Archive - 2013

January 21st

জহরতি কারবার

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: সোম, ২১/০১/২০১৩ - ৭:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঢাকার নবাব শায়েস্তা খাঁর সাথে যখন আরাকানের রাজার সঙ্গে যুদ্ধ চলছিল তখন আমি ঢাকা যাই। শায়েস্তা খাঁ ছিলেন অতি চতুর ব্যক্তি, আরাকান রাজার অফিসারদের কোথায় কাকে কত টাকা ঘুষ দিতে হবে তা ছিল তার নখদর্পনে। এছাড়া আরাকানরাজের অধীনে কাজ করা পর্তুগীজদেরও তিনি ভাগিয়ে আনেন।

১৪ জানুয়ারি আমি নবাবকে সেলাম জানাতে তার প্রাসাদে যাই। তার জন্য ভেট নিয়েছিলাম সোনালি জরির কাজ করা রেশমি কাপড় আর বহুমূল্য একটি পান্না। সন্ধ্যায় আমি ওলন্দাজদের কুঠিতে ফেরত যাই, তাদের সাথেই আমি থাকছিলাম ঢাকায়। সেখানে নবাব পাঠালেন বেদানা, দুইটি পারস্যের তরমুজ আর তিন রকম আপেল।

পাদটীকা

  • ১. ফরাসী পর্যটক ও জহরতওয়ালা জঁ ব্যাপ্তিস্ত তাভের্নিয়ে

ভেঙ্গে মোর ঘরের চাবি...০১০

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি
লিখেছেন জোহরা ফেরদৌসী (তারিখ: সোম, ২১/০১/২০১৩ - ১২:২৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাতাসে শীতের গন্ধ । প্রকৃতিতে রংয়ের উৎসব শেষ করে পাতাদের ঝরে পড়াও শেষ । বাদামী রংয়ের শুকনো পাতা মাড়িয়ে বাড়ি ফেরার পথে কোথা থেকে ভেসে এল অনেক দিন আগের এই রকম শীতের কোন ইউক্যালিপটাসের শুকনো পাতার গন্ধ...নজরুলের সমাধির পাশে লাইব্রেরীর গেইটে লাল রঙ্গা বাস থেকে নেমে কলা ভবন পর্যন্ত হেঁটে আসতে আসতে মাটি থেকে কুড়িয়ে নিতাম ইউক্যালিপটাসের শুকনো পাতা । একটু ছিড়লেই সেই পাতা থেকে বের হ’ত অদ্ভুত এক সৌরভ...কোথা হতে ভেসে এলো ফেলে আসা দিনের গায়ে লেগে থাকা সেই সৌরভ...আর তার হাত ধরে চলে এল বন্ধুর মত বন্ধুদের স্মৃতিরা...


January 20th

কথাসূত্র ২

ফাহিম হাসান এর ছবি
লিখেছেন ফাহিম হাসান (তারিখ: রবি, ২০/০১/২০১৩ - ৪:২৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গান শিখতে হলে নিয়মমাফিক রেওয়াজ করা বাধ্যতামূলক, ছবি আঁকতে গেলে প্রচুর খসড়া স্কেচ করা লাগে হাত পাকানোর জন্য। অথচ ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে আমার ভাবটা এমন যে বেঢপ-বিশাল একটা ক্যামেরায় টিপি দিলেই ছবি উঠবে। কোন পূর্ব-প্রস্তুতি ছাড়া ভাল ছবি তোলা কঠিন, কারণ ফটোগ্রাফির কোন রুল অফ থাম্ব নাই। এই কথাটা টের পাই যখন কাউবয় স্টাইলে আমি ক্যামেরাটা ড্র করি, বিল্ট-ইন মিটারের উপর ভরসা করে শাটার টিপে মেমোরি কার্ড ছবিতে ছব


ব্যাকটেরিয়া সর্বশক্তিমান!

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি
লিখেছেন অনার্য সঙ্গীত (তারিখ: রবি, ২০/০১/২০১৩ - ৭:৫৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এবার আপনাকে ব্যাকটেরিয়াদের মহাশক্তির কথা বলি। মানুষের কোষ প্রয়োজন মত বদলে নেয়া যায় সে আমরা জানি মাত্র বছর ছয়েক আগে। আর মানুষের শরীরে বসে ব্যাকটেরিয়ারা এই কাজ করছে অন্তত চার হাজার বছর ধরে! এরা মানুষেরই কোষ নিজেদের মত করে বদলে নিতে পারে বলে এই সেদিন দেখালেন তোশিহিরো মাসাকি নামের একজন গবেষক। এরপর থেকে এই বিষয়টা মনে হলেই আমি হেসে ফেলছি! কীরকমভাবে মানুষেরা ব্যাকটেরিয়ার হাতের পুতুল!


