মিথ্যে কথা বলব না। স্বীকার করছি আমিও একসময় নিজেকে হিন্দু মনে করতাম! এবং হিন্দুধর্মাচার পালনও করতাম! সেই সময়ের কথা বলছি যখন আমি সদ্য কিশোর। এগুলি পরিবারতন্ত্রের দ্বারাই আমাদের মাঝে গেঁথে দেওয়া হয়। আজ জীবনের কিছু বছর পেছনে ফেলে এসে একটা জিনিষ বারবার ধাক্কা দেয় – যে সংস্কৃতি নিজের আচরণে সভ্যতাকে পর্যন্ত কলঙ্কিত করতে পারে তাকে ধারণ করা কী অমানবিকতার নামান্তর নয়?
কিছুদিন আগে মুন্সিগঞ্জে মেঘনায় কার্গো জাহাজের আঘাতে লঞ্চডুবি হয়ে মারা গেছেন শতাধিক মানুষ। এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রায় বার্ষিক ভিত্তিতে ঘটে, এবং যা কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হতো, তা গ্রহণে জাহাজ মালিক, জাহাজ চালক, যাত্রী ও তদারককারী সরকারি প্রতিষ্ঠান, এই চার পক্ষেরই এক আশ্চর্য নিস্পৃহ মনোভাব দেখা যায়। দুর্ঘটনার পর স্মার্ট লোকেরা অনেক স্মার্ট স্মার্ট কথা বলে, কিন্তু ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্যে যেসব স্বল্প-মধ্য-দীর্ঘমেয়াদী ব্যবস্থা গ্রহণ করলে মানুষের এই নির্মম প্রাণহানি এড়ানো যাবে, তা গ্রহণে কারোই মাথাব্যথা দেখা যায় না।
সহব্লগার দ্রোহী একদিন বলেছিলেন, বাঙালির দৃষ্টিসীমা অতীতে পাঁচ বছর আর ভবিষ্যতে সাত দিন। কথাটি যে সত্য, তা এ ধরনের দুর্ঘটনার সময় আরো ভালোভাবে অনুভব করি।
মফস্বলের আলো আঁধারির মধ্য গল্প বলার আত্বীয় স্বজন থেকে দূরে, মোটামুটি পাড়া-পড়শীদের সাথেই বড় হয়েছি আমরা, অত্যন্ত বাস্তববাদী মায়ের তিক্ষ্ণ নযরদারীর মধ্য। শহুরে নীতি নিয়মের মধ্যে বড় হওয়া আমাদের চেনা জানার সীমানা ছোট হলেও কল্পনার জগতটা কিন্ত সমৃদ্ধ ছিল, গল্পের বই এর কল্যানে। রহস্যময় জগতের মতই আকর্ষনীয় ছিল কুচ কুচে কালো বেড়াল, সাপ, পেঁচা, বাদুর সাঁঝের আধারে বন্ধুদের কাছে শোনা সেই ‘তেনাদের’ গল্প। এমনিতেও বাস্তবের কিছু ঘটনার ব্যাখ্যা অনেক সময়ই রহস্যময় রয়ে যেত ঐ আমলে। আজকের এ লেখাটা স্মৃতি থেকেই ঐ রকমের একটি লেখা।
১০ বছরের স্কুলজীবনে ৬ টা স্কুলে পড়তে হয়েছে আমাকে, তিনটা প্রাইমারী স্কুল আর তিনটা হাইস্কুল। সবগুলোই উপজেলা পর্যায়ে। আব্বুর চাকরীর জন্যই এই ঘনঘন স্কুল পরিবর্তন। নটরডেম কলেজে ভর্তি হওয়ার পর দেখলাম সহপাঠী বন্ধুদের মধ্যে খুব কমই আছে আমার মত উপজেলা পর্যায় থেকে আসা। ঢাকার বাইরে থেকে যারা এসেছে বেশীরভাগই জেলার কোনো স্কুল থেকে পড়ে এসেছে। আবার এদের মধ্যে অনেককেই থাকতে হয় আরামবাগের বিভিন্ন মেসে, স্বাভাবিকভাব
এক শহরে থাকতো 'ওকেমারি', সারাদিন মারামারি করে বেড়াতো।
কেউ যদি থামিয়ে জিজ্ঞেস করতো, "কিরে, ওকে মারলি কেন?
