আগে আগে সূর্য্য ওঠার কারণেই হোক, অথবা অন্য কারণেই হোক, দেখা যাচ্ছে কোরবাণী ঈদের প্রথম পরশটা এসে জাপানেই লেগেছে।
কাকডাকা (যদিও কাক নেই) ভোরে উঠে, নামাজের জন্য রেডী হয়ে, বউয়ের বানানো সেমাই আর ফিরনী খেয়ে রওয়ানা দিলাম ঈদগাহ, থুক্কু, বাড়ীর কাছের টোকিও মাক্কী মসজিদে। আজ সকালে দেরীতে অফিস গেলেও সমস্যা ছিলনা, তাই নামাজ শেষে এর ওর সাথে কোলাকুলি, গপসপ, তারপর গনখাওয়া -- মেন্যু গরুর মাংসের খিচ...
কাকজ্যোৎস্নায় বালিহাঁস ওড়ে, সাগরতীর গর্ভিণী নৈ:শব্দ নিয়ে পড়ে থাকে চুপ। চুপ করে পড়ে পড়ে ভিজতে থাকে গহন রাতের অলীক আলোয়।
মিশরী ওড়নার মতন নেমে আসে শিরশিরে শিশিরকণা, বুঝি বা ঐ নীল চিত্রা তারার কাছ থেকে। ওরই জন্যে বুঝি সমুদ্রঝিনুকেরা ডানা মেলে রাখে? বুকের ভিতর শিরশিরে ব্যথাকে মুক্তা করে ফলাবে বলে?
সচলের প্রিয় সদস্য, অতিথি ও পাঠকবৃন্দ,
সচলায়তনে ব্যানার সাম্প্রতিক পরিস্থিতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিয়মিত পরিবর্তন করা হয়। এই ব্যানার নকশায় আপনাদের অংশগ্রহণও কাম্য।
ব্যানারের মাপ ৯৬৫ × ১৫০ পিক্সেল। ব্যানারে সচলায়তনের নাম, এবং শ্লোগান "চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির" থাকবে। বাকি অংশটুকু পূরণ করা হবে ছবি বা নকশা দিয়ে। নকশা করে পাঠিয়ে দিন contact অ্যাট sachalayatan ডট কম এ।
আপনাদের নকশা ...
"আমি চাই তুমি আমার ইচ্ছা পূরণ কর"- আদমকে ডেকে ঈশ্বর একদিন একথা বলেন ।
আদম বলে,"অবশ্যই প্রভু। আপনি আমাকে কী করতে ইচ্ছা করেন?"
"এখান থেকে ঢাল বেয়ে নিচে নেমে যাও"- ঈশ্বর জানান।
"ঢাল কী?"- প্রশ্ন আদমের। ঈশ্বর ব্যাখ্যা করেন। যোগ করেন, "ঢালের নিচে নদী পাবে, সেটা পার হও।"
আদমের প্রশ্ন, "নদী কী?"
নদী কী তা বুঝিয়ে ঈশ্বর বলেন, "নদীর ওপারে একটা পাহাড় পাবে। সেটা অতিক্রম কর।"
এবার প্রশ্ন, "পাহাড় কী?"
আবারো ...
'বাবা তোমার এই হাত যুদ্ধ করেছে, তোমার চোখ আমার দেশের মাটি গাছ পাখি দেখেছে। বাবা, আমি চোখে দেখি না। তুমি তো দেশ থেকে এসেছ, তুমি বল, আমার দেশ কি এখনও তেমন সবুজ, আমার মাটি কি এখনও তেমন সজল?'' সেই অন্ধ বৃদ্ধ তাঁর সন্তানের জন্য কাঁদেননি, কেঁদেছিলেন তাঁর শত্রুকবলিত দেশের শোকে। ৩৬ বছর পর সেই কথা বলতে বলতে আরেক বৃদ্ধ কর্ণেলের গাল ভেসে যাচ্ছিল অশ্রুরাশিতে। কফিল আহমেদ গেয়েছেন, 'কাঁদলে কী রে ধুল...
খুব মনে করে করে ভুলে থেকে পার করে দিলাম পাঁচ ডিসেম্বর। কিন্তু মূলত ওটা ছিল ছয় ডিসেম্বর। আমাদের মাঝে কে যেন নিয়ম করে দিয়েছিল কিছুই জিজ্ঞেস না করে অনুমানে সব কিছু বুঝে নেয়ার। আমি ছয় ডিসেম্বরকে পাঁচ অনুমান করে প্রতি বারোটা এক মিনিট থেকে পরের দিনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দিনটাকে একটু একটু করে নেড়েচেড়ে দেখতাম। দিনের প্রতিটি পরত তাকে এমনভাবে খুলে খুলে দেখাতাম যাতে সে ধরতেই না পারে দিন...
অনেকদিন পর সচলায়তনে আসতে পারলাম। এসেই চোখ পড়ল ব্যানারে। মনে হল, অপরাধের চেয়ে পাপ অনেক বড়। কেমন হয় যদি ব্যানারে (এবং অন্য সর্বত্র) 'যুদ্ধাপরাধী' শব্দটির বদলে 'যুদ্ধপাপী' শব্দটি ব্যবহার করা হয়?
[ এটাকে কেউ এই লেখাটার সিক্যুয়েল বলেও মনে করতে পারেন। ]
: বুঝলি, জীবনটা এতো সোজা নারে।
আমার মতো হীরক ভাগ্নে ফেলে রেখে চশমার কাঁচ তুলে ঘঁষাঘঁষি করতে করতে (কালো ফ্রেমের রিমলেস চশমাটার কাঁচ সুগন্ধি টিস্যুতে মুছতে মুছতে) মতি মামা বলেন। আমি সুস্থিরের অভিনয় করে পিঠাপিঠি মতি মামার বড়োয়ানা লক্ষ্য করি। অনেক বছর পর মতিমামা দেশে ফিরেছেন। সেই উইম্পি ট্র্যাজেডির পর। ম...
আমি সোফার এক কোনায় পায়ের উপর পা তুলে আরেকটু আরাম করে বসে গলা উঁচিয়ে বললাম, চাচামিয়া, শেখ মুজিবরে নিয়াও কিছু বলেন, ওনারে আপনের কেমুন মনে হয়?
চাচা একটা গলা খাঁকারি দিলেন, তারপর প্রায় অদৃশ্য কোন একটা জায়গা থেকে একদম জুয়েল আইচের স্টাইলে একটা পান বের করলেন। তারপর শূন্যে সপাং সপাং খানিক্ষণ ঝেড়ে মুছে, পুরাই রজনীকান্ত স্টাইলে সেটা মুখে চালান করে দিলেন। পুরো পরিবেশটাই এমন সিনেমাময় যে, খা...
কিছুদিন আগে "আনন্দবাজার' এর রবিবাসরীয়'তে শান্তনু মৈত্রের সাক্ষাত্কার প্রকাশিত হয়েছে ৷ শান্তনু মৈত্র -- "ওয়েলকাম টু সজ্জনপুর' কিম্বা "লাগে রহো মুন্নাভাই'এর সুরকার৷ তো, অন্যমনস্কভাবে স্ক্রোল করতে করতে চোখ আটকে গেল ওঁর জীবনের একটা অদ্ভুত গল্পে ৷ উনি ছোটবেলায় একবার বাড়ী থেকে পালিয়েছিলেন৷ নির্দিষ্ট কোন কারনে নয়, এমনি এমনিই , অনেকেই পালায় তাই উনিও পালিয়ে সো-ও-জা চলে গেছিলেন ...