Archive - 2009

March 18th

একটি ফাঁকিবাজি পোস্ট

আনিস মাহমুদ এর ছবি
লিখেছেন আনিস মাহমুদ (তারিখ: বুধ, ১৮/০৩/২০০৯ - ৫:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কয়েকদিন আগে গিয়েছিলাম বোনের বাসায়। রাজ্যের কত জিনিস যে তার কাছে আছে, সেটা বলা মুশকিল। তার কাছে পাওয়া গেল ১৯৮৬ সালের ২৬শে জুলাই দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সঙ্গীত সমালোচনা। সেই সময়ে বাংলাদেশ থেকে একটি সাংস্কৃতিক দল ভারতের পশ্চিবঙ্গে গিয়েছিল। তিনদিনব্যাপী তাদের অনুষ্ঠানমালা নিয়ে একটি সরস আলোচনা, যা পাঠককে নিয়ে যাবে সেই সময়ে। আমাদের আজকের খ্যাতিমানরা তখন কেমন ছিলেন, সেটা জানত...


স্মৃতির ব্যাড সেক্টর থেকে

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর গোধূলি (তারিখ: বুধ, ১৮/০৩/২০০৯ - ১:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্মৃতিগুলো ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু ঘটনা আংশিক ব্ল্যাকআউটের কবলে পড়ে গেছে। কিছুতেই সেই অংশগুলো আর মনে করতে পারি না এখন। ঘুমাচ্ছিলাম, হঠাৎ ঘুম গেলো ভেঙে। খানিক চেষ্টার পরেও ঘুম না আসায় ভাবলাম মস্তিষ্কের ব্যাড সেক্টরে পড়ে যাওয়ার আগেই কয়েকটা ঘটনাকে ডিজিটাল ডায়েরীতে টুকে রাখি ডিজিটাল বাংলাদেশের অ্যানালগ নাগরিক এই আমি!

জীবনের প্রথম আকাশপথে ভ্রমনের অভিজ্ঞতা আর সিঙ্গ...


একাত্তরের অগ্নিসাক্ষী : আনোয়ার পাশার রাইফেল রোটি আওরাত

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি
লিখেছেন ফারুক ওয়াসিফ (তারিখ: বুধ, ১৮/০৩/২০০৯ - ১:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মুক্তিযুদ্ধের প্রথম উপন্যাস আনোয়ার পাশার রাইফেল রোটি আওরাত। যুদ্ধের ঘনঘোর তাণ্ডব পেরিয়ে উপন্যাসটি আমাদের হাতে এসে পৌঁছলেও, তিনি আর পৌঁছতে পারেননি। একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর আল বদরের ঘাতকেরা তাঁকে নিয়ে যায়। পৃথিবীতে এরকম নজির আর কি আছে? আর কাউকে কি নিজের জীবন দিয়ে লিখতে হয়েছে জাতীয় জীবনের করুণ-কঠিন ট্র্যাজিক আখ্যান?

আজ যদি আমরা জানতে চাই ওই ভয়াবহ দুর্যোগে কীভাবে বেঁচে ছিল জ...


অপমান

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি
লিখেছেন সুলতানা পারভীন শিমুল (তারিখ: বুধ, ১৮/০৩/২০০৯ - ৯:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের বগুড়ার ভাষা আসলে কতোটা কঠিন? বুঝতে কি খুব বেশি সমস্যা হয়? হলে হোক। এই ভাষা অনুবাদ করার জন্য আমাদের অতন্দ্র প্রহরী তো আছেই। হাসি
সতর্কতাঃ অনুবাদের অনুমতি দেয়া থাকলো। তবে চব্বিশ ঘন্টা পার হবার আগে যদি প্রহরী এই কাজে হাত দেয়, তাহলে তার হাতের সম্ভাব্য পরিস্থিতি সহজেই অনুমেয়...দেঁতো হাসি

অরা যখন হামার শাটের কলার ধরে থ্যাকনা দিয়ে, গলাত গামছা বাইন্দে হিড়হিড় কইরে টাইনে লিয়ে যাব...


রোদ্দুরমহল(২)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বুধ, ১৮/০৩/২০০৯ - ৯:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দুপুর ঢলে পড়ে বিকালের দিকে। বাড়ী এখন নিঝুম, আমগাছে ঘু ঘু ডাকে ঘুমেলা সুরে। দোতলার বারান্দায় ইজিচেয়ারে বসে থাকে অনুরাধা, দুপুরে ঘুম তার কোনোকালেই হয় না। আগে সেলাই, উলবোনা এইসব নিয়ে দুপুর কেটে যেতো, এখন তো আর সেইসবও নেই। হঠাত্‌ করে কালো আর হলুদ উল দিয়ে বোনা সেই বাঘা সোয়েটারটার কথা মনে পড়ে গেলো। তখন ঝোরা কিন্ডারগার্টেনে আর অভি তখন মাত্র বছর দুইয়ের। সোয়েটারটা ঝোরার জন্য বুনেছিলো প্...


