মাঝখানের এই দিনগুলোতে আমি এই অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংশ্লিষ্ট বই ও প্রকাশনাগুলো সংগ্রহ করে পড়ার চেষ্টা করেছি। দাস পার্টির অপারেশন সমুহের উল্লেখযোগ্য একটি স্থান সাচনা ও জামালগঞ্জ ঘুরে এসেছি, কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সাথে আলাপচারীতা হয়েছে যারা অন্য গ্রুপের হলে ও একই সাব-সেক্টর টেকেরঘাটে ছিলেন। এ ছাড়া বিভিন্ন মাধ্যমে চেষ্টা করেছি বানিয়াচঙ্গ, আজমিরীগঞ্জ, শাল্লা দিরাই অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দাস পার্টির জীবিত গেরিলাদের সন্ধান নেয়ার, বিশেষ করে ইলিয়াসের- যিনি শুরু থেকে একেবারে শেষযুদ্ধ পর্যন্ত কমান্ডার জ্যোতির সাথে ছিলেন।
দুমাস সে অর্থে দীর্ঘ সময় নয়। কিন্তু এই সময়ের ব্যবধানেই সালেহ চৌধুরীকে বেশ ক্লান্ত লাগে। নিজ থেকেই জানান পা ও কোমরের ব্যথায় ভুগছেন। চেয়ারে বেশীক্ষন বসে থাকতে পারছেন না। কুশল বিনিময়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আমি তাকে গত দুমাসের আমার কাজের অগ্রগতি জানাই।


আক্রান্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রঃ এই বর্বরতার শেষ কোথায়?

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০৫/০৬/২০১৫ - ৩:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা স্থানীয় পর্যায়ে গণমানুষের জন্য সহজলভ্য ও মৌলিক চিকিৎসাসেবাই সাধারণভাবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বলে পরিচিত। সহজ কথায়, মানুষ যেসকল উপকরণ ও কৌশল অবলম্বন করে দৈনিন্দন স্বাস্থ্যরক্ষার ব্যবস্থা করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বলা যায়।


সাধুজন । সাধুকথার সন্ধানে - ২

কর্ণজয় এর ছবি
লিখেছেন কর্ণজয় (তারিখ: মঙ্গল, ১৯/০৫/২০১৫ - ৫:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তিনি কহিলেন-
ওর বৈশিষ্ট্য ওর একাকীত্ব।
সকল কিছুর ভেতরে সে একা দাঁড়িয়ে থাকতে পারে।
ও যদি কারও সামনে দাঁড়িয়েও থাকে- তাকে কেউ দেখতে পায় না।
জীবনে ওর বিচলিতভাব প্রকাশ পায় না।
ও জ্ঞানহারা হয় না। সজ্ঞানে থাকে। এই কারণে তাকে আলাদা মনে হয়।
যেমন ধরেন ও আসবে বলে কত কথা হচ্ছে।
ওর বসার জায়গা আছে।
ও আসলো ঠিকই কিন্তু ওর জায়গায় ও বসলো না। ওর স্বভাবই ওরকম।