সম্প্রতি Historicizing 1971 Genocide: State versus Person নামে একটা বই হাতে পেলাম। ২০০৯ সালে প্রকাশিত বইটির লেখক Imtiaz Ahmed, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সেখানকার Centre for Genocide Studies এর ডিরেক্টর।
বইটির শিরোনাম, ‘একাত্তরের ইতিহাসকরণ’ অবশ্যই ইন্টারেস্টিং এবং প্রমিসিং, সুষ্ঠুভাবে একাত্তরের ঘটনাবলীর ইতিহাস লেখার যে কোনো প্রয়াসই প্রশংসনীয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক সে কাজ করতেই পারেন। বিশেষত লেখক নিজেই বলছেন যে তিনি একাত্তরের জিনোসাইড বিষয়ে প্রায়ই একাডেমিক বক্তৃতা দেন, যাতে নাকি এমনকি পাকিস্তানি গবেষকরাও আগ্রহী। তবে বইটির উপ-শিরোনাম অদ্ভুত লাগল, একাত্তরের ইতিহাস রচনার প্রয়াসকে ‘রাষ্ট্র বনাম ব্যক্তির দ্বন্দ্ব’ হিসাবে দেখানোর প্রয়োজন আছে কি?
দুর্গাপূজা বাঙ্গালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব।
২০০১ সালেও দুর্গাপূজা এসেছিল এই জনপদে। সেবার মহালয়া ছিল অক্টোবরের ১৭ তারিখ, সোমবার। ২২ তারিখ ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে পূজা শুরু আর ২৬ অক্টোবর শুক্রবারে বিসর্জনের মাধ্যমে পূজা শেষ।
[justify]
সকাল সাতটার দিকে আমরা কাকেলছেও গ্রামের নদীর ঘাটে। ইলিয়াস পড়েছেন গাঢ় সবুজ রংয়ের একটা ইউনিফর্ম পায়ে বুট মাথায় ক্যাপ। জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদন দেয়া মুক্তিযোদ্ধাদের পোষাক এটি। ইলিয়াস তার সবথেকে বেদনাবিধুর যুদ্ধক্ষেত্রে আজ ফিরে যাবেন প্রায় ৪৪ বছর পর যোদ্ধার সাজে।
আমাদের আজকের পরিকল্পনায় জগতজ্যোতি দাসের গ্রাম জলসুখা। না তার পরিবারের কেউ সেখানে নেই এখন আর, ভিটে বিক্রী হয়ে গেছে। আমরা যাবো তার ছোটবেলা বন্ধু ও যুদ্ধদিনের সহযোদ্ধা আব্দুর রশিদের সাথে দেখা করতে, যে জায়গা দিয়ে তার লাশ রাজাকারেরা নিয়ে এসেছিলো প্রদর্শনের জন্য সেই জায়গাটা দেখা। তারপর জগতজ্যোতি দাসের শেষযুদ্ধের স্থান খৈয়াগোপির বিল, সম্ভব হলে পাহাড়পুর এবং অবশ্যই মাকালকান্দি।
এবার আমাদের নৌকা চলছে উজানে, কাকেলছেও থেকে আজমিরীগঞ্জের দিকে। এখনো রোদ উঠেনি তেমনভাবে, ছায়া ছায়া ভেজা ভেজা ভাব, আকাশে মেঘ আছে, নদী ও বিশাল। গতকাল সারাদিন যে জায়গাগুলো ঘুরেছি সেগুলো ক্রমশঃ পেছনে সরে যাচ্ছে।
এক জ্ঞানী লোকের পশ্চাৎদেশে একবার ইয়া বড় এক ফোঁড়া হল। বেচারা কোথাও গিয়ে বসতে পারেনা। শিষ্যরা তাকে বসার জন্য কাঠের চেয়ার এনে দিলে সে বলে, এইভাবেই দেশের সমস্ত কাঠ কেটে ফেলা হচ্ছে। বন জঙ্গল উজাড় করে দেয়া হচ্ছে। মানিনা মানবো না। কাঁচুমাচু হয়ে শিষ্যরা ষ্টীলের চেয়ার এনে দিলে বলে, এইভাবে ষ্টীল মিল বানিয়ে দেশ ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। কলকারখানার বিষাক্ত কালো ধোঁয়া চারিদিক দূষিত করে ফেলছে। মানি না
সবাই এসো দাঁড়াও হাতে হাত
মরছে দেখো মানুষ দিন রাত
কিশোরী মার দুচোখ ভেসে যায়
শিশুটি তার ধুঁকছে অসহায়
বৃষ্টি আর ভীষণ কলেরায়…………………………
( মূলঃ জোয়ান বায়েজ
