বেশকিছুদিন আগে কোনো এক বিকেল বেলা হলের মাঠে বসে বন্ধু কায়েসের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম। ওর সাথে আড্ডা মানেই সাহিত্য, গণিত, বিতর্ক আর বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠা। কেননা, এইসব বিষয়ে আপ-টু-ডেট থাকার ব্যাপারে আমার বড় একটা উৎসই হচ্ছে ও। ভার্সিটির ক্লাস, সেশনাল আর এক্সামের এতো এতো ব্যস্ততার মধ্যেও ও যে কীভাবে এইসব কো-কারিকুলাম এক্টিভিটিজের জন্য সময় বের করে, সেটা আমার কাছে একটা রহস্যই। প্রথমআলো বন্ধুসভা, গণি
শুরুতেই বলে নেই, আমি লেখাটা শুরু করেছিলাম তাসনীম ভাইয়ের শিশুপালন-১২ এর একটা প্রতিমন্তব্য করতে গিয়ে। দৈর্ঘ্য বড় হয়ে যাচ্ছে দেখে মনে হল, পোস্ট দিয়ে দেই, দেখা যাক আলোর মুখ দেখে কিনা। হলে তো উদ্বোধন করেই ফেললাম।
[justify]
লোকটার অসহায় ভঙ্গি দেখে অনেকের মায়া হতে পারে, কিন্তু বাসুর হল না। সে একমনে ছুরিতে শান দিতে লাগল।
হাঁটু গেড়ে ও লোকটার সামনে বসল। আশেপাশে হালকা বাতাস বইছে ঠিকই, কিন্তু এতে লোকটার এতটা কেঁপে ওঠার কথা ছিল না। বাসু তার দমকা হাসিতে ফেটে পড়লো। ‘এমা, তুই তো ভয় খেয়ে আগেই মরে যাবি রে !’ হাসির দমকে লোকটার ভয় আরও বেড়ে যায়, কাঁপতে থাকে মৃগী রোগীর মত।
ওরা এক বাসায় তিনজন থাকে। রাসেল, তন্ময় আর তাহসীন। ব্যাচেলর গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টদের জন্যে এটাই সবচেয়ে ভাল ব্যবস্থা। একটা দুই বেডরুমের অ্যাপার্টমেন্ট। একজন লিভিংরুমে থাকে। খাওয়া দাওয়া একসাথে, রুটিন অনুযায়ী রান্না। ওদের অ্যাপার্টমেন্টের ঠিক উপরতলায়ই একটা এক বেডরুমের ফ্ল্যাট। কামালি ভাই ওখানেই থাকে। কামালিকে এখানকার সবাই 'কামালি ভাই' বলেই ডাকে।
[justify]সকালে ঘুম থেকে ওঠা হলেও বিছানা ছাড়তে দেরি হয়। অক্লেশে নানা কিছু মাথায় আসে। এমনকি দিয়ার কথাও। দিয়া আমায় ছেড়ে যাবার পরে বিছানায় ফাঁকাটুকুন মাঝে মধ্যে ভোগাতো। এখন সব ঠিক। আরো কিছুক্ষণ শুয়ে এপাশ ওপাশ করি। পরে উঠি। বাথরুম করতে গিয়ে হাগা কষা মনে হলে বিকালে প্রুন জুস কেনার কথা ভাবি। দাঁত মাজতে গিয়ে আয়নায় দেখতে পাই একটা ব্রণ না ফোঁড়া নাকের নিচে জখমি চেহারা নিয়ে নির্বিকার বসে। চিবে চিবে দেখলেও ব্য
বিজ্ঞাপন দেখিয়া দরখাস্ত করিতে না করিতেই আদমের চাকরি জুটিয়া গেল।
বিজ্ঞাপনে বলা ছিল, প্রার্থীকে অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন হইতে হইবে। শিক্ষাদীক্ষার পরিমাণ তেমন একটা না হইলেও চলে। কিন্তু প্রার্থীকে টিকিয়া থাকিবার ব্যাপারে পারদর্শী হইতে হইবে। তাহার চামড়াটি কিঞ্চিৎ পুরু হইলে ভাল। সর্বোপরি, গুরুজনের কথা মান্য করিতে হইবে। তনখা আলোচনাসাপেক্ষ।
১। নী
গোল জানালাটির সামনে এসে দাঁড়ায় নী। আস্তে আস্তে হাত বাড়িয়ে ছোঁয় নীল বোতামটাকে। এখন সে হাত পায়। কয়েকমাস আগেও অত উঁচুতে হাত যেতোনা নী'র। তখন ওর সঙ্গে ওরাককে আসতে হতো। কিন্তু নী'র ভালো লাগতো না, কেমন যেন মনে হতো একা আসতে পারলেই ভালো হতো।
কম্পিউটার ঝামেলা করলে যেমন রাইট বাটন ক্লিক করে রিফ্রেশ চাপ দেই, আর তাতেই এই যন্ত্র মহাশয় নতুন উৎসাহে কাজ শুরু করে, আমার জীবনের সেই রিফ্রেশ বাটনের কাজটা পালন করে রন্টু। কেউ আবার ভাববেন না এটা তার আসল নাম। এই নামটা ছাড়া তার আরও সাত আটটা সুন্দর সুন্দর নাম আছে। একেকটা একেকজনের দেয়া। শান, সৌরভ, সৌমেন ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু শেষ মেষ রন্টু নামটাই টিকে গেল, বাকিগুলো সব বাদের খাতায়।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি : এটা একটা মৃত স্ট্যাটাস
অপ্রতিমের ডেস্ক
ফোনটা তৃতীয়বার রিং করে কেটে গেলো। আরেকবার। দ্যা ডায়াল্ড নাম্বার ডাস’নট অ্যাকজিস্ট প্লিজ চেক দ্যা নাম্বার এন্ড ডায়াল এগেন। তিন মিনিট কেটে গেলে।
হ্যালো। সালাম ওয়ালেকুম।
কেমন আছো।
জি। কে ? চিনতে পারলাম না?
ও, আচ্ছা। ঠিক আছে। ভালো থেকো।
আগরতলার রাজপথে দাঁড়িয়ে ব্যস্ত নগরে কান্নায় ভেঙে পড়ল ছেলেটি।
***********
[b]