১.
দিনগুলো কিভাবে চলে যায় ঠিক টের পাই না। গত বছরের ২৫ আগষ্ট দেশ ছেড়েছিলাম, গুনে গুনে ছয়টা মাস চলে গেছে। গত সেমিস্টারটা খারাপ কাটেনি।এই ভার্সিটিতে স্নাতক, স্নাতকোত্তর সবমিলে মাত্র ১৫ জনের মতো বাংলাদেশী ছাত্র। এর মাঝে দু’একজন বিবাহিত ছাড়া বাকীরা জীবিত। জীবিতদের বেশিরভাগ উইকেন্ডে আড্ডা দিতাম। তবে উইন্টার শুরু হওয়াতে সবাই কেমন ঝিমিয়ে পড়েছে। আগের মতো আর আড্ডা জমে না। চারপাশে জমে...
দু'দিনের তুষারপাতে ব্ল্যাক্সবার্গ ঢেকে গেছে পুরো। স্কুলের ক্লাস বাতিল করে দেওয়া হয়েছে কিছু।
আহা, বিদেশ!
ফ্রিজের বাইরে বরফ দেখার শখ আমার অনেক দিনের। আমেরিকা এসেও ৪ বছর লুইজিয়ানায় থাকার বদৌলতে শীত কেটেছে ৮০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে! গত শীতে ভার্জিনিয়া এসে দেখলাম বরফ। স্লেজিং নামক কাজটা সেবারই জীবনে প্রথম করলাম। এই শীতে বরফ পড়েছে বেশি, কিন্তু জমলো এবারই প্রথম। মাঝে -২৫ ডিগ্রি ফারেনহ...
টেনশনে আছি। কয়েকটা পোস্ট অর্ধেক লিখে ঘ্যাচাং করে দিলাম। একটা সায়েন্স ফিকশান শেষ করে আনছিলাম, পাঞ্চ লাইনটা লিখতে গিয়ে খটকা লাগলো, গোড়া থেকে পড়ে এসে ভাবলাম, এরকম একটা বাজে গল্প লিখলে কি সরাসরি পোস্ট করা উচিত না মডারেশনে পাঠানো উচিত? ঘ্যাচাং করে দিলাম।
টেনশন বহু কারণে। ক্লান্তিও যোগ হয়েছে সাথে। হপ্তা দুয়েক ধরে এগোতে চেষ্টা করছি থিসিস নিয়ে, সাথে যোগ হয়েছে কামলা, আরো নানা দুশ্চিন্ত...
আমাদের চারপাশে আমরা যা কিছু দেখি, যা কিছু শুনি, অথবা যা কিছু অনুভব করি, তার ঠিক কতখানি সত্য? কতখানি বাস্তব? আমাদের ইন্দ্রিয় যে সবসময় বাস্তব সত্যটারই প্রতিফলন ঘটায়, জমাট আত্মবিশ্বাসের সাথে এমন দাবি কি আমরা কখনও করতে পারি? দাবি যদি করিও, তার স্বপক্ষে আমাদের আদৌ কি কোনো যুক্তি-প্রমাণ আছে? আর অকাট্য যুক্তি-প্রমাণ যদি থেকেও থাকে, অন্যদের কাছে তা আসলে ঠিক কতখানি গ্রহণযোগ্য? যদি না হয়, ...
আমি যখন ব্লগ জগতে আসি তখন দেখি হাসান মোরশেদ বিরাট স্টার।
মিজাজটাই খারাপ... এই লোক এত কী ভালো লেখে?
আমি তখন ধইরা নিলাম এই লোক বুড়া কিসিমের কেউ হবে। নিশ্চয়ই অনেক পুরান পাপী।
তারপর সচলায়তন হইলো। ধীরে ধীরে তার লেখার সাথে পরিচয় হইলো। কিন্তু তখনো তারে আন্দাজ করতে পারি নাই।
এইবার বইমেলায় তার একটা উপন্যাস বার হইবো, শমন শেকল ডানা। তা নিয়া দেখি ...
