দ্বিতীয় পর্ব : বিষণ্ণ গোধূলি
অর্ক সেবার খুলনা থেকে মা বাবার সাথে দাদু বাড়ি যাচ্ছে। পাকশি ঘাট ,ফেরি পার হয়ে আরো দেড় ঘণ্টার রাস্তা। ছোট্ট অর্ককে বাবা দেখায়
নদীর ওপর ঐ যে লাল ব্রিজটা দেখছো, ওটা হার্ডিঞ্জ ব্রিজ।
বাবা আমাদের বাস ঐ ব্রিজ এর ওপর দিয়ে যাচ্ছে না কেন?
ওর ওপর দিয়ে শুধু ট্রেন যায়। বাস এর জন্য ঐ ব্রিজটা না।
বাবা বাসের জন্য কোনো হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নেই কেন?
কেউ বানায়নি তাই।
ব্রিজ কারা বানায় বাবা ?
তুমি ভেবে দেখো, অযাচিত কৌতূহলের ছন্নছাড়া আক্রমণে আমাদের কতখানি নিজস্ব ভূমি দখল হয়ে গেছে, কতটা দখল হয়ে গেছে আমাদের নির্জনতা, আমাদের পরিসর; আমাদের নামে’র আড়ালে মরে গেছে বিভিন্ন আমাদের মানুষ আমাদের অভিন্ন অবয়ব নিয়ে —প্রতিটি মানুষের চোখে স্বপ্ন ছিলো, ছিলো বিশ্বাস, গর্ব আর সুন্দর পৃথিবী গড়ার অঙ্গীকার — সাম্য, সংহতি। এইসব মৃত্যুর দায়ভার কেউ নেবেনা। আমাদের মৃত্যু পৃথিবীকে মহৎ করেছে, মানুষকে করেনি।
#
প্রতিদিনের নিয়ম মেনেই বিচ্ছিরি শব্দে এলার্ম বেজে ওঠে। রাতুল প্রতিরাতে ভাবে শব্দ পরিবর্তন করে একটা গান লাগিয়ে রাখবে। সকালের শুরুটা সুন্দর কোনো সঙ্গীতের সুরে শুরু হবে। ক’দিন ধরেই খুব শুনছে লালনের গান ‘ তাল তমালের বনেতে’। এই গান দিয়ে দিন শুরু হলে মন্দ হতো না। অথচ দিনের আয়ু বাড়তে বাড়তে যখন অন্ধকারকে আপন করে নেয় তখন এই ইচ্ছের আয়ু শেষ হয়ে যায় টুপ করে।
[justify]বাংলায় বোধ হয় আমাদের আর পোষাচ্ছে না। চলনে বলনে কাজেকর্মে কোনোখানেই না। হিন্দিপ্রেম তো অনেক আগে থেকেই ছিলো আমাদের। আজকাল ডোরেমন শিশুরা বাংলার চেয়ে হিন্দিতে পারদর্শী হয়ে উঠছে। কথার ফাঁকে দুয়েকটা হিন্দি বুলি জুড়ে না দিলে বড়রাও ঠিক খুউল হতে পারছেন না। বাংলায় তাই আর পোষাচ্ছে না।
(১)
একটি রাস্তার ধারে পাশাপাশি পাঁচটি বাড়ি। ভিন্ন ভিন্ন রঙের এই পাঁচটি বাড়িতে ভিন্ন ভিন্ন পাঁচ দেশের লোক বাস করেন। প্রত্যেকের নিজস্ব পছন্দের পানীয় আছে, আছে আলাদা আলাদা সিগারেটের ব্র্যান্ড। এমনকি তাদের পোষা প্রাণীও ভিন্ন ভিন্ন। এখন প্রশ্ন হল এদের মধ্যে মাছ পোষেন কে?
সূত্রঃ
১। লাল ঘরে বাস করেন ব্রিটিশ।
২। সুইডিশের পোষা প্রাণী কুকুর।
৩। ডেনিশের প্রিয় পানীয় চা।
৪। সাদা বাড়ির বায়ে সবুজ বাড়ি।
[justify]দীর্ঘদিন পরে লিখতে বসে কতক্ষন কিবোর্ড নিয়ে নাড়াচাড়া করে উঠে পড়ার অবস্থা হয়েছিল, পরে আবার জোর করে লিখতে বসলাম, কিন্তু কি লিখব, মাঝে এত ঘটনা ঘটে গেছে যে তা না ব্লগর ব্লগর করার ইচ্ছাটাও প্রায় হারিয়ে যাবার অবস্থা। তারপরেও আগডুম বাগডুম একটা বিষয় নিয়ে লিখা শুরু করলাম। আমাদের সুখের ডেলাওয়ারের ব্লগার গ্রুপে যমুনা ব্রিজের মত ফাটল ধরে এখন তা ভেঙেও গেছে। আমি এখন নিউ ইয়র্কে, কম্পাউন্ডারের
ডায়েরি লেখার অভ্যেস নিয়মিত নেই আমার। সবুজ মলাটের ডায়েরিটায় তাই কখনো সময়ের অভাবে,কখনো অলসতায় কলম ধরা হয়ে উঠে না।তাও মনে দাগ কেটে যাওয়া মুহূর্তগুলো কালির অক্ষরে হয়তো দু-তিন মাসে,কখনো ৫-৬ মাসে একবার লিখে রাখি।ক'দিন আগে মনে হল,পাতাগুলো একবার উল্টিয়ে দেখি,মনটাকে একটু পেছনে ফেরাই।দেখলাম,বুয়েটের পাঁচটা বছর কীভাবে চলে গেল !
আজ তাঁর মৃত্যুদিন। ২০০৭ সালের এই দিনে আমরা হারাই তাঁকে। কি হারিয়েছি তখনও ঠিক ঠাওর করে উঠতে পারিনি আমরা। আজ তাঁর শুন্যতাই কেবল বলতে পারে কি হারিয়েছি, কোন বাক্য এর জন্য যথার্থ নয়। বলাই বাহুল্য আমাদের দেশের নিয়মানুযায়ী মৃত্যুর পরই তাঁকে সবাই চিনতে শুরু করলো, গুরুত্ব অনুধাবন করলো এবং মূল্যায়ন করতে আরম্ভ করলো। তবে হ্যাঁ, তাঁকে যারা চিনতো তারা ২০০৭-এর ২৭ জানুয়ারি বারডেমের এখানে ওখানে ডুকরে কেঁদেছিলো, পু