এই বছর আমার বাচ্চাকাচ্চা চল্লিশটা। বছর ভালো যাবে না মন্দ যাবে, এটা অনেকাংশেই নির্ভর করে এদের কর্মকাণ্ডের ওপর। যদি এরা হয় লক্ষীসোনা টাইপ, তাহলে তো স্বস্তির নিশ্বাস, আর যদি হয় বাচ্চা ভয়ংকর, কাচ্চা ভয়ংকর, তো সারা বছর ফাইল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে করতে জান শেষ। আমার ক্লাসে অবশ্য সব টাইপই আছে। বাচ্চারা তুলনামূলকভাবে ফরম টিচারের কাছে সুবোধ হয়ে থাকে। অন্য ক্লাসগুলোতে গেলে বোঝা যায় এদের আসল রঙ। তবে ভাল
[justify]গতকালের আগের দিন আমার ভার্সিটি গিয়েছিলাম, বেশ কদিন পরে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর আর যাওয়াই হয়নি। এখন আন্ডারগ্র্যাডদের ছুটি চলে, সবারই পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে। তাই ক্যাম্পাসটা বেশ ফাঁকা। দুচারজন ছাত্র হেঁটে লাইব্রেরির দিকে যাচ্ছে, অল্প কজন ক্লাস থেকে বের হয়েছে, সব মিলে বেশ শান্ত-চুপচাপ এক ক্যাম্পাস। এর মধ্যেই ভার্সিটিতে ঢুকতে না ঢুকতেই বাচ্চাদের চিৎকার- চেঁচামেচি কানে ভেসে আসে। ঢোকার মুখেই
[justify]সাহিত্য লিখতে মঞ্চায়। সচল হইতে মঞ্চায়। কিন্তু ক্যাম্নে কি? একছুডো ভাইরে (বেয়াদ্দব কিন্তু আমার অতিপ্রিয়, লেখালেখির গুনবিশিষ্ট) প্রশ্ন করলাম-বলত কিভাবে লেখা শুরু করা যায়? ছোকরা কয় লিখুন, লিখে ফেলুন, যা মনে আসে লিখে ফেলুন। আমি প্রশ্ন করলাম তা কি নিয়ে লেখা যায় বলতো?
‘তোমারে কইছিলাম চেয়ারম্যান সাবের নামটা ইয়া বড় বড় কইরা লেখতে, যাতে দুইমাইল দূর থেইকা মানুষ নামডা পড়তে পারে। এইগুলান কী লেখছো? পড়তে তো অণুবীক্ষণ যন্ত্র আনতে হইবো!’
চিৎকার করে কথা বলায় রমিজ উদ্দিনের মুখ থেকে দলা দলা থুতু ছিটকে পড়ছে সামনের লোকটির গায়ে। লোকটি নির্বিকার দাঁড়িয়ে আছে বেকুবের মত।
এই প্রথম বাংলাদেশের বাইরে দীর্ঘসময় ধরে বসবাস জার্মানিতে। এর মধ্যে কতবার যে Danke (ধন্যবাদ), Entschuldigung (মাফ করবেন), Tut mir Leid(দুঃখিত) বলা হয়ে গেছে, আর Guten Morgen (সুপ্রভাত), Guten Tag(শুভ দিন), Guten Abend(শুভ সন্ধ্যা) তো আছেই!!!
জল গড়িয়ে চলে
পতনেই বুঝি জলের আজন্ম সুখ,
বাধা পেলে প্লাবন ডাকে,
ভাঙ্গনের স্রোত ভাসায় ফুল্লরার বুক।
ও মেয়ে,
তুমি কি গো জলকন্যা?
কেবলই আপন খেয়ালে চলো?
ডুবসাঁতারে সঙ্গে নিলে
কী'বা এমন ক্ষতি হতো বলো?
এই জনমে নাইবা হলো,
রইলো আরো হাজার জীবন....
তোমার সাথে স্নানে যাবো
জেনে নিয়ে জলের সমীকরণ।
ভাসাও, ভাঙ্গো কিংবা মারো করে আস্ত বরফ জমাট,
জলের তোড়েই খুলবো সেদিন তোমার সকল বদ্ধ কপাট।
এইবেলা নদীর কথা না বললে আর শান্তি পাচ্ছি না। কিন্তু মুশকিল হলো কিভাবে বলবো? যতই বলি খুব সুন্দর, মনোমুগ্ধকর, অস্থির কিংবা অদ্ভুত- কিছুতেই তৃপ্তি হয় না। শুধু মনে হয়- হলো না! ঠিক করে বলতে পারলাম না। তাই ভাবলাম চুপ যাই। কিছু ফটুক তুলে দেই- তারপর ঐ বিশেষন গুলো না হয় আপনারাই ঠিক করে নিবেন।
[ধরলা-১]