সান্ধ্যকালীন ট্রেনে গোপন যাতায়াত

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব ময়ূখ রিশাদ [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২০/০১/২০১৩ - ২:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

# শেষ হয়ে যাওয়া বিকেলের রোদ আর শুরু হতে যাওয়া রাতের আকাশ আমাকে প্রায় দ্বিধায় ফেলে দেয়। আঙ্গুলের ফাঁকে হাহাকার মেশানো বিষণ্ণতা নিয়ে তো এখন দিব্যি ভালো আছি। সবচেয়ে ঝামেলা হয় যখন দ্বিধাটি কী নিয়ে সেটাই বুঝে পাই না। সেদিন হয়ত আড্ডায় যাওয়া হয় না, কোনো মেয়েকে শিস দেওয়া হয় না, কাউকে নিয়ে টিপ্পনী কাটা হয় না। ফোনের পর ফোন আসে, ফোন বেজেই চলে আর আমি চুপচাপ বসে থাকি জানালার ভাঙ্গা কাঁচের সা


অভাবে কি স্বভাব নষ্ট হয়?

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি
লিখেছেন প্রদীপ্তময় সাহা [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২০/০১/২০১৩ - ১২:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিল্টুকে আপনারা সকলেই চেনেন। ও শহরের বড় রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে লিফলেট বিলি করে। আমাদের ব্যস্ততার সময়ে অপ্রয়োজনীয় লিফলেট বাড়িয়ে দিয়ে বিরক্ত করে। ওর নাম হয়ত শহর থেকে শহরে পালটে যায় কিন্তু ব্যাপারটা একই থাকে। আমরা অনেকেই এইসব উটকো ঝামেলা পাত্তা দিই না, অনেকে হাতে নিয়ে একটু সামনে গিয়ে ফেলে দিই আবার কেউ কেউ মাঝে মধ্যে দু-একটা লিফলেট পকেটেও পুরে ফেলি। যাই হোক, কথা হচ্ছিল বিল্টুকে নিয়ে।


January 19th

সীমান্তরেখা-৪

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: শনি, ১৯/০১/২০১৩ - ৩:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সীমান্তরখা-১, সীমান্তরখা-২, সীমান্তরখা-৩

চতুর্থ অধ্যায়

ব্যাপারটা বুঝতে পারলেন না মোজাম দেড়ে। বিরক্ত হলেন বিডিআরদের ওপর। তবু দরজা খুলতে হলো।
‘কী ব্যাপার, এতো রাতি দরোজা খুইলে নিলে কেনো গা?’ বিরক্তি উগরে দিলেন খাকি পোশাকের বিডিআর জওয়ানদের ওপর।
‘চাচা,’ মুখ খুলল এক জওয়ান। ‘সারগর্তটা কি আপনার?’
‘হ্যাঁ, আমার বৈকি।’ মোজাম দেড়ের দ্বিধাহীন জবাব। ‘তা...?’
‘মানে, আপনার সারগর্তে খুঁড়ে আমরা ছ’বস্তা চিনি পেয়েছি। ওগুলো বোধহয় আপনার।’
রাগে লাল হয়ে উঠল মোজাম দেড়ের কৃষ্ণবরণ মুখমণ্ডল। কোনোমতে নিজেকে সামলে বললেন, ‘আমার বাড়ির চাকর-বাকরাও বিলাক করে না, এ কথা মুখ থেইকে ছাড়ার আগে একবার আমার সম্পক্যে খোঁজ-খবর করা উচিৎ ছিল তুমাদের।’


রক্তহৃদয়

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শনি, ১৯/০১/২০১৩ - ৪:৫৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি তোর চোখে চোখ রাখি,
দৃষ্টি মেলে দিই ভিতরে, আরো ভিতরে-
যেখানে তোর রক্তিম হৃদয় দপদপ করছে।.....


হাওয়ার মুখে বাঁশি

শাহীন হাসান এর ছবি
লিখেছেন শাহীন হাসান (তারিখ: শনি, ১৯/০১/২০১৩ - ২:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মশক মিছিল

মেঘের মতো থমথমে মন নিয়ে ফুলের দিকে তাকালে, আপেলগুলো
ঝরে পড়ে আছে, পাখিদের অনিহাও দেখলে। ছোট্ট খালের ধারায়
গড়িয়ে যাবে সন্ধ্যা, দূরে জ্বলে গেছে যদিও দুই-একটি প্রদীপ। ধোঁয়া-ধোঁয়া
হাতছানি দেয়, উঁচু ঐ পর্বত ? একটু দাঁড়ালে, ‘পৃথিবীর এসব কী অযাচিতই
লিখে যাচ্ছি’? ভাবনার পায়ে আবার হাঁটছো, মুখের উপর মশক মিছিল।

পাখিরা সব গাঢ়কাক


সচল আড্ডা

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি
লিখেছেন মেহবুবা জুবায়ের [অতিথি] (তারিখ: শনি, ১৯/০১/২০১৩ - ২:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি: