একে একে হরিণেরা আসিতেছে গভীর বনের পথ ছেড়ে,
সকল জলের শব্দ পিছে ফেলে অন্য এক আশ্বাসের খোঁজে
দাঁতের-নখের কথা ভুলে গিয়ে তাদের বোনের কাছে ওই
সুন্দরী গাছের নিচে_জোৎস্নায়!_
মানুষ যেমন ক'রে ঘ্রাণ পেয়ে আসে তার নোনা মেয়েমানুষের কাছে
হরিণেরা আসিতেছে!
-ক্যাম্পে
জীবনানন্দ দাশ
হয় জীবনানন্দ মিয়া আমার পাশে বসে বসে এই কবিতাখান লিখছিলো। অথবা এই কবিতার স্ক্র...
আমি আসলে নজরুল ভায়ের লেখার সাথে তাল মেলাতে পারিনা, কোনটা কখন লিখবেন বুঝিনা, ভাবলাম এই শেষ কিন্তু দেখা গেলো পরের পর্বে আরো চমক, বাদ দিই সেসব, আমি আমার নিজের মত চলি, তবে নজরুল ভায়ের লেখার সাথে একটু হলেও তাল মিলিয়ে।
এবারের পর্বে প্রথমেই কিছু কিছু চরিত্রের সাথে আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেব।
ছবি-১। ডাকাত ডাকাত চেহারার এ লোকটার নাম এমদাদ হোসেন, বন বিভাগের প্রহরী, বাঘ কাটা ডোম, ক্যামেরা প...
মাঝখানে বেশ কয়েকটা মাস ভালই গেল। ইয়াদ আলী আমাকে আর ইয়াদ করেনি। মাঝরাতে ফোন করে আমাকে আর জাগায়না সে।
যারা ইয়াদ আলীকে চেনেন না তাদেরকে বলছি যে সে আমার এক বন্ধু। নিউইয়র্কে থাকে। মাঝেসাঝে গভীর রাতে ফোন করে আমাকে, আর তারপর উলটোসিধে কথা বলে। তার সাথে তর্কাতর্কি করার সাহস বা শক্তি আমার নেই বলে বেশীর ভাগ সময়েই তার কথা চুপচাপ হজম করি আমি।
আমেরিকাতে এখন সামার চলছে। শীতপ্রধান শহরগুলোতে ...
১.
এইতো সেদিন যখন ঢাকায় এলাম, তার আগেও আমার দেখা সব চেয়ে উঁচু বিল্ডিংটা ছিলো তিন তলা। আমরা বলতাম, ‘খলিল সাহেবের দালান’। যেবার দালানের তিন নম্বর তলার ছাদ কমপ্লিট হলো, খলিল সাহেব সেখানে জলছাদ দিবেন বলে মনস্থির করলেন। জলছাদ কেমনে দেয় তা আমরা জানতাম না। তবে একদিন কোথা থেকে অনেক সুড়কি চলে এলো। আর এলো জনাবিশেক মহিলা। সুড়কিগুলোকে জোগালেরা বলতো চিপ। তারা সিঁড়ি বেয়ে সেইসব চিপ ছা...
বেশি-ই-ই-ই...
বাড়িস না রে পাইক্যা!
ভদ্র হইয়া বইস্যা ছিলাম
মুক্ষে ছিপি কইষ্যা ছিলাম
এবার যামু বাঁইক্যা!
রাইত নামতেই চোরের মতো
ঢুইক্যা আমার দেশে
মাইরা মানুষ এখন ঘুরস
ভদ্রলোকের বেশে?
সেই ইতিহাস সবাই জানে
যতই রাখস ঢাইক্যা!
বেশি-ই-ই-ই...
বাড়িস না রে পাইক্যা!
নিরস্ত্র সব মাইরা মানুষ
সাজছিলি খুব বীর?
মুক্তিসেনার একটি ঠাপেই
তোর পাছা চৌচির!
সেই পাছাটা ঢাকার কাপড়
এই দুনিয়ায় নাইক্যা!
