শৈশবে ভালো লাগা জিনিসগুলোর প্রতি আলাদা টান থাকে সবারই। শৈশবে অনেক জিনিসই বোধহয় আমরা টেলিস্কোপের নিচে রেখে দেখি। কত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যাপারগুলো ও কত্তো বিশাল লাগে সেই ক্ষুদ্র শিশুটির মনে।
আমার মনে আছে, বাবাদের অফিসের ইঞ্জিনিয়ারকে কি শ্রদ্ধাভরেই না বাবা পরিচয় করিয়ে দিতেন, আর সেই ইঞ্জিনিয়ার মানুষটিকে প্রায়ই আমার কাছে মনে হত কি গুরুত্ব...
[justify]১.
পড়ছি মুহম্মদ জাফর ইকবালের ভূত সমগ্র।
জাফর ইকবাল বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখায় যতটা পারঙ্গম, প্রতিষ্ঠিত এবং জনপ্রিয়, ভূতের গল্পে হয়ত ততটা নন। ভূতের গল্প বলে লিখেছেন পিশাচের। পার্থক্য? হয়তো ভূত কেবল ভয় দেখিয়েই খালাস, কিন্তু জাফর ইকবালের পিশাচ খালি রক্ত চায়। অনেক ভূতের গল্পই পড়েছি যাতে ভয়ের চেয়ে মজা ছিল ঢের বেশি। এই বইটাতে খালি পিশাচ, এবং এই নিম্ন প্রজাতির অপদেবতাদের নিয়ে সে...
আমাদের স্কুলের মাঠের এক পাশে বেশ কিছু ডাবগাছ ছিলো। সকালবেলা কিছু পিচ্চি সাইজের ঝরে পড়া ডাব গাছের নিচে পড়ে থাকত, আর আমি স্কুলে ঢোকার সময় সেগুলোরই কয়েকটা হাতে নিয়ে ক্লাসের দিকে হেঁটে যেতাম। এমনই এক ডাবকুড়ানো দুপুরে ক্লাসে ঢুকে এক নতুন ছেলের দেখা পাই। হ্যাংলামতো ভালোমানুষ চেহারার শ্যামলা এই ছেলেটাকে প্রথমদিন তেমন আহামরি কিছু মনে হয়নি। কিন্তু দিন যত যায়, তত এই ছেলের তেলেসমতি বাড়...
[justify]অফ-টপিকঃ নগরীতে খুন বেড়ে গেলে নগর-লেখকদের ওপর কিছু দায় বর্তায়। তাঁরা কিছু থিয়োরি কষেন। ভয়ার্ত নগরবাসী নতুন আতংকে শিহরিত হয়। রসু খাঁ। গুলশানে প্রেমিকার পিতামাতা খুন। কর্পোরেট খুনোখুনির ঘটনাকে পণ্য করে- এই সুযোগে নগর লেখকদের পরিচিতি বাড়ে। অথচ গ্রামাঞ্চলে ঘটা অজস্র খুনোখুনি এঁদের নজর এড়িয়ে যায় মুনাফা বানানোর সুযোগ থাকে না বলে। নগরকে রাষ্ট্র ধরে নেয়া এঁদের জন্য অত্যাবশ্যক ...
কলেজ নিয়ে গল্প লেখার কি কোন শেষ আছে? না, নেই। কলেজের স্মৃতি ভুলে গেছেন এমন কেউও সম্ভবত নেই। কলেজের জীবন আমাদের ছাত্র জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ দখল করে আছে। স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়-অঙ্গন কাঁপানোর অভিপ্রায়ে কলেজ জীবন কারো কারো জন্য একটা প্রস্তুতিকাল। আবার অধিকাংশের জন্যই কলেজ হয়ে ওঠে জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছার প্রথম সিঁড়ি।
নটরডেমে যেদিন ওরিয়েন্টেশন হয় সেদিন ছিল ঢ...
