কড়া কথা বলে ফেলতে পারাটা একটা গুনের পর্যায়ে পড়ে বলে শুনেছি।
আমি মনে করি না আমার মাঝে সেই গুনটা তেমন পরিমানে আছে। আমার শক্তির একটা বড় অংশ নষ্ট হয় কথা পালিশ করে বলতে গিয়ে। এতে কথা গুলো শুনতে ভালই শোনায়---কিন্তু সেইসব কথার কৃত্রিমতাটাও কানে বাজে।
রুঢ় আচরন করতে পারাটাও নাকি একটা গুণ। আমার মাঝে এই গুনটাও খুব বেশি পরিমানে নেই।আমার মাঝে মাঝে মনে হয়,রুঢ় আচরণ করতে গেলে যে সাহসটুকুর দরকার ...
স্মৃতির শহর কিন্তু থাকার জন্য দারুন। ওখানে না-গরম, না-ঠান্ডা, লোকজনের ব্যবহার মধুর, রিকশা ভাড়াও বেশ কম। কলে পানি পাওয়া যায় ঠিকমতই, ধূলাবালির প্রকোপ তেমন নেই, মশার উপদ্রব সহনীয়, অসুখ বিসুখের বালাই নেই, কাজকর্ম করলেও চলে, না করলেও অসুবিধা নেই। লোডশেডিং শুধু পূর্ণিমা রাতেই হয়, সাথে একটু উতল হাওয়াও থাকে। বিনা টিকেট, বিনা পাসপোর্টে সেখানে ঢোকা যায়, যতদিন খুশি থাকুন সেখানে কেউ কিছু বলবে ...
সচলে আসি আর সব বাঘাদের ছবি দেখে মাথা চুলকাইতে চুলকাইতে যখন মাথার চুল অর্ধেক ধ্বসায় ফেলতেছি, তখন আর থাকতে না পেরে কিছু ছবি পুস্টায় ফেললাম। জানি, প্রথম নজরেই সবাই বলবেন, এমন ফটুক তো যে কেউ তুলতে পারে, খামোখা এখানে পুস্টায় সার্ভারের জায়গা নষ্ট করেন কেলা? কিন্তু সমস্যা হইল যে, অন্যেরা পারলেও আমি তো পারি না, তাই যা পারি তাই নিয়েই আনন্দে আটখানা থেকে ষোলখানা হবার উপায় হয়। ব্যাপার...
পকেট উপচে পড়া ক্যপস্টানের তাস,
চোখে ছুরি, তর্জনীতে মার্বেল,
এবার ঠিক প্রতিপক্ষ ঢুকে যাবে গর্তে
মাঞ্জামারা হাত এত কাবু নয়, তবু
তোমার লেজফিতার আট আনা কত উড়িয়েছি ধুলায়-
বলেছিলে দেখে নেবে।
দেখেতো নিয়েছো ঠিকই,
তোমার মৃগনাভে খেলে আজ বর্গী আঙুল।
বালকেরা জানেনা জীবন কতটা প্রবঞ্চক,
বালিকারা তবু ঠিকই শিখে যায় জাগতিক পাটিগণিত।
বেশ অনেক বছর কঠিন বাস্তব আমাকে ঘটমান বর্তমান থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল। ইদানিং বেশ সময় পাচ্ছি, ব্লগে ব্লগে ঘুরে বেড়াই। নতুন প্রজন্ম কি করছে তা বুঝার চেষ্টা করি। (হায় হায়, নিজেই নিজেকে পুরাতন প্রজন্ম বানিয়ে দিলাম!!) অন্যান্য ব্লগে যদিও কিছু লেখা ভাল আসে, কিন্তু প্রায় সময়ই মন্তব্য পড়তে গিয়ে মাথা ঘুরে। ভাষা, রুচি, শালীনতা কোনকিছুই সংযত নয়। সেই তুলনায় সচলায়তনে লেখা পড়ে ভাল লাগে, যদিও অন...
