Archive - 2012

December 13th

ডিসেম্বর - অকপট কথন

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি
লিখেছেন প্রৌঢ় ভাবনা [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১২/১২/২০১২ - ৯:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ডিসেম্বর হচ্ছে বিজয়ের মাস, আবেগের মাস, বেদনার মাস, অহঙ্কারের মাস, ইতিহাস সৃষ্টির মাস।


যারা বাদুড় (মানব) সম্প্রদায়...

সাফিনাজ আরজু এর ছবি
লিখেছেন সাফিনাজ আরজু [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১২/১২/২০১২ - ৯:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]পিচ্চিকালে গাছ থেকে বাদুড় ঝোলা দেখতে যাওয়া আমার অন্যতম পছন্দের কাজ ছিল ।প্রায় সন্ধ্যায় সেজ মামার হাত ধরে পদ্মা নদীর পাড়ে, শাহ্‌ মখদুম কলেজের ধারে যে বিশাল প্রাচীন বটগাছটা ছিল,সেখানে বাদুড় ঝোলা দেখতে যেতাম। সেইসব সন্ধ্যায় কালো কালো বাদুড়ের উল্টামুখো ঝুলে থাকা দেখে আমি খুব রোমাঞ্চিত হতাম। কি ভীষণ রহস্যময় মনে হত সেইসব সন্ধ্যাগুলো। তারপর একদিন একটা গল্প পড়লাম বাদুড়দের নিয়ে। একটি


ছবিব্লগ: আমার বাংলাদেশ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১২/১২/২০১২ - ৯:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

F11


আমি অভিশাপ দিচ্ছি নেকড়ের চেয়েও অধিক পশু সেই সব পশুদের

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: বুধ, ১২/১২/২০১২ - ৬:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রতি বছর ডিসেম্বর মাস ফিরে আসল আমার বাবার কথা খুব মনে পড়ে, ১৯৭১ সালের শেষের দিকে, বাবার বয়স তখন হয়ত ২২ ছুঁই ছুঁই, নাকি আরও কম, জমাদার কৃষকের ছেলে, লেখাপড়া করে গ্রামের স্কুলের শিক্ষক হয়েছিলেন ( তখনো উচ্চ শিক্ষার্থে শহর অভিমুখে যাত্রা করেন নি), কিন্তু ১৯৭১এর সম্মুখ সমরের মুক্তিযোদ্ধা, অনেক অনেক বার বেঁচে গেছেন শত্রুর গুলী থেকে, যুদ্ধাহত প্রিয় বন্ধুকে পৌঁছে দিয়েছেন সীমান্তের অপর পারের হাসপাতা


December 12th

ডিনাইয়াল

সাফি এর ছবি
লিখেছেন সাফি (তারিখ: বুধ, ১২/১২/২০১২ - ৫:০২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"বিশ্বজিৎকে ছাত্রদল মেরেছে বস, খোঁজ নিয়ে দেখেন।"

"শুধু বিশ্বজিৎকে নিয়ে সবাই মাতছে কেন? ঐদিন তো আরো ৩জন মারা গেছে হরতালের সহিংসতায়। সুশীল/মানবতাবাদীরা শুধু বিশ্বজিৎকে নিয়ে পরে আছে কেন?"

"বিশ্বজিৎকে যারা মেরেছে তারা শিবির, ছাত্রলীগে ইনফিল্ট্রেট করেছে। ছাত্রলীগের বদনাম করতে।"


অপেক্ষা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১২/১২/২০১২ - ৩:২৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

টুসটাস করে কি যেন ফুটছে। আরে সাথে একটা গান চলছে ‘পাল যুগে এ এ এ...পাল যুগে এ এ এ’। ঘুম ভেঙ্গে গেল। জানালা দিয়ে এক টুকরো রোদ এসে পড়ছে গায়ে। শীতের সকালের রোদ। তাকিয়ে দেখি আমার ছোট ভাই কোত্থেকে যেন সাইকেলের চাকা মোড়ানো থাকে যেই ছোট ছোট ফোটকাওয়ালা প্লাস্টিক দিয়ে, সেটা নিয়ে ফোটাচ্ছে আর সুর করে পড়ছে, ‘পাল যুগে এ এ এ...পাল যুগে এ এ এ’। আমি ডাক দিলাম, ‘নিষাদ, কি করছ!’ সাথে সাথে ভদ্র মানুষের মত