সে একগাল হেসে, বিনীত ভঙ্গীতে নিজের নাম জানাতো।
আমেরিকা উন্নত দেশ। ঠিক। আমেরিকা অনেক এগিয়ে গেছে। ঠিক। আগামি ৫০ বছরেও বাংলাদেশ আমেরিকার ধারে কাছে আসতে পারবে না। হয়ত সেটাও ঠিক। এতোদিন এই সব কথাই শুনে, বলে ও বিশ্বাস করে আসছিলাম, কিন্তু একযুগ পর এবার বাংলাদেশে গিয়ে সে ধারণা হলো সেটাই এখানে একটু বিস্তারিত বলার চেষ্টা করছি। তার আগে একটু গৌড়চন্দ্রিকা সেরে নেই।
…
(পোস্টের সাথে সংযুক্ত ভিডিও গুলো ছাড়া আমার আবজাব লেখার কিছুই বোঝা যাবে না। যারা আগ্রহ নিয়ে পড়বেন, তাদেরকে অনুরোধ করবো ভিডিওগুলো দেখতে।)
৮ম সেমিস্টারের অটোমোবিল (Automobile) ক্লাসের কথা মনে পড়ছে। আমরা সবাই বয়লার ল্যাবে বসে আছি আর সিরাজুল করিম চৌধুরী (SKC) ক্লাস নিচ্ছেন। ক্লাস রুমের তুলনায় ছোট খাট একটা ব্লাক বোর্ডে প্রাণান্তক চেষ্টা করছেন একটা ছবি আঁকার। ছবিটা হল ডিফারেন্সিয়াল গিয়ারের (Differential gear)। অনেক সময় নিয়ে তিনি ছবিটা আঁকা শেষ করলেন। এরপর অনেক কষ্ট করে ডিফারেন্সিয়াল গিয়ারের কার্যপদ্ধতি বোঝানোর চেষ্টা করলেন। ক্লাসে আর কে কি বুঝেছিল জানি না, তবে আমি কিছুই বুঝিনি।
পরে রুমে ফিরে এটা নিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ করলাম। পেলাম এই ভিডিও টা।
একটা পরিসংখ্যানে চোখ আটকে গেলো আজকে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর Statistical Yearbook of Bangladesh 2010 এর 3.17 টেবিল অনুযায়ী বাংলাদেশে স্নাতকোত্তর বা সমমানের ডিগ্রীধারী বেকার পুরুষ ৪.৪৮ শতাংশ এবং বেকার নারী ১০.৩১ শতাংশ, প্রকৌশল বা চিকিৎসাবিজ্ঞানে ডিগ্রীধারী বেকার পুরুষের সংখ্যা ৪.৭৮ শতাংশ এবং নারীর সংখ্যা ১৬.৯৯ শতাংশ। দেশের এরকম শিক্ষিত ও যোগ্য শ্রেণীর নারী ও পুরুষের বেকারত্বের হারের এই পার্থক্
[justify]এই প্রশ্নটা মুখ ফুটে অনেকে করেন না। কিন্তু বিবর্তন আর ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইনের (আইডি) তর্কটা যারা বোঝেন, এআই নিয়ে ভাবতে গেলে তাদের একবার হলেও প্রশ্নটা হয়তো মাথায় আসে। বিবর্তন তত্ত্বানুসারে সকল প্রাণী তাদের বুদ্ধিমত্তা সমেত প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে তৈরি হয়েছে। কোনো বুদ্ধিমান কর্তার হস্তক্ষেপ বা ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন ছা