প্রতিদিন আমার যাত্রাপথের সময়টুকু আমি খুব অনুভব করি।
কিছুদিন আগেও ঝাঁ ঝাঁ রোদ ছিল না, বেশ মোলায়েম একটা বাতাস থাকতো, অনেক সময় আকাশ ঘন ধূসর হয়ে থাকতো আর সাথে একটা শীতল বাতাসও বইতো, আমার খুব ভাল লাগতো। এখন সেরকম নাই, শুষ্ক বাতাস ডাইনির মতো উড়ে বেড়ায়, সাথে চড়চড়ে রোদ! চামড়া পুড়িয়ে রোদের ঝাঁজ মাংশে গেঁথে যায় বলে আমি শিহরিত হই, যদিও এমন শিহরণে ক্রমশ মজে থাকা যায় না! নেশা ছুটে যাবার মত জেগেও ...
কর্মসূচি : হত্যাযজ্ঞের শিকার শহীদদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানানো
কবে-কখন : মঙ্গলবার, ৩ মার্চ; সন্ধ্যা ৭টা থেকে সাড়ে ৭টা
কোথায় : বিডিআর গেইটের পাশে রাইফেলস স্কয়ারের সামনে
কি করবো : ঘুচাবো কালো জ্বালবো আলো
কারা আসবেন : যারা মানুষ ভালোবাসেন এবং হিংসার অবসান চান
আমার দেশটাই যেন এমন। এই ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলে শুধু ভালোবাসা বিছানো থাকার কথা ছিল। ...
২৫ তারিখ সকালে ঘুম ভাঙা থেকে শুরু করে একরকম বিশ্রামহীন সময়। খবর দেখা আর খবর শোনা, শুনতেই থাকা দেখতেই থাকা। মাঝে মাঝে বাড়ির খবর নেওয়া আর সচলায়তনসহ বিভিন্ন সাইটে ঢুকে পোস্ট আর কমেন্টগুলির দিকে বোবা দৃষ্টি দিয়ে আবার এখানে সেখানে সংবাদের সন্ধানে। দেখতে থাকি শুনতে থাকি। কিছুই কি বলার নেই? অনেক কিছুই আছে। কিন্তু সবই কেউ না কেউ বলছেন। তবে কারো বলাতেই আমার ভাবনাগুলোর মতোই উদ্বেগ-উৎকণ...
আজ থেকে আট বছর আগের আমি আর এখনকার আমি-র মাঝে তফাৎ অনেক।
এই ক'বছরে আমার ভুঁড়ি গজিয়েছে, চুলেরা হয়েছে উদ্বাস্তু। এই কয় বছরে আমি মানুষকে অনেক বেশি বিশ্বাস করতে শিখেছি----সেই সাথে অনেক বেশি অবিশ্বাসও করতে শিখেছি। আট বছরে কিছু উদ্ভট জিনিস রাঁধতে শিখেছি---এবং ক্ষুধার জ্বালায় সেইসব অখাদ্য খেয়ে নিজেই নিজের তারিফ করেছি।আট বছরে আমি অনেক 'পরিনত' হয়েছি, পাকিদের দেখলে ইদানিং মুখে থুথু জমে না আগে...
হাওয়াটা ঘুরতাছে এইদিক ওইদিক। গরম হাওয়া, ঘাড়ে গলায় লাগলেই ছ্যাঁত ছ্যাঁত কইরা উঠে। আরও কয় পা যাইতে হইবো কে জানে! আগান যায় না, খালি মানুষ আর মানুষ। কাজকাম ফালায়া বাদাইম্যার দল গোল হয়া মজ দ্যাখতেসে। থুক্ কইরা থুতু ফালায় কে একজন। হুডতোলা রিকশার ভিতর ব্রণভর্তি মুখ চঞ্চল চোখ ঠারে ডাইনে বাঁয়ে। ফুটপাতের ছোকরা দোকানী শীষ দ্যায়। স্কুল ভ্যানে দরদর কইরা ঘামতেসে কচি পোলাপানের দল; ভিজা শার্ট ...