বসন্তমঞ্জরী

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বুধ, ১২/১২/২০১২ - ২:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সে ছিলো অনেক আগের এক বসন্তকাল। তখন এক চওড়া নদীর তীরের ছোট্টো শহরে থাকতাম। বসন্ত এলেই চারিদিকে কেমন একটা উল্লাস জেগে উঠতো। প্রকৃতিতে আর মানুষের সদরে অন্দরে। শীতে সব চারিপাশ কেমন ধূসর আর নীরক্ত লাগতো, সব পত্রমোচী গাছেরা তখন পাতাহীন ন্যাড়া হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতো। যেই না আকাশের দক্ষিণে হেলে পড়া সূর্য সরে আসতো অনেকটা উত্তরে, ফুরফুরে দক্ষিণা হাওয়া বইতে থাকতো, শীত বিদায় নিতো। রংবাহারী ফুলে আর মনোহর সবুজ কিশল


পায়ের ভেতর এখনো গুলি আছে (যুদ্ধাহতমুক্তিযোদ্ধার ভাষ্য)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১১/১২/২০১২ - ১১:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সালেক খোকন
এক মুক্তিযোদ্ধার পায়ের ভেতর এখনো গুলি আছে। একচল্লিশ বছর ধরে শরীরের ভেতর বাসা বেঁধেছে সে গুলিটি। জোরে হাঁটতে কিংবা সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে গুলিটি কামড়ে ধরে মাংসের ভেতরটায়। যন্ত্রণায় তখন ছটফট করেন তিনি। পাকিস্তানিদের গুলি মুক্তিযোদ্ধার দেহে। এটা মেনে নেওয়া সত্যি কঠিন। তাই নীরবে নিভৃতে কেটে যাচ্ছে ওই মুক্তিযোদ্ধার জীবন।


দখিনের জানলায়: ফিরে দেখা শেষ পর্ব

তানিম এহসান এর ছবি
লিখেছেন তানিম এহসান [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ১১/১২/২০১২ - ১০:২৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]দখিনের দরোজা আর জানালা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের ভেতর ব্যাপক আকুলতা আছে, কিন্তু চোখ খুলে দেখার প্রয়োজন আছে সব দিক দিয়ে। আমি গত তিন বছর দখিনে থেকেও সারা বাংলাদেশে কাজ করেছি, দেখেছি সব আছে আমাদের কিন্তু মানুষের সবকিছু মেনে নেয়ার প্রবণতা বেড়ে গেছে। আর কিছু জিনিস শুধু আকার-আয়তন নয়, বরং মন্ত্রণায় বেড়ে গেছে বহুগুণ বেশি। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ধর্মান্ধ নয়, ধর্মভীরু কিন্তু সেই ধর্মভীরুতা


কুদ্দুস পার্ক : বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদের অভয়ারণ্য

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ১১/১২/২০১২ - ১০:২৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার এক গুরজন একদিন আচমকা একটা প্রশ্ন করলেন। তিনি প্রায়ই আচমকা প্রশ্ন করে আমাকে ভড়কে দেন। ভড়কে যাই, কারণ তার প্রশ্নগুলো একটু ভিন্ন ধাঁচের। তাই আপত দৃষ্টিতে প্রশ্ন সহজ মনে হলেও উত্তরটা তত সহজে দিলে চলে না। প্রশ্নের নিরীহ-দর্শনের আড়ালে গভীর কোনো তাৎপর্য লুকিয়ে থাকে, তেমনি উত্তরের ভেতরেও ওই তাৎপর্যের প্রতিফলন চান।
যাক, যে কথা বলছিলাম। তাঁর এদিনের প্রশ্নটা ছিল, ‘বলো তো দুনিয়ার সবচেয়ে হিংস্র প্রাণী কোনটা?’
এই প্রশ্নটা আমাকে বিব্রত করতে পারে নি। ভাবতে হয় নি এক মুহূর্তও। কারণ, তিনি যে উত্তর আশা করেন, তা আমিও বহুকাল থেকে নিজের ভেতরে পুষে রেখেছি। কী জানি, কবে আমার মনে প্রথম উদয় হয়েছিল মানুষই দুনিয়ার সবচেয়ে হিংস্র প্রাণী? অনেকের হয়তো দ্বিমত থাকতে পারে, তবু সবকিছুর বিচারের শেষ রায় কিন্তু মানুষের বিপক্ষেই যায়।