ভূত ও ভাবী - জীবনের স্রোত আছড়ে পড়ে কংক্রিটের পাষাণে

জিজ্ঞাসু এর ছবি
লিখেছেন জিজ্ঞাসু (তারিখ: বুধ, ১৮/০৩/২০০৯ - ৯:০০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একদিন সকালে কৃষকেরা দেখে তাদের জমিতে রাতের আঁধারে চাটাইয়ের ঘর তোলা। সীমানা বেড়া ঘেরা বিশাল এলাকা জুড়ে। আর অপরিচিত মানুষের ভীড় সেখানে। শহরের সীমানার খুব কাছেই তাদের ধানের জমিগুলো। বর্ষায় প্রায় সারাবছর ডুবে থাকে। ধান ফলে শুধুমাত্র শীতের ক'টা মাস। তাও তেমন ভাল ফলন হয় না। শহরের আবর্জনার পানি খাল বেয়ে নদীতে এসে পড়ে। শহরের বিষ নেমে যায় এসব খাল দিয়ে। নদীর পানিতেও বিষ। আগে এসব নদীতে ...


‘ক’ ম্যাডামকে নিয়ে আমাদের কাব্য প্রতিভার (!!) শুরু এবং শেষ

সচল জাহিদ এর ছবি
লিখেছেন সচল জাহিদ (তারিখ: বুধ, ১৮/০৩/২০০৯ - ৫:৪১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নীড় সন্ধানী’র ‘জানিদুস্ত’ শিরোনামের লেখাটি পড়ছিলাম। কাকতলীয় ভাবে আমার জীবনেও এরকম একটি ঘটনা ঘটেছিল যা হঠাৎ করেই মনে পড়ে গেল আর লিখে ফেললাম সচলায়তনের জন্য।

সময়টা বোধকরি ১৯৯১, আমি তখন টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র। আমাদের শ্রেনীশিক্ষীকা এবং বাংলার শিক্ষীকা ছিলেন ‘ক’ ম্যাডাম (আমি আসল নামটা ব্যাবহার করতে চাচ্ছিনা)। ম...


যাবতীয় জন্মসূত্র ভুলে

সুমন সুপান্থ এর ছবি
লিখেছেন সুমন সুপান্থ (তারিখ: বুধ, ১৮/০৩/২০০৯ - ২:৪৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একে একে ফিরছে অপহৃত সব তারারা নিজস্ব কক্ষপথে
গ্রামে গ্রামে রিক্ত ধূপবাতি, মঙ্গলঘট জ্বলে গেছে যথারীতি
আমাকে সাথে নেয় নি কেউ; শুয়ে শুয়ে তমসা তীরে
তাই নিজের রক্তপানে নেশাতুর, তোমাকে ডাকি দূরাগতা

সকল বিচ্ছিন্নতা শেষে আমদের নীলাক্ত গ্রামে
এইবার তো ফিরো ক্রন্দনশীলা, এই প্রণতি রক্তপ্রণামে

এতোদিন সকল সম্ভাবনায় নিজেকে ধরে গেছি বাজি
তোমার কান্নার উজানে ফুটেছে এদেশের পাতাবাহারে...


একটি প্রেমের পদ্য সংগীত হয়ে উঠে

শাহীন হাসান এর ছবি
লিখেছেন শাহীন হাসান (তারিখ: বুধ, ১৮/০৩/২০০৯ - ১:৫৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কখনো কেউ আমাকে এমন ভিজিয়ে যায়নি
শেষে ভিজিয়ে গেল এক শ্রাবণ!
আমি শ্রাবণকে আলিঙ্গন করলাম
তবুও তুমি বললে যাই, (এঁ) বিদায় ॥

বাদবাকি বৃষ্টির টিপটিপ্‌ দিন
আমি হাটলাম, তোমার হাত ধরেই হাটলাম,
হঠাৎ ঈশ্বর, আমাদের হাত হারিয়ে ফেললেন!
তখনই তুমি বললে যাই, (এঁ) বিদায় ॥

আমরা তো যাচ্ছিলাম, স্বর্গের ভেতর দিয়ে,
অমরত্ব চাই না বলেও- পারিজাত ছুঁয়ে ছুঁয়ে।
হঠাৎ ঈশ্বর, আমাদের হাত হারিয়ে ফেললেন!
তখনই তুম...


অনিকেত ভেসে যায় চিল

মাল্যবান এর ছবি
লিখেছেন মাল্যবান [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১৮/০৩/২০০৯ - ১২:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যে দেখাগুলি হয়ে ওঠে না তার মাধুর্যের কল্পনায়
আকাশে ছবি এঁকে যায় মেঘ, আর ভেসে যায়
নৌকাগুলি অকূল দরিয়ায় । সে ছবির রঙে রঙে বাজে
না শোনা সুর । জলের ঢেউ ভেঙে ভেঙে বিনা কাজে
বয়ে যাওয়া পাতার মতন কথাগুলি না বলার আক্ষেপে
তেমনই নিশ্চুপ শুধু । সে পাতার ভাষাহীন অনুতাপে
অনিকেত বেদনার নীল ।

যে শব্দগুলি অধরা, বাস্পপুঞ্জের আবরণে ঢাকা
দৃশ্যের মতন আড়ালে রয়ে গেলো, স্মৃতির অতলে থাকা
গানের কলির ...