বে...
"Fragments are the only forms I trust"
- Donald Barthelme
১
লিখালিখি যা আসতাছে, সব একটা কেমন জানি ডিসকন্টিনিউড ফর্মে আসতাছে। লেখালিখি আসে। এই কথা বলাটা কি ঠিক হয়? মাথায় আসলে [আশোলে] যা আসে সেইটা হচ্ছে চিন্তা। যা আসে তা যায়। লিখা হয়ে [চলে] যায়। আবার, এই যে চিন্তা আসছিল, সেটাও কেমনে কেমনে জানি খেয়াল করছি। খেয়াল করতে করতে চিন্তা করছি। এই চিন্তা নিয়া চিন্তার নাম দিলাম ভাবনা। দুয়ে মিলা* - চিন্তাভাবনা, এই শব্দবন্ধ বাংলাভা...
১।
সবুজঘরের ছাদভর্তি হলুদ রোদ্দুরে আচার শুকোতে দিয়ে ঘুরে বেড়ায় রচনা। ভেজা চুল মেলে দিয়েছে পিঠে, ছাদে আচার শুকানোর সঙ্গে সঙ্গে মাথার চুলও শুকায়। লালশাড়ীর আঁচলের প্রান্তটি হাওয়া লেগে ওড়ে, কার্ণিশে চিবুক রেখে দূরের মাঠের দিকে চেয়ে থাকে রচনা। কবেকার ভুলে যাওয়া গানের কলি তার মনে মনে গুণ্গুণ্ করে ওঠে পথভোলা ভোমরার মত।
শীতের দুপুর হালকা আলস্যে গড়িয়ে যেতে থাকে ফ্যাকাশে বিকালে...
প্রথম পর্বে বাংলা টাইপিং ও ফন্টের কারনে কিছু বানান ভুল পরিলক্ষিত হয়েছে। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। ২য় পর্বে এই সমস্যা আশা করি সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। আপনাদের মন্তব্য, সাজেশন, পরামর্শ আমাকে লেখাটা শেষ করার প্রেরণা যুগিয়েছে। আশা করি ২য় পর্বটা পড়বেন এবং মূল্যবান মন্তব্য প্রদান করবেন।
পর্ব-২
রাত ১২টা নিঝুম চারিপাশ। গ্রামের শান্ত পরিবেশ। দূর থেকে শিয়ালের হাক শুনা ...
সাত আট বছরের এক বাচ্চা দোকানে গিয়ে এক প্যাকেট সিগারেট চাইতেই দোকানী রেগে ফায়ার- এত টুকু বাচ্চা সিগারেট খাও, দাঁড়াও তোমার বাবাকে এখনই জানাচ্ছি। ছেলেটি উত্তর দিল- আংকেল আমি সিগারেট খাইনা, ছোট ভাইয়ের জন্য নিচ্ছি। জোকসটা শুনেছিলাম ক্লাসের ফাঁকে এক সহপাঠীর কাছে। আমরা তখন অনার্স ফাষ্ট ইয়ারে পড়ি। বিরাট একটা সার্কেল ছিল আমাদের। সুযোগ মিললেই বসে যেতাম জমজমাট আড্ডায়। আজকে তাদের অনেকে...
আচ্ছা সচলের অনেকেই কি জানেন একবার এই সচলে মডু নির্বাচন নিয়ে একটা দারুন ক্যাচাল লেগেছিল। রংধনু মডুগণের আবির্ভাবের বহু আগের কাহিনী সেইটা। সে এক বিশাল ইতিহাস যাকে বলে পুরা ধুমান্ধার কান্ড। বস্তিবাসী লীলেন ভাইয়ের বাসায় সেইবার হাজির হয়েছিল মডু হইতে ইচ্ছুক বহু সচল। কাসেলবাসী হিমু ভাইয়ের সাথে তো ধূগোদার প্রায় লেগেই গিয়েছিল। হয়রান আবীর, পরিবর্তনশীল আর স্বপ্নাহতরা তো ধূগোদার পক্ষ...