ছোটবেলায় তেজগাঁ স্টেশনে হাঁটতে যাওয়া ছিল একটা নিয়মিত ঘটনা। মানুষ দেখতে আমার বরাবরই ভালো লাগে, স্টেশন মানেই বারো ভূতের জায়গা, নানান কিসিমের বদলোকও আছে সেখানে আবার গ্রাম থেকে সদ্য আসা নিরীহ ভালো মানুষও কম নয়। স্টেশনে অনেক রকম লোকজন থাকায় নানান মনোরঞ্জনের ব্যাপার থাকত, আমার সবচেয়ে পছন্দের ছিল বানরের খেলা। বানরকে তার মনিব বলত মুক্তিরা (মুক্তিবাহিনী) কিভাবে ভাঙ্গা ব্রীজ পার হয় তা...
(১)
আজকাল আমি হঠাৎ হঠাৎই কেমন বিভ্রান্ত হয়ে যাই। বিভ্রান্তিটা নিজেকে নিয়েই। এই যেমন সব কাজ শেষে লাইটটা নিভিয়ে শুতে যাব, চোখ চলে গেল বাইরের আঁধারে। পায়ে পায়ে জানালার সামনে গিয়ে দাঁড়াই। নিস্তব্ধ রাত। জবা গাছটার ঝাঁকড়া জমাট ছায়ায় জোছনার জাফরি কাটা আঙিনা। ফিনফিনে বাতাস। কালচে জবার হাতছানি। রাতের প্রাণীদের চলাফেরার খস্ খস্ শব্দ। মনে হয় যেন বাইরের আলো-আঁধারিতে কিছু একটা আছে। প্রব...
আমাকে তিনি গল্প বলেন। ছবি দেখান। সম্ভবত সেটা এক বছর বয়েসের ছবি। সাদাকালো ছবি। একই বয়েসের দুজনের দুটি ছবি। কিন্তু পোষাক একি। একজনের সাত বছর পর আরেকজনের ছবি তোলা হয়েছে। প্রথম ছবিটা তুলে যত্ন করে তুলে রাখা হয়েছিলো পোষাকটা। ছবির নিচে লেখা আছে এপ্রিলের ৯ তারিখ... এটা ভুলও হতে পারে আমার।
আরেকটা ছবি রঙিন। বিখ্যাত আলোকচিত্রি আমানুল হক এর তোলা। প্রাণখোলা হাসিমাখা সেই ছবিটা। ছবির বর্ণ...
[শিল্পীরা এমনি এমনি নমস্য হন না ! ইন্টারনেট থেকে আহরিত ও ব্যবহৃত যে ভাস্কর্য-ছবিটা দেখছেন এখানে, ভাবতেই অবাক হই, আমার বর্তমান অবস্থাটা শিল্পী আগেভাগে বুঝলেন কী করে ! বিদ্যুৎ সমাচার নিয়ে আমার কোন কথা নাই। কেবল আরেকজন নমস্য ব্যক্তিকে শ্রদ্ধা জানাতেই এবারের না-ছড়াটার জন্ম। সেই মহাজন ব্যক্তির প্রচারিত বাণীটিকে স্বতঃসিদ্ধ জ্ঞান করছি। তিনি নাকি ঘণ্টায় ঘণ্টায় বিদ্যুতের আসা-যাওয়া নি...
৩
যুক্তি ভ্যান রিটেনের পক্ষে এবং গতিপথও তার সুনির্দিষ্ট। এশাম শ্রদ্ধাভরে ক্ষমাপ্রার্থনার ভঙ্গিতে বসেই রইলো, যেন ক্লাস ফোরের একটা বাচ্চা বসে আছে হেডমাস্টারের সামনে। ভ্যান রিটেন উপসংহার টানলো।
“নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পিগমিদের খুঁজে বেড়াচ্ছি, পিগমিদের পেছনেই থাকবো আমি।”
“তাহলে হয়তো জিনিসগুলো আপনাকে টানবে,” খুব শান্ত গলায় বলে এশাম...