অনুবাদঃ মাহমুদুজ্জামান বাবু)
[justify]
১৯জুন। পহেলা রমজান। সকাল বেলা।
কাকৈলছেও, আজমিরীগঞ্জ, হবিগঞ্জ।
সেহরীর পর সামান্য কিছু সময় আমরা ঘুমিয়েছি। আটটার দিকে বের হই। আমি, নজরুল, তানিম ও ইলিয়াস। সামান্য পায়ে হেঁটেই নদীর পাড়ে আসি। কাল রাতে এসে পৌঁছে ছিলাম অন্ধকারে। এখন সকালের নরম আলোয় নদী দেখি, নদীবর্তী জনপদ দেখি। শেরপুর থেকে কুশিয়ারা নদী আজমিরীগঞ্জ হয়ে এদিকে এসেছে ভেড়ামোহনা নামে। ভেড়ামোহনা নেমে গেছে আরো ভাটিতে। পেছন দিকে সুনামগঞ্জ, দিরাই হয়ে কালনী এসে মিশেছে। ভেড়ামোহনা ও কালনী মিশেছে আরেকটু ভাটিতে, সেখান থেকে মেঘনার মোহনা। ঐ মোহনা ধরে এগুলেই ভৈরব। আমর দাঁড়িয়ে আছি কাকেলছৈও লঞ্চঘাটের কাছে। একসময় কাঠের ব্যবসার জন্য বিখ্যাত ছিলো এইঘাট।
নদী এখানে বিশাল। ইলিয়াস তার পরিচিত এক ইঞ্জিন নৌকা নেন। ছোট্ট একটা নৌকা। মাঝি ও ইলিয়াস হালের কাছে বসেন, আমি তাদের সামনে দাঁড়াই। নজরুল ও তানিম সামনের দিকে। নৌকা ভাসে ভাটিতে, আমরা পশ্চিমে নামতে থাকি- যতো ভাটিতে যাই ততো নদী আরো প্রশস্ত হতে থাকে। কিছুক্ষন যাওয়ার পর নদীর বুকেই বিদ্যুতের খুঁটির লম্বা সারি দেখি উত্তর-পুর্ব কোনে। ইলিয়াসকে জিজ্ঞেস করি- কোন এলাকা? বলেন- জয়সিদ্ধি। ইটনা থানার জয়সিদ্ধি। বাংলার প্রথম র্যাং লার আনন্দমোহন বসুর বাড়ি, ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজ তার অবদান।
জনৈক শিবলি আজাদ দাবী করেছেন, হুমায়ুন আজাদের বইগুলো নাকি বিদেশি বইয়ের নকল। তার দাবীর প্রেক্ষিতে আমরা সবাই প্রমাণ চাইলেও তিনি প্রমাণ হাজির করতে পারেননি। তার অনেকগুলো দাবীর মাঝে একটা দাবী ছিলঃ
"আজাদের লেখা প্রবাদ ও প্রবচন যে আসলে ফরাসী দার্শনিক লা রশফুকোর “ম্যাক্সিম” থেকে নেয়া বইদুটো পাশাপাশি পড়লেই তা বোঝা যায়।"
রেনেল পুনরায় কাজ শুরু করলেন। ৬৭-র গোড়ায় সুখবর এলো,কোম্পানি সার্ভেয়র জেনারেল অব বেঙ্গল পদ সৃষ্টি করে তাঁকে নিযুক্তি দিয়েছে। রেনেলের বয়েস তখন পঁচিশ। মাইনে বাড়লো,তার সঙ্গে পাওয়া গেল চারজন সহকারী সার্ভেয়ার। ভগ্নস্বাস্থ্যের দরুন অসুবিধা হচ্ছিল,ডায়েরি থেকে দেখা যায়,পরিশ্রমসাধ্য কাজগুলির জন্য তিনি সহকারী রিচার্ডসের ওপর ক্রমশ বেশি ভরসা করছেন। ১৭৭১-এ ফিল্ডসার্ভে শেষ হলো,হাজার হাজার স্কেচম্যাপ নিয়ে রেনেল ঢা
তথ্যসংগ্রহের আর একটি দিক সম্পর্কে বলবো,যার আরম্ভ পলাশী যুদ্ধের মাত্র সাত বছরের মধ্যে।সেটি হচ্ছে মানচিত্র অঙ্কন।জাহাজ ভারতীয় উপকূলের বন্দরে পৌঁছানোর জন্য পঞ্চদশ-ষোড়শ শতক থেকে য়ুরোপীয়রা অনেক মানচিত্র তৈরি করেছে ভারতীয় উপদ্বীপের,কিন্তু তাতে ভুলভ্রান্তি প্রচুর।জরিপের যন্ত্র উন্নত হতে অষ্টাদশ শতক থেকে মোটামুটি নির্ভুল মানচিত্র পেতে শুরু করি আমরা,জনক ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যসম্পর্ক ছিল এমন সব জাতি,যথা,পর্তুগিজ,ডাচ,ফরাসী—ইংরেজতো আছেই।উপকূলের ছবি ঠিক হলেও যে হেতু এদের দেশের অভ্যন্তরে জরিপের অনুমতি ছিল না,সেই ঘাটতি আন্দাজে পূরণ করতে হতো।