পরীক্ষামূলকভাবে কিছুদিনের জন্য আড্ডাঘর চালু করা হয়েছিল। কিন্তু এটা আগের মতই প্রচুর ব্যান্ডউইথ টানছিল এবং সচলায়তন ধীর গতির করে দিয়েছিল। এ কারণে আড্ডাঘর আপাতত বন্ধ রাখা হল।
কিন্তু আড্ডাঘরের বিপুল জনপ্রিয়তাও অস্বীকার করা যায় না। তাই নীচের অল্টারনেট সমাধানগুলি যাচাই করে দেখা হচ্ছে:
১। ব্যাকআপ সার্ভারে আড্ডাঘর হোস্ট করা
২। সচলায়তন আপগ্রেডের পর উন্নততর চ্যাট সার্ভার সফটওয়...
শূন্য
লতা যখন এ বাসায় আসে তখন ওর বয়স নয় কি দশ। আন্দাজ করা। নিজের বয়স জানত না ও। আট সদস্যের অভাবের সংসারে ক্ষুধার্ত মুখগুলোর বয়সের হিসেব কেউ রাখে না। মেয়ে হলে তো নয়ই।
ওরা ছিলো চার বোন, দুই ভাই। ভাইবোনদের মধ্যে লতা দ্বিতীয়, বোনদের মধ্যে বড়। বড় ভাই রাসেল ঠেলা চালাত। বাবা আব্দুর রব শেখ একজন মৌসুমী ভিখিরি। ঈষৎ ত্রুটিপূর্ণ পায়ের জোরে ভরা মৌসুমে ভিক্ষে করে খান, বাকিটা সময় ঘরে বসে ...
আজ ২২ মার্চ। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের জন্মদিন। ১৯৯৬ সালে এই দিনে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর যাত্রা শুরু করে সেগুন বাগিচার একটি সাবেকী বাড়ি ভাড়া নিয়ে। আটজন ট্রাস্টির উদ্যোগে জাদুঘরটি গড়ে ওঠে। প্রথমে তাঁদের প্রধান ভাবনা ছিলো জাদুঘরে সংরক্ষণ করার মতো স্মারক পাওয়া যাবে কী না? মুক্তিযুদ্ধের স্মারক যারা এতোগুলো বছর জমিয়ে রেখেছেন হৃদয় দিয়ে, তাঁরা ...
বানিজ্যিক ভাবে উৎপাদিত কার্পাস সুতি সুতা তৈরীর মূল উপাদান।
জাত ভেদে ফুলের রঙ বিভিন্ন হতে পারে, সাধারণত সাদা, হলুদ ও গোলাপি রঙ এর ফুল দেখা যায়। আমাদের দেশে কার্পাস গাছ দুই থেকে আড়াই ফুট লম্বা হয়, কিছু কিছু জাত ছয় ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। ফুল থেকে ফল এবং সেই ফল শুকিয়ে ফেটে গেলে তুলা বের হয়।
নীচের ছবি গুলো সেই ফল শুকিয়ে ফেটে যাবার।
কার্পাস মূলত ভারতীয় উপমহাদেশ থেকেই বিস্তার লা...
আমরা যেদিন যুথচারী হলাম
সেই দিন আমাদের কাছে স্বাধীনতা এসে নতজানু হল
আমাদের অস্থি ও মজ্জার ভেতরে যে ক্ষুধা আর আকাঙ্ক্ষা
আদিগন্ত ডুবিয়ে রেখেছিল তার প্রকাশ পেল সেই সকালে, কিন্তু
তারপরই আমরা আবার বিভক্তির বিশাল শব্দ গণনা শুরু করলাম
এক দুই তিন চার পাঁচ.........
বিভক্ত হতে হতে আমরা আমাদের সেই পরাজিত প্রতিপক্ষকে
শক্তির উৎস মুখ খুলেদিলাম, শানিত হওয়ার জন্য
তারা তাদের রশদ আরো বাড়িয়ে নিল,...